
কুমিল্লা থেকে মো. রজ্জব আলী
পিরানহা একটি রাক্ষুসে মাছ, পরিবেশের জন্য হুমকি স্বরূপ। তাই এটি বাংলণাদেশে চাষের জন্য নিষিদ্ধ। তবে এই আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের সাহেবের বাজারে প্রতিদিন বিক্রি হচ্ছে পিরানহা। মাছের আকার ভেদে বড় সাইজ ২৫০ টাকা এবং মাঝারি আকারের মাছ ২১০ টাকা প্রতি কেজিতে বিক্রি করছে মাছ ব্যবসায়ীরা। আর ক্রেতাদের কাছে এসব পিরানহার পরিচয় দিচ্ছে সামুদ্রিক মাছ রূপচাঁদা নামে। দীর্ঘদিন ধরে এটা বিক্রি হয়ে আসলেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন থেকে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না।
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ময়নামতির সাহেবের বাজার। বাজারটি এক সময় সপ্তাহে দু’দিন বসলেও বর্তমানে প্রতিদিনই সকাল থেকে বাজারটি শত শত ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড়ে সরগরম হয়ে উঠে। সরেজমিন বাজার ঘুরে দেখা যায়, দৈনন্দিন নিত্যপ্রয়োজনীয় তরিতরকারি ও অন্যান্য পণ্যের সাথে প্রচুর পরিমাণে মাছের আমদানি হয় বাজারটিতে। মাছের ব্যবসায়ীরা রুই, কাতল, মৃগেল, তেলাপিয়া, পাঙ্গাসসহ অন্যান্য মাছের সাথে সামুদ্রিক মাছ রূপচাদার পরিচয়ে প্রচুর পরিমানে নিষিদ্ধ পিরানহা মাছও বাজারজাত করছে কিছু অসাদূ বিক্রেতা। ক্রেতারাও প্রতিদিন সামুদ্রিক মাছ মনে করে দেদারছে কিনে প্রতারিত হচ্ছে। প্রতিদিন এই বাজারটিতে কমপক্ষে ৩/৪ মণ অধিক পিরানহা মাছ বিক্রি হচ্ছে বলে বাজার সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়। বাজারে কথা হয় পিরানহা মাছ বিক্রেতার সাথে এই প্রতিবেদকের। এসময় বিক্রেতাকে নিষিদ্ধ পিরানহার কথা বললে সে জানায়, মানুষ এই মাছের চাষ করে। কখনো পার্শ্ববর্তী আড়ৎ থেকেও কিনে এনে সেগুলো বিক্রি করছি। এসময় সে আরো বলে, ময়নামতি এলাকার বেশ কিছু পুকুরেও বছরের পর বছর ধরে পিরানহার চাষ হচ্ছে। এছাড়া পার্শ্ববর্তী একই উপজেলার কংশনগর বাজারের পাইকারদের কাছ থেকেও কিনে এনে বিক্রির কথা বলেন। দায়িত্বশীল একটি সূত্র মতে সরকার পিরানহা মাছটিকে রাক্ষুসী আখ্যায়িত করে ২০০৮ সালেই এটি সারাদেশে চাষ, উৎপাদন, পোনা উৎপাদন বংশ বৃদ্ধি, বাজারজাত করণ ও ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ করেছিল। এই মাছটি দেশীয় মাছের বংশ বৃদ্ধিও জন্য হুমকীস্বরূপ। এদের প্রভাবে দেশি মাছের সংখ্যা কমে যেতে পারে। এই মাছটি মানুষের জন্যও বিপজ্জনক। বিভিন্ন রোগ ছড়াতেও এই মাছটির ভূমিকা রয়েছে। তবুও কিছু অসাদু চক্র সামুদ্রিক মাছ রুপচাঁদা পরিচয়ে বাজারটিতে প্রতিদিন এই নিষিদ্ধ মাছ অবাধে বিক্রি করছেন। বিষয়টি জানতে চাইলে বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তানভীর হোসেন বলেন, এটা নিষিদ্ধ মাছ। আমরা অচিরেই অভিযান পরিচালনা করবো।
