প্রাতিষ্ঠানিক কর্মসংস্থানে পিছিয়ে রয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা

আপলোড সময় : ০৯-০৯-২০২৫ ১২:২৫:১১ পূর্বাহ্ন , আপডেট সময় : ০৯-০৯-২০২৫ ১২:২৫:১১ পূর্বাহ্ন
প্রাতিষ্ঠানিক কর্মসংস্থানে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়ছে। মাদ্রাসা থেকে বছরে দুই লাখ গ্র্যাজুয়েট বের হলেও বেশির ভাগই প্রাতিষ্ঠানিক কর্মে নেই। মূলত আধুনিক কারিগরি ও পেশাভিত্তিক শিক্ষা থেকে বিচ্ছিন্ন থাকায় মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক কর্মসংস্থানের সুযোগ একেবারেই সীমিত।  ওসব গ্র্যাজুয়েটের সিংহভাগই থাকছেন বেকার কিংবা বাধ্য হয়ে অনানুষ্ঠানিক পেশায় যুক্ত হচ্ছে। অনেকে যৎসামান্য বেতনে নিজস্ব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানেই যুক্ত হচ্ছে। মূলত আধুনিক কারিকুলামের অভাব, মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের দক্ষতা নিয়ে নেতিবাচক ধারণা, কওমি ধারার সব স্তরের স্বীকৃতি না থাকাসহ বিভিন্ন কারণে দেশের আনুষ্ঠানিক শ্রমবাজারে প্রবেশ করতে পারছেন না মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা। কর্মমুখী শিক্ষা ও প্রযুক্তিগত দক্ষতার সমন্বয় না ঘটলে ওসব শিক্ষার্থী প্রাতিষ্ঠানিক কর্মসংস্থান থেকে আরো বেশি সংখ্যায় ছিটকে পড়বেন। তখন বিশাল এ জনগোষ্ঠীর মধ্যে হতাশা আরো বাড়বে। মাদ্রাসা শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, মাদ্রাসা শিক্ষা এদেশের সমাজে প্রাতিষ্ঠানিক কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে এখনো মূল স্রোতে চলতে পারছে না। ফলে মাদ্রাসা শিক্ষিতদের একটি বড় অংশই একাডেমিক যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি পাচ্ছেন না। বিগত কয়েক বছরে মাদ্রাসা শিক্ষায় উল্লেখযোগ্য হারে শিক্ষার্থী বাড়লেও ওই তুলনায় কর্মক্ষেত্রে সুযোগ বাড়েনি। বর্তমানে দেশে মাদ্রাসা শিক্ষায় প্রধান দুটি ধারা রয়েছে। একটি আলিয়া এবং অন্যটি কওমি। দুই ধারার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে প্রতি বছর প্রায় দুই লাখ শিক্ষার্থী স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সমমানের ডিগ্রি সম্পন্ন করছেন। আর কয়েক বছর ধরেই দেশে বাড়ছে উচ্চশিক্ষিত বেকারের সংখ্যা। প্রতিষ্ঠানটির শ্রমশক্তি জরিপ ২০২৩ অনুসারে দেশে উচ্চশিক্ষিত বেকার অর্থাৎ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, মাদ্রাসা থেকে স্নাতক-স্নাতকোত্তর সম্পন্নকারী বেকারের সংখ্যা ৯ লাখ ৬ হাজার। তার আগে ২০২২ সালে ছিল ৭ লাখ ৯৯ হাজার। অর্থাৎ এক বছরে উচ্চশিক্ষিত বেকার প্রায় ১ লাখ ৭ হাজার জন বেড়েছে। আর সাধারণ ধারার তুলনায় উচ্চশিক্ষিত মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা শ্রমবাজারে অধিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে।
