
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, ‘বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার সেতাবগঞ্জ চিনিকলটি এস আলম গ্রুপকে দিতে চেয়েছিল। এস আলম ব্যাংক থেকে শুরু করে এই দেশের অর্থনীতিকেই খেয়ে ফোকলা বানিয়ে ফেলেছিল। ফ্যাসিবাদের আসল চেহারা দেখা গেছে। মানুষকে বিভাজিত করা, গুম-খুন করে জবরদস্তি করে ক্ষমতায় থাকা- এসব কিছুর উদ্দেশ্য ছিল ক্ষমতা ব্যবহার করে লুটেপুটে খাওয়া আর বিদেশে অর্থ পাচার করা। ২৪৩ বিলিয়ন ডলার চুরি হয়ে গেছে।’ গতকাল রোববার দুপুরে দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলার সেতাবগঞ্জ শ্রমিক ইউনিয়ন ক্লাবে ছাত্র-কৃষক-শ্রমিক-রাজনীতিবিদ-সর্বস্তরের জনতার সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। সেতাবগঞ্জ ও শ্যামপুর চিনিকল চালুর জন্য বরাদ্দ অর্থ অবিলম্বে ছাড়, দ্রুত সংস্কারকাজ এবং পরবর্তী ধাপে বন্ধ চারটি চিনিকলের দ্রুত সংস্কার কাজ চালুর দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘ঠিক করোনার আগে চিনিকল ও পাটকলগুলো বন্ধ করা হয়েছিল। যাতে সে সময় শ্রমিকরা আন্দোলন করতে না পারেন। আমরা করোনার মধ্যে সেটার প্রতিবাদ করেছি। চিনিকল ও পাটকলগুলো বন্ধের পেছনে বিগত সরকার লোকসানকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করে। কিন্তু এই প্রতিষ্ঠানগুলো একসময় লাভজনক প্রতিষ্ঠান ছিল। কিন্তু আজ কেন লোকসান হচ্ছে। কারণ হিসেবে আমরা যেটা পাই, সেগুলোর মধ্যে একটি হলো চরম দুর্নীতি। এই দেশের আমলাতন্ত্র যেভাবে পরিচালিত হয়, সেখানে এই দুর্নীতি বাসা বেঁধেছে।’ সেতাবগঞ্জ চিনিকল পুনঃচালনা আন্দোলন পরিষদের আহ্বায়ক বদরুদ্দোজা বাপনের সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব সোহাগ হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বোচাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সাদিক রিয়াজ চৌধুরী পিনাক, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সফিকুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক জামাল উদ্দীন, বাংলাদেশ কৃষক সমিতির রংপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন, গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভুঁইয়া।