
জয়পুরহাট প্রতিনিধি
জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার বালুকাপাড়া গ্রামের দিনমজুর আবদুল জলিল প্রামাণিককে সমাজচ্যুত করে রাখার জেরে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে তাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গেলো মঙ্গলবার রাতে আক্কেলপুর থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী আবদুল জলিল প্রামাণিক। স্থানীয়রা জানান, পারিবারিক কলহের জেরে আবদুল জলিল প্রামাণিক রাগের মাথায় তার স্ত্রীকে তালাক দেন। ঘটনার ২৯ দিন পর তিনি আবারও তাকে বিয়ে করেন। এ ঘটনায় গ্রাম্য মাতব্বরেরা ক্ষুব্ধ হয়ে জলিল প্রামাণিকের পরিবারকে সমাজচ্যুত করে রাখেন। গত ১৫ আগস্ট রাত ৮টার দিকে গ্রামের মসজিদের দিকে রওনা হন তিনি। এ সময় মাতব্বরেরা তাকে দুই দফায় প্রচণ্ড মারধর করেন। এতে তার বাম হাতের হাড় ভেঙে যায়। তিনি চিকিৎসা শেষে আক্কেলপুর থানায় আট জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আবদুল জলিল প্রামাণিক বলেন, আমি রাগের মাথায় স্ত্রীকে তালাক দিয়েছিলাম। ২৯ দিন পর আবার বিয়ে পড়ে নিয়েছি। এ কারণে গ্রামের মাতব্বর রকি খান, মিল্টন খাঁ, আবু সুফিয়ানসহ আরও ১০-১২ জন আমাকে সমাজচ্যুত করেছেন। তালাক দিলে পুনরায় বিয়ে করা যাবে ঢাকার একজন মুফতির মতামত নিয়ে আসার পরও তারা মানেনি। তারা বলছে, হিল্লা বিয়ে ছাড়া আমার বিয়ে বৈধ হবে না। তারা আমাকে দীর্ঘ দেড় বছর ধরে গ্রামের মসজিদে নামাজ আদায়ে করতে ও জানাজায় শরিক হতে দেননি। সমাজচ্যুত করার জের ধরে মসজিদে যাওয়ার সময় মাতব্বরদের একাংশের লোকজন আমাকে মেরে হাত ভেঙে দিয়েছেন। রায়কালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশীদ মণ্ডল সাংবাদিকদের বলেন, তিনি (আবদুল জলিল প্রামাণিক) রাগের মাথায় স্ত্রীকে তালাক দিয়েছিলেন। এ ঘটনায় গ্রামের মাতব্বরেরা জলিলকে সমাজচ্যুত করেন। সমাজচ্যুতের ঘটনার জের ধরে তাকে মারধর করা হয়েছে। এতে তার বাম হাত ভেঙেছে বলে জেনেছি। আক্কেলপুর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, আবদুল জলিল প্রামাণিক থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছিলেন। অভিযোগটি তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় সেটি মঙ্গলবার মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে।
জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার বালুকাপাড়া গ্রামের দিনমজুর আবদুল জলিল প্রামাণিককে সমাজচ্যুত করে রাখার জেরে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে তাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গেলো মঙ্গলবার রাতে আক্কেলপুর থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী আবদুল জলিল প্রামাণিক। স্থানীয়রা জানান, পারিবারিক কলহের জেরে আবদুল জলিল প্রামাণিক রাগের মাথায় তার স্ত্রীকে তালাক দেন। ঘটনার ২৯ দিন পর তিনি আবারও তাকে বিয়ে করেন। এ ঘটনায় গ্রাম্য মাতব্বরেরা ক্ষুব্ধ হয়ে জলিল প্রামাণিকের পরিবারকে সমাজচ্যুত করে রাখেন। গত ১৫ আগস্ট রাত ৮টার দিকে গ্রামের মসজিদের দিকে রওনা হন তিনি। এ সময় মাতব্বরেরা তাকে দুই দফায় প্রচণ্ড মারধর করেন। এতে তার বাম হাতের হাড় ভেঙে যায়। তিনি চিকিৎসা শেষে আক্কেলপুর থানায় আট জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আবদুল জলিল প্রামাণিক বলেন, আমি রাগের মাথায় স্ত্রীকে তালাক দিয়েছিলাম। ২৯ দিন পর আবার বিয়ে পড়ে নিয়েছি। এ কারণে গ্রামের মাতব্বর রকি খান, মিল্টন খাঁ, আবু সুফিয়ানসহ আরও ১০-১২ জন আমাকে সমাজচ্যুত করেছেন। তালাক দিলে পুনরায় বিয়ে করা যাবে ঢাকার একজন মুফতির মতামত নিয়ে আসার পরও তারা মানেনি। তারা বলছে, হিল্লা বিয়ে ছাড়া আমার বিয়ে বৈধ হবে না। তারা আমাকে দীর্ঘ দেড় বছর ধরে গ্রামের মসজিদে নামাজ আদায়ে করতে ও জানাজায় শরিক হতে দেননি। সমাজচ্যুত করার জের ধরে মসজিদে যাওয়ার সময় মাতব্বরদের একাংশের লোকজন আমাকে মেরে হাত ভেঙে দিয়েছেন। রায়কালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশীদ মণ্ডল সাংবাদিকদের বলেন, তিনি (আবদুল জলিল প্রামাণিক) রাগের মাথায় স্ত্রীকে তালাক দিয়েছিলেন। এ ঘটনায় গ্রামের মাতব্বরেরা জলিলকে সমাজচ্যুত করেন। সমাজচ্যুতের ঘটনার জের ধরে তাকে মারধর করা হয়েছে। এতে তার বাম হাত ভেঙেছে বলে জেনেছি। আক্কেলপুর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, আবদুল জলিল প্রামাণিক থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছিলেন। অভিযোগটি তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় সেটি মঙ্গলবার মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে।