রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ভবনে অখ্যাত পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয়ে প্রতারকদের তৎপরতায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সাংবাদিক নামধারী এইসব প্রতারকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মূলধারার সাংবাদিকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, সাংবাদিক পরিচয়ে সংঘবদ্ধ কয়েকটি চক্র রাজউকে সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের হয়রানি করে আসছে। রাজউকে ভুক্তভোগীদের বাড়ির নকশা অনুমোদন করে দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়া এবং রাজউকের কিছু অসাধু পরিদর্শকদের সঙ্গে সখ্যতা করে সেবাগ্রহীতাদের বিভিন্ন দুর্বলতা জেনে তাদের বিরুদ্ধে ভুঁইফোঁড় নামসর্বস্ব পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করেন তারা। পরে এসব নিউজের প্রেক্ষিতে রাজউক থেকে চিঠি পাঠিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় চক্রটি। সেই টাকা পরিদর্শক আর কথিত সাংবাদিকরা মিলে ভাগ-বাটোয়ারা করে নেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নারী ভুক্তভোগী কর্মকর্তা বলেন, বিরুদ্ধে নামসর্বস্ব একটি পত্রিকায় কথিত মহিলা সাংবাদিক নামধারী প্রতারক আমার চরিত্রহানি করে সংবাদ প্রকাশ করে আমার কাছে চাঁদা দাবি করছে বিভিন্নভাবে। সেই পত্রিকা বাজারে না থাকলেও সংবাদ লিখে সকালে আমার অফিসে লোক দিয়ে গোপনে ফেলে রেখে চলে যাচ্ছে।
অপর এক অথরাইজ অফিসার অভিযোগ করেন, এসব সাংবাদিক নামধারী প্রতারকরা প্রতারণার জন্য বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতা পরিচয় দিয়ে আসছে। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এইসব সাংবাদিক নামধারী প্রতারকরা নারী সদস্যদের নিয়ে সিন্ডিকেট করে ব্লাকমেইলিং করেছে এমন অভিযোগও রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কয়েকটি চক্র বিভিন্ন সময় সাধারণ মানুষদের টার্গেট করে রাজউকের ভয়ভীতি দেখিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাড়ি, কারখানা থেকে নিয়মিত চাঁদাবাজি করেন।
কথিত সাংবাদিক ও প্রতারকদের বিষয়ে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম বলেন, এখানে কাউকে হয়রানি এবং কারও কাছ থেকে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা হাতিয়ে নিলে অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।