ধর্মীয় উপসনালয়কে যারা অপবিত্র করতে চায় তারা দুর্বৃত্তÑ ধর্ম উপদেষ্টা

আপলোড সময় : ১৯-০৮-২০২৫ ০২:২৪:১৩ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ১৯-০৮-২০২৫ ০২:২৪:১৩ অপরাহ্ন
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, যারা ধর্মীয় উপসনালয়কে অপবিত্র করতে চায় তাদের কোন ধর্মীয় পরিচয় নাই। তাদের পরিচয় তারা দুর্বৃত্ত, তারা ক্রিমিনাল। এ ধরনের ক্রিমিনালদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দিতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি বলেন, আমাদের সাম্প্রদায়িক সৌহার্দ্যরে যে ঐতিহ্য এটা আবহমানকাল থেকে আছে, আগামীতেও থাকবে। ধর্মচর্চা আমাদেরকে যেন সংকীর্ণ করে না দেয়। ধর্মচর্চা আমাদের নৈতিকতাবোধ এবং মূল্যবোধের চেতনাকে যেন জাগ্রত করে। গতকাল সোমবার দুপুরে ‘টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ট অর্জন এবং নৈতিক শিক্ষার প্রসারে মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের ভূমিকা’ শীর্ষক চট্টগ্রাম জেলা কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ধর্ম উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। নগরীর পিটিআই অডিটোরিয়ামে দিনব্যাপী এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, ধর্ম যদি কর্মকে প্রভাবিত করতে না পারে তাহলে জীবনের দাম থাকে না। মানবতার সঙ্গে পরমাত্মার সম্পর্ক যদি আমরা নিবিড় করতে না পারি জীবনের আর দাম নাই, এটা আমাদের মনে রাখতে হবে। আমরা যার-যার ধর্ম অনুশীলন ও চর্চা করবো এটা আমার সাংবিধানিক অধিকার। এই দেশ আমাদের সবার। কোন অসুর বা শয়তান যদি কোন উপসনালয়, মন্দির, মসজিদ, মাদরাসা, মাজারকে অপবিত্র করতে চায়, হামলা চালায়, আমরা একযোগে তাদেরকে প্রতিহত করবো। সবাইকে নিজেদের ধর্ম অনুশীলন করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যারা নিজের দেশের সম্পদ লুট করে বিদেশে গিয়ে বাড়ি বানায় তারা কোনোদিন দেশপ্রেমিক নয়। এটা আমার দেশ, আমি এখানেই থাকবো। এখানেই আমার জন্ম, এখানেই আমার মৃত্যু। যারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে টাকা পাচার করেছে তারা দেশ এবং জাতির শত্রু। ইন্দোনেশিয়ার বালিতে সমস্ত ধর্মের একেকটা উপসনালয় পাশাপাশি উল্লেখ করে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, এটা কতবড় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নমুনা, কোন বিরোধ নেই। আমরা যার-যার ধর্ম পালন করবো, কিন্তু পারস্পরিক সহমর্মিতা সহানুভূতি প্রীতি ভালোবাসা আমাদের লোপ পাবে কেন? আমরাতো একসঙ্গে বাজারে যাই, চাকরি করি। অথচ হিংসা-বিদ্বেষ ও সাম্প্রদায়িকতা আমাদের অগ্রযাত্রাকে রুদ্ধ করেছে। ড. খালিদ হোসেন বলেন, আমাদের দেশকেও আমরা এ রকম সাম্প্রদায়িক সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির দেশে যাতে পরিণত করতে পারি সেই মানসিকতা সৃষ্টি করতে হবে। যারা সম্প্রীতি নষ্ট করে দিতে চায়, তারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়। আমাদের ঐতিহ্যকে তারা নষ্ট করে দিতে চায়। এর পেছনে আছে রাজনৈতিক কারণ। তিনি বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হবে জ্ঞান চর্চার কেন্দ্র। এখানে রাজনীতি ঢুকালে শেষ। পৃথিবীর কোন দেশে নাই এই চর্চা। আপনি একদিন দেরিতে যাবেন ইউরোপের কোন ইউনিভার্সিটিতে আপনাকে ঢুকতে দেবে না। আপনাকে বলবে নেক্সট সেমিস্টারে আস। আপনি যদি একটা পরীক্ষা না দেন, কিছুই বলতে হবে না, আপনি স্বাভাবিকভাবেই নেক্সট সেমিস্টারে চলে যাবেন। চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) শরিফ উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম ষষ্ঠ পর্যায়ের সহকারী প্রকল্প পরিচালক শ্রী রিঙ্কু কুমার শর্মার সঞ্চালনায় কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্প পরিচালক ড. শ্রীকান্ত কুমার পাল, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি দীপক কুমার পালিত, পরিমল কান্তি শীল, অ্যাডভোকেট পার্থ পাল চৌধুরী, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি অধ্যাপিকা ববি বড়ুয়া ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক সরকার সারোয়ার আলম প্রমুখ।

সম্পাদকীয় :

সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : সৈয়দ এম. আলতাফ হোসাইন।

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক : সৈয়দ মোঃ আতিকুল হাসান।

নির্বাহী সম্পাদক আশীষ কুমার সেন।

ফোন : ৪৯৩৫৭৭৩০ (বার্তা), ৮৩১৫৬৪৯ (বাণিজ্যিক), ফ্যাক্স; ৮৮-০২-৮৩১৪১৭৪

অফিস :

প্রকাশক কর্তৃক রোমাক্স লিমিটেড, তেজগাঁও শিল্প এলাকা থেকে মুদ্রিত।

সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : খলিল ম্যানশন (৩য়, ৫ম ও ৬ষ্ঠ তলা), ১৪৯/এ, ডিআইটি এক্সটেনশন এভিনিউ, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত।

ই-মেইল : [email protected], ওয়েবসাইট : www.dainikjanata.net