
সামরিক শাসনের উত্তরাধিকার বহন, দুর্নীতি এবং গণতন্ত্রবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগ এনে জাতীয় পার্টির রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার আবেদন জমা পড়েছে নির্বাচন কমিশনে। গতকাল বুধবার রাজধানীর বংশালের বাসিন্দা হোসাইন মোহাম্মদ আনোয়ার প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে এই আবেদন করেন। আবেদনকারী নিজেই গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। আবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার সংরক্ষণ ও একটি সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ এবং মুক্ত নির্বাচন নিশ্চিত করা নির্বাচন কমিশনের নৈতিক ও সাংবিধানিক দায়িত্ব। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি নানা সময়ে রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে কলুষিত করেছে। শুধু তাই নয়, দলটি গণতন্ত্রবিরোধী কার্যকলাপ পরিচালনা, সামরিক শাসনের উত্তরাধিকার বহন, দুর্নীতি ও প্রশাসনিক অপব্যবহার এবং জনস্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকার অভিযোগে ব্যাপকভাবে সমালোচিত। এতে আরও বলা হয়, এ দলটি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে গণতন্ত্রের মূলধারা ক্ষুণ্ন করেছে এবং বারবার নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করার ইতিহাসে জড়িত থেকেছে। বর্তমানে জাতীয় স্বার্থে এবং গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ রক্ষার্থে একটি সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টির জন্য এ ধরনের রাজনৈতিক দলকে বৈধতা দেওয়া জনস্বার্থবিরোধী। আবেদনে উল্লেখ করা হয়, গত ১৭ বছরের দুঃশাসনের কারণে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়। এরপর ছাত্র আন্দোলনের মুখে বর্তমান সরকার ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগকে তার সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে নিষিদ্ধ করে। তবে জাতীয় পার্টি ফ্যাসিবাদ মাফিয়া হাসিনার সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডকে বৈধতা দেওয়ার দোসর হিসেবে সবসময় সাপোর্ট দিয়ে গেছেন। আবেদনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনকে সুষ্ঠু ও কলুষমুক্ত রাখার স্বার্থে এবং সংবিধানের আলোকে জাতীয় পার্টিকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে নিষিদ্ধ করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছে।