* চতুর্মুখী সড়কে পরিবহন যাত্রীদের দুর্ভোগ চরমে * রাস্তার নানাবিধ বিভিন্ন সমস্যা, দেখার কেউ নেই * রাস্তা সংস্কারের দাবিতে উত্তরাবাসীর মানববন্ধন * উত্তরার আব্দুল্লাহপুরে প্রধান সড়ক যেন মৃত্যু ফাঁদ

তীব্র যানজট, অতিষ্ঠ পথচারীরা

আপলোড সময় : ২৬-০৮-২০২৫ ০৪:৪৬:০১ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ২৬-০৮-২০২৫ ০৪:৪৬:০১ অপরাহ্ন
তুরাগ থেকে মনির হোসেন জীবন উত্তরবঙ্গের আটাশ রোডের সঙ্গে রাজধানী ঢাকার প্রবেশ মুখ ঢাকা ময়মনসিংহ সড়কের উত্তরার আব্দুল্লাহপুর এলাকা। এখানে চতুর্মুখী সড়কে প্রতিদিন হাজার হাজার দুরপাল্লার গণপরিবহন যাত্রীবাহীবাসসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করে থাকে। বর্তমানে এখানকার প্রধান রাস্তাটি খানাখন্দে ভরা। সামান্য বৃষ্টিতেই কাঁদা-পানিতে একাকার হয়ে যায়। টঙ্গী ও আশুলিয়া থেকে ঢাকায় যাতায়াতের প্রধান সংযোগস্থল উত্তরার আব্দুল্লাহপুর এলাকাটি। চতুর্মুখী সড়কে পরিবহন চালকদের যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামায়, সৃষ্টি হয় মহাযানজট। এতে করে দিনকে দিন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এ রুটে চলাচলরত পথচারীরা। এলাকায় চরম দুর্ভোগ আর শঙ্কা নিয়ে রাস্তায় চলাচল করছে সর্বস্তরের মানুষ। এদিকে, গতকাল সোমবার সকাল ৯ টায় উত্তরার আব্দুল্লাহপুর থেকে টঙ্গী ব্রিজ ও বেড়িবাঁধ পর্যন্ত পদযাত্রা ও মানববন্ধনের আয়োজন করে উদ্যম ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ নামে একটি সংগঠন এবং বৃহত্তর উত্তরাবাসী। মানববন্ধন বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম প্রিন্স জানান, গতকাল সোমবার ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের উত্তরার পলওয়েল কনভেনশন সেন্টারের সামনে থেকে পদযাত্রা ও মানববন্ধন শুরু করা হয়। আমাদের প্রধান দাবিগুলো হলো-সড়ক ও টঙ্গী বেইলী ব্রিজের সংস্কার, জননিরাপত্তায় সিসিটিভি স্থাপন করা, পুলিশ টহল বৃদ্ধিকরণ, পাবলিক টয়লেট স্থাপন ও পাবলিক লাইব্রেরি স্থাপন প্রমুখ। পদযাত্রা ও মানববন্ধনের অংশ নেয়া বক্তারা বলেন, আমাদের আন্দোলনের মূল লক্ষ্য হলো জনগণের ন্যায্য দাবি বাস্তবায়ন করা। এ সময় বক্তারা প্রধান উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত বেইলি ব্রিজ স্থাপন ও সড়ক মেরামতের দাবি জানিয়ে আল্টিমেটাম দেয়। আগামীতে দাবিগুলো পূরণ না হলে আরও বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। গতকাল সকালে সরেজমিন পরিদর্শন ও বিভিন্ন পেশার লোকজনের সাথে আলাপ করে জানা যায়, উত্তরার ব্যস্ততম নগরীর আব্দুল্লাহপুর উড়াল সড়কের নিচে পুরো রাস্তাটিই ভাঙ্গা চূড়া, খানাখন্দে ভরা ও অল্প বৃষ্টির পানিতে প্রায় একাকার হয়ে যায়। এসব কারণে আব্দুল্লাহপুর টু মিরপুর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেরিবাধ আশুলিয়া ও টঙ্গী থেকে ঢাকামুখি রাস্তাটি একেবারেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এছাড়া উড়াল সড়ক থেকে আব্দুল্লাহপুর প্রধান সড়কে নামতেই খানাখন্দে ভরা। এতে গাড়িগুলোকে চলতে হচ্ছে ধীরগতিতে। মাঝে মধ্যে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। আর একটু বৃষ্টিতেই কাদা-পানিতে রাস্তা ডুবে যায়। আর রোদ হলে ধুলায় আচ্ছন্ন হয়ে পরে। স্থানীয় বাসিন্দা অভিযোগ করে দৈনিক জনতাকে বলেন, রাস্তার এ সমস্যা দীর্ঘদিন। এতে আমরা বায়ুদূষণের কবলে পরছি। রাস্তা ঘাটের নানাবিধ সমস্যা দেখার কেউ নেই। পথচারীরা অভিযোগ করে বলেন, রাজধানী ঢাকার সাথে উত্তর বঙ্গের ২৮টি প্রতিদিন হাজার হাজার গাড়ি এ রাস্তায় চলাচল করে। কিন্তু রাস্তা মেরামত কিংবা নতুন করে সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। ঢাবি’র মেধাবী শিক্ষার্থী শহিদুল ইসলাম শিশিরসহ একাধিক পথচারী দৈনিক জনতাকে বলেন, আমরা দৈনন্দিন কাজে উত্তরা থেকে ঢাকায় এবং গাজীপুরের টঙ্গীতে যাতায়াত করি। এটি আমাদের চলাচলের একমাত্র রাস্তা। কয়েক বছর ধরে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের কাজ চলমান আছে। এখন পুরো রাস্তায় বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি হলে কোথায় গর্ত বোঝা যায় না। তাই চলাচল করতে ভয় লাগে। স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করে দৈনিক জনতাকে, আব্দুল্লাহপুর ঘিরে আন্তঃজেলা বাস কাউন্টার গড়ে ওঠার কারণে মহাসড়কের ওপর অবৈধ বাস পার্কিং করা হয়। বাস চালক ও হেলপাররা অভিযোগ করে বলেন, এ রাস্তাটা অনেকদিন ধরে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে আছে। অনেক সময় এ রাস্তায় গাড়ি চালালে শরীর ও মাথা ব্যথা হয়। মাঝেমধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনা ঘটে। একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে, তিন চাকার যানের বেপরোয়া চলাচলে নাকাল উত্তরা, তুরাগ ও টঙ্গী বাসি। শহরের মুল সড়কের দু’পাশে বাস, ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান স্ট্যান্ড নির্মাণ করায় প্রায় সময় মহাসড়ক ও সড়কে জটলা লেগেই থাকে। এতে প্রতিটি যানবাহনকে ধীর গতিতে চলতে হয়। এমনকি, অনেক সময় রাস্তায় রাত দিন তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এবিষয়ে ঢাকা বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট পিএলসিয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইরফান মাহমুদ অর্পন বলেন, এখন প্রকল্পের কাজ আপাতত বন্ধ আছে। ইতিমধ্যে ডিপিপির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। কোম্পানি ও প্রজেক্ট দুইটাই আলাদা। প্রজেক্ট চলে সড়ক বিভাগের আওতায়। আর কোম্পানি হলো আলাদা বিষয়। উল্লেখ্য যে, সম্প্রতি জাতীয় দৈনিক জনতা পত্রিকায় রাস্তা ঘাট ভাঙ্গা চূড়া, মহাসড়ক ও সড়কে অসহনীয় যানজট, জলজট, দখলবাজী, চাঁদাবাজী, জনদুভোর্গসহ নাগরিক নানাবিধ সমস্যা নিয়ে সংবাদ ফলাও সরেজমিনে প্রকাশিত হওয়ার পর সর্ব মহলে টনক নড়ে।

সম্পাদকীয় :

সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : সৈয়দ এম. আলতাফ হোসাইন।

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক : সৈয়দ মোঃ আতিকুল হাসান।

নির্বাহী সম্পাদক আশীষ কুমার সেন।

ফোন : ৪৯৩৫৭৭৩০ (বার্তা), ৮৩১৫৬৪৯ (বাণিজ্যিক), ফ্যাক্স; ৮৮-০২-৮৩১৪১৭৪

অফিস :

প্রকাশক কর্তৃক রোমাক্স লিমিটেড, তেজগাঁও শিল্প এলাকা থেকে মুদ্রিত।

সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : খলিল ম্যানশন (৩য়, ৫ম ও ৬ষ্ঠ তলা), ১৪৯/এ, ডিআইটি এক্সটেনশন এভিনিউ, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত।

ই-মেইল : [email protected], ওয়েবসাইট : www.dainikjanata.net