
গ্রামবাসীর সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শিক্ষার্থীদের মাঝে এখনও আতঙ্ক কাটেনি। সংঘর্ষের ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার বেলা দেড়টা পর্যন্ত হাটহাজারী থানায় মামলা রেকর্ড হয়নি। তবে মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছিল। এমনকি এ ঘটনায় তখন পর্যন্ত কেউ গ্রেফতারও হয়নি। আগামীকাল ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। তবে বিভাগীয় সিদ্ধান্ত ও শতভাগ শিক্ষার্থীর উপস্থিতি নিশ্চিত হলে পরীক্ষা নেওয়া যাবে। এ ছাড়া ক্লাস চালু রাখা যাবে। তবে ক্লাস চালু রাখার ঘোষণা থাকলেও গতকাল মঙ্গলবার শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন না। শিক্ষার্থীরা জানান, হামলাকারীদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত তারা ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশ নেবেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৮টি বিভাগ ও ৬টি ইনস্টিটিউটে প্রায় ২৭ হাজার ৫৫০ শিক্ষার্থী রয়েছেন। সংঘর্ষের পর থেকে কার্যত অচল রয়েছে শ্রেণিকক্ষ। শুধু তাই নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি বিভাগের শিক্ষার্থীরা ঘোষণা দিয়েছেন, হামলাকারীদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত তারা ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নেবেন না। এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শামীম উদ্দিন বলেন, আজ (গতকাল মঙ্গলবার) কোনো বিভাগে ক্লাস-পরীক্ষা হয়েছে কি না, সে তথ্য এখনও আমার কাছে নেই। বিকালের দিকে এই বিষয়ে জানা যাবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় রবিবার রাতে হাটহাজারী থানায় দুটি লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি এবং আরেকটি প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা জমা দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে হাটহাজারী থানার ওসি আবু কাউসার মোহাম্মদ হোসেন বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় দুপুর দেড়টা পর্যন্ত হাটহাজারী থানায় কোনো মামলা রেকর্ড হয়নি। তবে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।