পিরানহা একটি রাক্ষুসে মাছ, পরিবেশের জন্য হুমকি স্বরূপ। তাই এটি বাংলণাদেশে চাষের জন্য নিষিদ্ধ। তবে এই আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের সাহেবের বাজারে প্রতিদিন বিক্রি হচ্ছে পিরানহা। মাছের আকার ভেদে বড় সাইজ ২৫০ টাকা এবং মাঝারি আকারের মাছ ২১০ টাকা প্রতি কেজিতে বিক্রি করছে মাছ ব্যবসায়ীরা। আর ক্রেতাদের কাছে এসব পিরানহার পরিচয় দিচ্ছে সামুদ্রিক মাছ রূপচাঁদা নামে। দীর্ঘদিন ধরে এটা বিক্রি হয়ে আসলেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন থেকে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না।
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ময়নামতির সাহেবের বাজার। বাজারটি এক সময় সপ্তাহে দু’দিন বসলেও বর্তমানে প্রতিদিনই সকাল থেকে বাজারটি শত শত ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড়ে সরগরম হয়ে উঠে। সরেজমিন বাজার ঘুরে দেখা যায়, দৈনন্দিন নিত্যপ্রয়োজনীয় তরিতরকারি ও অন্যান্য পণ্যের সাথে প্রচুর পরিমাণে মাছের আমদানি হয় বাজারটিতে। মাছের ব্যবসায়ীরা রুই, কাতল, মৃগেল, তেলাপিয়া, পাঙ্গাসসহ অন্যান্য মাছের সাথে সামুদ্রিক মাছ রূপচাদার পরিচয়ে প্রচুর পরিমানে নিষিদ্ধ পিরানহা মাছও বাজারজাত করছে কিছু অসাদূ বিক্রেতা। ক্রেতারাও প্রতিদিন সামুদ্রিক মাছ মনে করে দেদারছে কিনে প্রতারিত হচ্ছে। প্রতিদিন এই বাজারটিতে কমপক্ষে ৩/৪ মণ অধিক পিরানহা মাছ বিক্রি হচ্ছে বলে বাজার সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়। বাজারে কথা হয় পিরানহা মাছ বিক্রেতার সাথে এই প্রতিবেদকের। এসময় বিক্রেতাকে নিষিদ্ধ পিরানহার কথা বললে সে জানায়, মানুষ এই মাছের চাষ করে। কখনো পার্শ্ববর্তী আড়ৎ থেকেও কিনে এনে সেগুলো বিক্রি করছি। এসময় সে আরো বলে, ময়নামতি এলাকার বেশ কিছু পুকুরেও বছরের পর বছর ধরে পিরানহার চাষ হচ্ছে। এছাড়া পার্শ্ববর্তী একই উপজেলার কংশনগর বাজারের পাইকারদের কাছ থেকেও কিনে এনে বিক্রির কথা বলেন। দায়িত্বশীল একটি সূত্র মতে সরকার পিরানহা মাছটিকে রাক্ষুসী আখ্যায়িত করে ২০০৮ সালেই এটি সারাদেশে চাষ, উৎপাদন, পোনা উৎপাদন বংশ বৃদ্ধি, বাজারজাত করণ ও ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ করেছিল। এই মাছটি দেশীয় মাছের বংশ বৃদ্ধিও জন্য হুমকীস্বরূপ। এদের প্রভাবে দেশি মাছের সংখ্যা কমে যেতে পারে। এই মাছটি মানুষের জন্যও বিপজ্জনক। বিভিন্ন রোগ ছড়াতেও এই মাছটির ভূমিকা রয়েছে। তবুও কিছু অসাদু চক্র সামুদ্রিক মাছ রুপচাঁদা পরিচয়ে বাজারটিতে প্রতিদিন এই নিষিদ্ধ মাছ অবাধে বিক্রি করছেন। বিষয়টি জানতে চাইলে বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তানভীর হোসেন বলেন, এটা নিষিদ্ধ মাছ। আমরা অচিরেই অভিযান পরিচালনা করবো।