
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর্পোট-গ্রামবাসী সংঘর্ষে সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, আইন উপদেষ্টা বিচার দাবি করছেন, কিন্তু কার কাছে বিচার চাইছেন? এরকম একটা সরকারের কাছে আমরা কতখানি নিরাপদ? শেষ পর্যন্ত প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে আর্মিকে ফোন করতে হলো, এরপর আর্মি আসলো। এটা কি দেশ? এই দেশ আমরা ১৩ মাসে তৈরি করলাম? গতকাল সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকাস্থ সাবেক চবিয়ান আয়োজিত ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর স্থানীয় সন্ত্রাসীদের বর্বর হামলার প্রতিবাদ’ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মান্না বলেন, মাত্র ৩৫-৪০ দিনে দেড় হাজার শিক্ষার্থীর আত্মত্যাগ নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন জাগিয়েছে। সেখানে চবিতে এত বড় রক্তাক্ত ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সময়মতো হস্তক্ষেপ না করাকেও তিনি দায়ী করেন। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আইসিইউতে চিকিৎসাধীন দুজন ছাত্র যদি মারা যায়, এর দায় কে নেবে? অবাক ব্যাপার, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে ডেকেছে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী আসেনি। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মানে যদি পুলিশ বলেন, তালে পুলিশ তো আগের মতোই আছে। পুলিশের মধ্যে কোনও উন্নতি হয়েছে বলে আমি দেখিনি। মান্না অভিযোগ করেন, নুরুল হক নূরের ওপর প্রকাশ্যে হামলা চালানো হলেও হামলাকারীদের পরিচয় স্পষ্টভাবে প্রকাশ করা হয়নি। তিনি বলেন, ভিডিও ফুটেজে অভিযুক্তদের দেখা গেলেও সরকার সময়ক্ষেপণ করছে। তদন্ত কমিটি আর তালবাহানা চলবে না, অপরাধীদের অবিলম্বে শাস্তি দিতে হবে, যোগ করেন তিনি। সমাবেশে আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় স্থানীয়দের বিরাট অবদান আছে। এখানে অনেকেই জমি দান করেছেন। সে কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির চাকরির ক্ষেত্রে স্থানীয়দের প্রাধান্য দেওয়া হয়। ফলে স্থানীয়দের সঙ্গে ক্যাম্পাসের একটা সুদৃঢ় বন্ধন তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, বিভিন্ন সময়ে স্থানীয়রা বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আমাদের কাছে আসতেন। আমরা যখন তাদের কাছে যেতাম, যথেষ্ট আপ্যায়ন করতেন। কখনও কখনও বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস রক্তাক্ত হত। কিন্তু এবারে যে ঘটনাটি ঘটেছে, তা অতীতের সমস্ত ঘটনাকে ম্লান করে দিয়েছে।