চীনা বিনিয়োগে বড় বাধা কোয়াড

আপলোড সময় : ১৫-০৮-২০২৫ ০৯:০১:৩৪ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ১৫-০৮-২০২৫ ০৯:০১:৩৪ অপরাহ্ন
* কোয়াড জোটভুক্ত দেশগুলোর আপত্তি
* বিনিয়োগবান্ধব করনীতির অভাব ও ঘনঘন পরিবর্তন
* ওয়ানস্টপ সার্ভিসের কার্যকারিতার অভাব
* দক্ষ জনশক্তির ঘাটতি ও ভাষাগত অদক্ষতা
* আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও রাজনৈতিক অস্থিরতা


বাংলাদেশে বিনিয়োগে রয়েছে নানান চ্যালেঞ্জ। এসব চ্যালেঞ্জ বিবেচনায় নিয়ে চীনা কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগে আগ্রহী। সম্প্রতি এক সেমিনারে এ বার্তা দেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। তবে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নানান প্রতিবন্ধকতার কথাও উল্লেখ করেন তিনি। বিশেষ করে অবকাঠামো, এনার্জি, বন্দর ইত্যাদি খাতে বিনিয়োগে চ্যালেঞ্জের কথা জানান রাষ্ট্রদূত। দেশে-বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে সরকারও আন্তরিক। তবে আশানুরূপ বিনিয়োগ আসছে না বিগত কয়েক বছরে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে কাজ করছে সরকারের একাধিক সংস্থা। বিশেষ করে চীনা বিনিয়োগের প্রতিবন্ধকতা চিহ্নিত করে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট একাধিক সংস্থাকে সুপারিশ দিয়েছে রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
চীনের সঙ্গে কৌশলগত বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে রাজনৈতিক অস্থিরতা, বৈদেশিক চাপ ও নীতিগত অনিশ্চয়তাকে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে চিহ্নিত করেছে গোয়েন্দা সংস্থাটি। এ বিষয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) ১২টি চ্যালেঞ্জ ও ২৬টি সুপারিশ পাঠানো হয়েছে। সেখানে চীনা বিনিয়োগে প্রতিবন্ধক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে ‘কোয়াড’ জোটভুক্ত দেশগুলোকে (অস্ট্রেলিয়া, ভারত, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র)।
রাষ্ট্রীয় ওই গোয়েন্দা সংস্থার চিঠি সূত্রে জানা যায়, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা ও দীর্ঘমেয়াদি অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশকে একাধিক কাঠামোগত, কৌশলগত ও নীতিগত বাধা দূর করতে হবে।
গোপনীয় ওই চিঠিতে বলা হয়, বিদেশি বিশেষ করে চীনা বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে আকৃষ্ট করতে বেশকিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে-বিনিয়োগবান্ধব করনীতির অভাব ও ঘনঘন পরিবর্তন, মুনাফা প্রত্যাবাসনে ডলার সংকটজনিত জটিলতা, আমলাতান্ত্রিক দুর্নীতি ও দীর্ঘসূত্রতা, দক্ষ জনশক্তির ঘাটতি ও ভাষাগত অদক্ষতা। এছাড়া অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা (বন্দর, হাইওয়ে, পরিবহন), জ্বালানি ও ইউটিলিটি সংকট, আইনশৃঙ্খলার অবনতি এবং রাজনৈতিক অস্থিরতাও অন্যতম কারণ। পাশাপাশি ঋণমান অবনমন ও আন্তর্জাতিক ক্রেডিট রেটিংয়ের অবনতি, ব্র্যান্ডিং ও বিপণনে দুর্বলতা, ওয়ানস্টপ সার্ভিসের কার্যকারিতার অভাব, বিভিন্ন বিনিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের মধ্যে সমন্বয়ের অভাবকে চিঠিতে চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা বলেন, অন্য দেশের বিনিয়োগে বাধা বলতে মূলত ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের ভূরাজনৈতিক ভূমিকার কথাই বোঝানো হয়েছে। তবে কোয়াড বিষয়ক জিও-পলিটিক্যাল চাপ আমাদের চীনের মতো কৌশলগত অংশীদারদের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, বিনিয়োগ সুরক্ষায় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে নীতিগত ঐক্য ও রোডম্যাপ থাকা উচিত। বিদেশি বিনিয়োগ রক্ষায় বহুদলীয় ঐকমত্যে নিরপেক্ষ কমিশন গঠনের সুপারিশ করেছে গোয়েন্দা সংস্থাটি।