সূত্র জানায়, বিভিন্ন পর্যায়ের মোট ৭৮২টি কওমি ও আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে তৈরি এক গবেষণায় দেখা গেছে, দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের মাত্র ৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক চাকরি করেন। তাদের মধ্যে আলিয়া মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের মধ্যেই চাকরির হার বেশি, ৪ দশমিক ৭৪ শতাংশ। ফলে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর বড় অংশই ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা ও ক্ষুদ্র ব্যবসায় নিয়োজিত। মূলত যুগোপযোগী কারিকুলামের অভাবে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়ছে। আর সেজন্যই আনুষ্ঠানিক কর্মক্ষেত্রে এখনো মাদ্রাসা গ্র্যাজুয়েটদের উপস্থিতি কম। যদিও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা সাধারণ গ্র্যাজুয়েটদের তুলনায় কম মেধাবী নয়। তবে যোগাযোগ দক্ষতা, প্রযুক্তিগত দক্ষতায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা তুলনামূলকভাবে এগিয়ে থাকায় চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রেও তারা এগিয়ে থাকে। মাদ্রাসা শিক্ষার কারিকুলাম আধুনিকায়ন ও শ্রমবাজারের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা হলে শিক্ষার্থীদের এ সংকট কেটে যাবে।
সূত্র আরো জানায়, দেশে মাদ্রাসা শিক্ষার দুই ধারার মধ্যে সরকারি নীতিমালার অধীনে আলিয়া পরিচালিত হয়। ওই ধারায় স্নাতক পর্যায়ের ডিগ্রি ফাজিল এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ের ডিগ্রি কামিল নামে পরিচিত। তাদের মধ্যে তিন বছর মেয়াদি পাস কোর্স এবং চার বছর মেয়াদি স্নাতক দুই ধরনের ফাজিল ডিগ্রি রয়েছে। সাধারণত প্রায় ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থীই তিন বছর মেয়াদি ফাজিল সম্পন্ন করে। সর্বশেষ প্রকাশিত শিক্ষা পরিসংখ্যান বাংলাদেশ শিক্ষা পরিসংখ্যান ২০২৩-এর তথ্যানুযায়ী, গত কয়েক বছর ধরে প্রতি বছর প্রায় দেড় লাখের বেশি শিক্ষার্থী ফাজিল ও কামিল সম্পন্ন করেন। ২০১৯ সালে ৭৮ হাজার ৭৪২ জন ফাজিল ও ২৩ হাজার ৬০৭ জন কামিল, ২০২০ সালে ১ লাখ ১৭ হাজার ২৩১ জন ফাজিল ও ৬২ হাজার ৬৯৭ জন কামিল, ২০২১ সালে ১ লাখ ৮ হাজার ৯২০ জন ফাজিল ও ৪০ হাজার ৪৯৮ জন কামিল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তবে করোনাকালীন সেশনজট, শিক্ষার্থী ঝরে পড়াসহ বিভিন্ন কারণে ২০২২ সালে ফাজিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা কম ছিলো। ওই বছর ৩০ হাজার ৬৫৮ জন ফাজিল পরীক্ষায় ও ৬১ হাজার ৯৯৪ জন কামিলে উত্তীর্ণ হন। কিন্তু ফাজিল-কামিল সম্পন্নকারীদের মাত্র ৩২ শতাংশ কর্মক্ষেত্রে তাদের একাডেমিক শিক্ষাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে পেরেছে। ৪২ শতাংশ একাডেমিক শিক্ষা কর্মক্ষেত্রে কিছুটা কাজে লেগেছে আর ২৬ শতাংশ তাদের কর্মক্ষেত্রে একাডেমিক শিক্ষা কাজে লাগেনি। মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সমাজের দৃষ্টিভঙ্গির কারণে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের যথাযথ মূল্যায়ন করা হয় না এবং ওই কারণেই শিক্ষার্থীদের বড় অংশই অনানুষ্ঠানিক কর্ম খাতকে বেছে নিতে বাধ্য হচ্ছেন।