রাজনৈতিক ইশতেহারে বিনিয়োগ বিষয়ক পরিষ্কার অবস্থান, কমিশনের সুপারিশে সব রাজনৈতিক দলের স্বাক্ষর নিশ্চিত করা, বিদেশি বিনিয়োগ সংক্রান্ত করনীতি স্থিতিশীল রাখা, চীনা মুদ্রায় লেনদেনের সুযোগ বৃদ্ধি, চীনের প্রধান শহরগুলোর সঙ্গে সরাসরি ফ্লাইট ও কনস্যুলার সেবা সম্প্রসারণ ইত্যাদি। চিঠিতে সংহত কাঠামো চেয়েছে সংস্থাটি। বিডা, বেজা, হাইটেক পার্ক ও বেপজার মধ্যে দায়িত্ব বণ্টনে অস্পষ্টতা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিভ্রান্ত করছে। সুপারিশে এসব প্রতিষ্ঠানকে একীভূত করে সিঙ্গেল পয়েন্ট অব কন্টাক্ট চালুর কথাও বলা হয়েছে। এছাড়া ডিজিটাল ওয়ান স্টপ সার্ভিসকে আরও কার্যকর করতে দুর্নীতি প্রতিরোধ, সফটওয়্যার সংযুক্তি ও ভিসা প্রক্রিয়ার সরলীকরণের সুপারিশ করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনবিআরের এক সদস্য বলেন, নীতিগত অনিশ্চয়তা শুধু চীনা বিনিয়োগে নয়, সামগ্রিকভাবে সব ধরনের বিনিয়োগে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। করনীতি বাস্তবায়নে পেশাগত কাঠামো এবং দীর্ঘমেয়াদি রোডম্যাপ দরকার। তিনি আরও বলেন, শুল্ক-কর ব্যবস্থায় পেপারলেস ও ফেসলেস কার্যক্রম চালুর মাধ্যমে স্বচ্ছতা আনা জরুরি। এ লক্ষ্য অর্জনে যোগ্য নেতৃত্ব ও রাজনৈতিক সদিচ্ছার গুরুত্ব তুলে ধরেন তিনি।
চীনা বিনিয়োগ বাড়াতে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে সুযোগ সুবিধা বাড়ানো ও মানবসম্পদ উন্নয়নে সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া চীনের জন্য বরাদ্দ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোকে দ্রুত কার্যকর করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট পণ্যে (ফার্মাসিউটিক্যালস, ইলেকট্রনিক্স, কৃষিপণ্য) রফতানিযোগ্য মান নিশ্চিত করতে বিশেষ জোন তৈরির বিষয়ে সুপারিশ করা হয়েছে। পাশাপাশি যৌথ উদ্যোগে দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে প্রশিক্ষণ, ইংরেজি ও চীনা ভাষায় দক্ষতা বাড়াতে ভাষা শিক্ষা কার্যক্রম জোরদারে গুরুত্ব দিয়েছে গোয়েন্দা সংস্থাটি।
তবে বাংলাদেশের বিদেশি বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়নে শুধু চীন নয়, সব আন্তর্জাতিক অংশীদারদের জন্য স্পষ্ট, স্থিতিশীল ও ব্যবসাবান্ধব কাঠামো প্রয়োজন। বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজনৈতিক ঐকমত্য ও প্রাতিষ্ঠানিক সমন্বয় না থাকলে কৌশলগত অংশীদারদের আস্থা অর্জন কঠিন হবে। যদিও চীনা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ‘শক্তিশালী দেশের’ বাধা বড় কিছু মনে করেন না অর্থনীতিবিদ ড. মাহফুজ কবীর। তিনি বলেন, জিও-পলিটিক্যাল সমস্যা খুব বড় কিছু নয়। চীনা বিনিয়োগে যুক্তরাষ্ট্র বাধা দেবে কেন? যুক্তরাষ্ট্রের বড় বড় বিনিয়োগ আছে চীনে। বিনিয়োগের সুষ্ঠু পরিবেশে নিশ্চিত না করতে পারাই আমাদের বড় বাধা। চীনা বিনিয়োগে বড় দেশ বাধা দেয়-এ ধারণাটাই বরং বিভ্রান্তিকর। এই অর্থনীতিবিদ আরও বলেন, বিদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অনেক কিছু বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয় চীন। অবকাঠামো, করব্যবস্থা সবকিছু মিলিয়ে তারা সঠিক মনে করলে তারপর বিনিয়োগ করে। মেইন ল্যান্ড চীনের বাইরে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে তারা তাইওয়ান, শ্রীলঙ্কা কিংবা বাংলাদেশের কথা বিবেচনা করে। কিন্তু বাংলাদেশে নানান জটিলতা বিশেষ করে ভূমি অধিগ্রহণ, লাইসেন্সিং, বন্দরে জট, ভঙ্গুর অবকাঠামো, দুর্নীতি-এসব অভিযোগ অনেক পুরোনো। এসব সমস্যা সমাধানে বড় কোনো উদ্যোগ আমরা দেখিনি। বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে সরকারের শীর্ষ কর্তারা নিয়মিত বসবেন বলেছিলেন। তবে সেটা হয়নি। এ অবস্থায় চীনসহ বিদেশি বিনিয়োগ আনতে অবকাঠামো উন্নয়নে মনোযোগের তাগিদ দেন এই অর্থনীতিবিদ।
ড. মাহফুজ কবীর আরও বলেন, আমাদের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো যদি ভালো হতো তাহলে চীন বা জাপানের জন্য যে অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো করা হয়েছিল সেগুলোর অবকাঠামো নিশ্চিত করা গেলে বিনিয়োগের দৈন্যদশা কেটে যেত। চীন ও জাপানের পাশাপাশি অন্য দেশের বিনিয়োগ পাওয়া যেত। তিনি বলেন, আমরা আসলে বিনিয়োগ পাওয়ার জন্য প্রস্তুত না। অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো সচল করা, বিনিয়োগ পরিবেশ ভালো করার মাধ্যমেই বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে হবে।
ওয়ানস্টপ সার্ভিস প্রসঙ্গে এই অর্থনীতিবিদ বলেন, বিডার যে ওয়ানস্টপ সার্ভিস তাতে বিনিয়োগকারীরা সন্তুষ্ট নয়। অল্প সময়ে কোনো কাজ হয় না। অনলাইনের পাশাপাশি বিনিয়োগকারীকে সরকারি অফিসে দৌড়াদৌড়ি করতে হয়।
ডিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেন, বিনিয়োগের ক্ষেত্রে স্থানীয় ও বিদেশি উভয় বিনিয়োগকারীরা অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন। যার মধ্যে রয়েছে প্রশাসনিক বাধা-যেমন শুল্ক, কর। রয়েছে নিয়ন্ত্রক প্রক্রিয়ায় সমস্যা থেকে শুরু করে অবকাঠামোগত বাধা, যাতে রয়েছে লজিস্টিক, পরিষেবা এবং শক্তির সরবরাহ নিরাপত্তা। প্রতিযোগিতামূলক শ্রমশক্তির মৌলিক সুবিধা অনেক উদ্যোক্তা কাজে লাগাতে পারেন না। তিনি আরও বলেন, ম্যাক্রো ইকোনমিক এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিনিয়োগের সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করে। পাশাপাশি ব্যবসার প্রবৃদ্ধিতে সঠিক সহায়ক পরিবেশের প্রয়োজন।
বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগ বাড়াতে সম্প্রতি দেশটি সফর করেন বিডার শীর্ষ কর্মকর্তারা। গত ২০ থেকে ২৬ জুলাই পর্যন্ত সাংহাই ও গুয়াংজুয়ে অনুষ্ঠিত এই বিনিয়োগ প্রচার কার্যক্রমের নেতৃত্ব দেন বিডা এবং বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন। পরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিডা জানায়, প্রতিনিধিদলটি চীনের দুটি শহরের ২৫টিরও বেশি কোম্পানির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছে। এসব বৈঠকে বাংলাদেশে নতুন বা সম্প্রসারিত বিনিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনার প্রধান খাতগুলোর মধ্যে ছিল নবায়নযোগ্য জ্বালানি, তৈরি পোশাক, স্বাস্থ্যসেবা এবং ভোক্তা ইলেকট্রনিক্স (হোম ইলেকট্রনিক্স)।
বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেন, চীনা কোম্পানিগুলোর আগ্রহ ও সক্রিয় অংশগ্রহণ আমাদের আশাবাদী করেছে। এসব বৈঠকের মাধ্যমে বাংলাদেশে সাম্প্রতিক গুরুত্বপূর্ণ নীতিগত অগ্রগতি তুলে ধরা হয়েছে। বিশেষত মুদ্রার স্থিতিশীলতা ও বিনিয়োগ প্রক্রিয়ার সহজীকরণ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এসব উদ্যোগ নিয়ে চীনা বিনিয়োগকারীরা ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। এর আগে গত ৯ জুলাই বাংলাদেশে চীনা উদ্যোক্তাদের সংগঠন চায়না এন্টারপ্রাইজ অ্যাসোসিয়েশন ইন বাংলাদেশ (সিইইএবি) আয়োজিত এক সেমিনারে জানানো হয়, অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক ও ব্যবসায়িক সম্পর্ক জোরদার করেছে সরকার। সাত মাসে ৪০ কোটি ডলারের চীনা বিনিয়োগ পেয়েছে বাংলাদেশ। ওই অনুষ্ঠানে চীন-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তীর নতুন যাত্রায় দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কও অনন্য উচ্চতায় যেতে চায় বলে জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২৪ সালে বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ২০৮ দশমিক ২৩ মিলিয়ন ডলার। ২০২৩ সালে ছিল ২৩০ দশমিক ২৫ মিলিয়ন ডলার ও ২০২২ সালে ১৬১ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলার চীনা বিনিয়োগ আসে বাংলাদেশে।
 

সম্পাদকীয় :

সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : সৈয়দ এম. আলতাফ হোসাইন।

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক : সৈয়দ মোঃ আতিকুল হাসান।

নির্বাহী সম্পাদক আশীষ কুমার সেন।

ফোন : ৪৯৩৫৭৭৩০ (বার্তা), ৮৩১৫৬৪৯ (বাণিজ্যিক), ফ্যাক্স; ৮৮-০২-৮৩১৪১৭৪

অফিস :

প্রকাশক কর্তৃক রোমাক্স লিমিটেড, তেজগাঁও শিল্প এলাকা থেকে মুদ্রিত।

সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : খলিল ম্যানশন (৩য়, ৫ম ও ৬ষ্ঠ তলা), ১৪৯/এ, ডিআইটি এক্সটেনশন এভিনিউ, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত।

ই-মেইল : [email protected], ওয়েবসাইট : www.dainikjanata.net