এদিকে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের মতে, মাদ্রাসা থেকে স্নাতক-স্নাতকোত্তর সম্পন্নকারীরা চাকরি ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন উপেক্ষার শিকার হচ্ছে। শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকলেও তারা সে অনুযায়ী চাকরি পাচ্ছে না। কারণ অনেকেই ইংরেজি, কম্পিউটার শিক্ষা বা বিজ্ঞানের বিষয়গুলোতে দুর্বল। যদিও মাদ্রাসা সিলেবাসে ইসলামী শিক্ষার পাশাপাশি ওসব বিষয়ও অন্তর্ভুক্ত থাকে। তবে চাকরিদাতারা ওসব বিবেচনা করে না। ফলে বেশির ভাগ মাদ্রাসা শিক্ষার্থীই ব্যবসা বা স্বল্প বেতনের চাকরিতে যোগদানে বাধ্য হয়। মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের বড় অংশই শিক্ষকতায় নিয়োজিত। কিন্তু সাধারণ স্কুলগুলোর তুলনায় মাদ্রাসা শিক্ষকদের বেতন-ভাতা ও সুযোগ-সুবিধা কম। তাছাড়া অনেক প্রতিষ্ঠানে বিশেষ করে মফস্বল এলাকায় বেতন-ভাতা অনিয়মিত। বর্তমানে আলিয়া মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের ফাজিল এবং কামিল পর্যায়ের শিক্ষা কার্যক্রম ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন পরিচালিত হয়।
অন্যদিকে আলিয়া মাদ্রাসার মতো কওমি মাদ্রাসাগুলোয়ও শিক্ষার্থী বাড়ছে। কওমি ধারায় স্নাতক পর্যায়কে ফযীলত বলা হয়। এ ধারায় সর্বোচ্চ পরীক্ষা ‘দাওরায়ে হাদিস’। ওই স্তরকে সরকার মাস্টারস সমতুল্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। তবে ফযীলতসহ এর আগের স্তরগুলোর কোনো স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। কওমি মাদ্রাসাগুলো এখনো সরকারি নীতিমালার আওতাভুক্ত হয়নি। দেশে কওমি মাদ্রাসার শিক্ষা কার্যক্রম বর্তমানে ছয়টি বৃহৎসহ অল্প কিছু ছোট বোর্ডের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে। তার মধ্যে বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশকে (বেফাক)সবচেয়ে বড় বোর্ড ধরা হয়। ওই বোর্ডের অধীন ২০২০ সালে ১৩ হাজার ১৯৬ জন, ২০২১ সালে ১৬ হাজার ৩৪১, ২০২২ সালে ১৬ হাজার ৫৭৬, ২০২৩ সালে ১৯ হাজার ৮৭৬ এবং ২০২৪ সালে ২৪ হাজার ৯৭ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। সরকার দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্স সমতুল্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার পর বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া, বেফাকুল মাদারিসিল কওমিয়া গওহরডাঙ্গা, আযাদ দ্বীনী এদারায়ে তা’লীম, তানযীমুল মাদারিসিদ দ্বীনিয়া, আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মদারিস ও বেফাকুল মাদারিসিদ্দীনিয়্যা বাংলাদেশ- ওই ছয়টি বোর্ড নিয়ে আল-হাইআতুল উলইয়া লিল-জামি’আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ নামে একটি বোর্ড গঠন করা হয়। দাওরায়ে হাদিস পরীক্ষা ওই বোর্ডের অধীনেই অনুষ্ঠিত হয়। ২০২৫ সালে এ পরীক্ষায় ২৭ হাজার ৯৬৩ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। এর আগে ২০২৪ সালে ২৮ হাজার ২৭৯ জন ও ২০২৩ সালে ২২ হাজার ৫৩৯ জন উত্তীর্ণ হন। কওমি ধারার শিক্ষার্থীরাও কর্মক্ষেত্রে একই ধরনের অবস্থার মুখোমুখি হচ্ছে। সরকার দাওরায়ে হাদিসকে স্বীকৃতি দিলেও সেটি কাজে লাগানোর সুযোগ খুবই কম। যেমন সরকারি চাকরির জন্য অনলাইনে আবেদন পদ্ধতিতে সিজিপিএ চাওয়া হয় কিন্তু মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর ফলাফল সিজিপিএ-ভিত্তিক না। সেজন্য সেখানে তাদের কোনো অপশনই নেই। তারপরও কওমি মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের মাত্র ২ দশমিক ১৭ শতাংশ সরকারি বা বেসরকারি চাকরিতে নিযুক্ত। তাদের প্রায় ৪৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ মসজিদসহ ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইমাম, মুয়াজ্জিন, খতিব বা শিক্ষকতায় নিযুক্ত এবং বাকিরা অন্যান্য পেশায়।
এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসার সহকারী পরিচালক মুফতি জসিম উদ্দীন জানান, অধিকাংশ শিক্ষার্থী মাদ্রাসায় শিক্ষকতা, মসজিদের ইমামতি কিংবা খতিবের দায়িত্বে নিয়োজিত হন। কেউ কেউ ইসলামিক গবেষণা কেন্দ্র, দাওয়াতি কাজ বা সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হন। তাদের মধ্যে অনেকেই নিজের উদ্যোগে ব্যবসা-বাণিজ্যেও নামেন। বিশেষ করে ইসলামিক বই প্রকাশনা বা ইসলামী শিক্ষাসংশ্লিষ্ট পেশায়। সরকারি চাকরিতে অংশগ্রহণ কম হলেও ওসব ক্ষেত্র তাদের আত্মনির্ভরশীল করে তোলে। তাছাড়া দাওরায়ে হাদিস শেষে অনেক শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষায় প্রবেশ করে বিশেষ করে কোরআন, হাদিস, ফিকহ বা ইসলামী দর্শনের মতো বিষয়ে এমফিল বা পিএইচডি করে। তাদের কেউ দেশে থেকে গবেষণা করে, আবার কেউ কেউ বিদেশে বিশেষ করে মালয়েশিয়া, মিসর, সৌদি আরব বা কাতার ইত্যাদি দেশে গমন করে উচ্চতর ডিগ্রির জন্য। তবে বিদেশে গিয়ে পিএইচডি বা গবেষণায় যুক্ত হওয়ার সংখ্যা এখনো তুলনামূলকভাবে কম, যদিও ধীরে ধীরে তা বাড়ছে।
একই প্রসঙ্গে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের বিষয়ে ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের কামিল (স্নাতকোত্তর) শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ অলী উল্যাহ জানান, মাদ্রাসা শিক্ষায় গত কয়েক বছরে অনেক আধুনিকায়ন হচ্ছে। অনেক শিক্ষার্থী কর্মক্ষেত্রে ভালোও করছেন। তবে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির জায়গা থেকে কিছু সমস্যা রয়ে গেছে। এখনো অনেকেই মনে করেন মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের দক্ষতার ঘাটতি রয়েছে। এ ধারণা থেকে অনেক চাকরিদাতা তাদের উপেক্ষা করেন। এ ধরনের ধারণা থেকে বেরিয়ে আসা প্রয়োজন। একজন কোন ধারা থেকে পড়েছেন সেটি বিবেচনা না করে তার দক্ষতাকে বিবেচনায় নেয়া উচিত। এমনটি করা হলে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা চাকরির ক্ষেত্রে আরো এগিয়ে যাবে।
 

সম্পাদকীয় :

সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : সৈয়দ এম. আলতাফ হোসাইন।

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক : সৈয়দ মোঃ আতিকুল হাসান।

নির্বাহী সম্পাদক আশীষ কুমার সেন।

ফোন : ৪৯৩৫৭৭৩০ (বার্তা), ৮৩১৫৬৪৯ (বাণিজ্যিক), ফ্যাক্স; ৮৮-০২-৮৩১৪১৭৪

অফিস :

প্রকাশক কর্তৃক রোমাক্স লিমিটেড, তেজগাঁও শিল্প এলাকা থেকে মুদ্রিত।

সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : খলিল ম্যানশন (৩য়, ৫ম ও ৬ষ্ঠ তলা), ১৪৯/এ, ডিআইটি এক্সটেনশন এভিনিউ, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত।

ই-মেইল : [email protected], ওয়েবসাইট : www.dainikjanata.net