অংশীদারিত্ব জোরদারের অঙ্গীকার বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার

আপলোড সময় : ১৩-০৮-২০২৫ ১২:৫২:০৬ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ১৩-০৮-২০২৫ ১২:৫২:০৬ অপরাহ্ন
* মালয়েশিয়ান কোম্পানিগুলোকে বিনিয়োগের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার * আজিয়াটা গ্রুপের চেয়ারম্যানের সাথে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ * মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠক করেছেন ড. ইউনূস * দুই দেশের মধ্যে ৫ সমঝোতা স্মারক, তিনটি নোট বিনিময় সই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হয়ে বাংলাদেশ-মালয়েশিয়ার সম্পর্ককে আরও গভীর ও ভবিষ্যতমুখী কৌশলগত অংশীদারিত্বে রূপান্তরের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার পুত্রজায়ার পার্দানা পুত্রা ভবনে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন মালয়েশিয়ার বিভিন্ন সেক্টরের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা। প্রধান উপদেষ্টার সফরকালে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া পাঁচটি সমঝোতা স্মারক এবং তিনটি নোট বিনিময় সই করেছে। পুত্রজায়ায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তিনদিনের মালয়েশিয়া সফরের প্রথম দিন এ চুক্তি সই হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম ও ড. ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। জানা গেছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম এক দ্বিপাক্ষিক একান্ত বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। তার আগে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি সীমিত অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। পরে তারা বাণিজ্য, বিনিয়োগ, অভিবাসন, জ্বালানি সহযোগিতা, নীল অর্থনীতি, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিনিময়সহ বিস্তৃত দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে প্রতিনিধি পর্যায়ের আলোচনায় নেতৃত্ব দেন। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আমাদের দুই দেশ ইতিহাস, ধর্ম ও সাংস্কৃতিক সহানুভূতির ওপর ভিত্তি করে একটি গভীর বন্ধন রয়েছে। মালয়েশিয়া আমাদের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার, বিশেষত মানবসম্পদ ও বাণিজ্য খাতে। আনোয়ার ইব্রাহিম ড. ইউনূসকে ‘মালয়েশিয়ার বন্ধু’ হিসেবে আখ্যায়িত করে তার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। তিনি বাণিজ্য বৃদ্ধি ও অভিবাসী কর্মীদের কল্যাণ, শিক্ষা ও রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের প্রচেষ্টায় সহযোগিতা সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। বৈঠকে ড. ইউনূস মালয়েশিয়াকে প্রোটোকলের আওতায় আটকে পড়া প্রায় ৮ হাজার বাংলাদেশি কর্মীকে প্রবেশের সুযোগ দেওয়া এবং একাধিকবার প্রবেশের ভিসা চালুর জন্য ধন্যবাদ জানান। যার ফলে জরুরি পরিস্থিতিতে শ্রমিকরা তাদের চাকরির ঝুঁকি না নিয়ে দেশে ফিরে যেতে পারবেন। বৈঠকে উভয়পক্ষ ব্যয় হ্রাস ও শ্রমিক কল্যাণ রক্ষার জন্য স্বচ্ছ ও ন্যায্য নিয়োগ প্রক্রিয়ার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন। প্রতিনিধি পর্যায়ের আলোচনায় আইন, বিচার ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জিটুজির আওতায় চিকিৎসক ও প্রকৌশলীসহ আরও দক্ষ বাংলাদেশি পেশাদারদের নিয়োগের জন্য মালয়েশিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, চিকিৎসক ও প্রকৌশলীসহ দক্ষ পেশাজীবীদের সরকারি পর্যায়ে নিয়োগের সুযোগ বাড়ানো দরকার। এ ছাড়া প্রবাসে কর্মরত অনিয়মিত বাংলাদেশিদের বৈধতার আওতায় আনার অনুরোধ জানান আসিফ নজরুল। মালয়েশিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশি কর্মীরা এখন থেকে স্থানীয়দের মতোই সামাজিক নিরাপত্তা সুবিধা পাবেন এবং বাংলা ভাষায় অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন। তাছাড়া বাংলাদেশ মালয়েশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অধ্যয়নরত হাজার হাজার শিক্ষার্থীর জন্য ‘গ্র্যাজুয়েট পাস’ ভিসা দেওয়ার অনুরোধ করেছে। বর্তমানে দেশটিতে ১০ হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন। বৈঠকে দুই নেতা আসিয়ানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও গভীর করার আকাক্সক্ষা নিয়ে আলোচনা করেন, যার মধ্যে সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার মর্যাদার প্রচেষ্টা ও আসিয়ানের সভাপতিত্বের সময় মালয়েশিয়ার সমর্থন চেয়েছেন। ড. ইউনূস মালয়েশিয়াকে কক্সবাজারে আসন্ন রোহিঙ্গা সংকট বিষয়ক সম্মেলন ও সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের নেতৃত্বে রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানান। তিনি রোহিঙ্গা জনগণের প্রতি ধারাবাহিক সমর্থনের জন্য মালয়েশিয়াকে ধন্যবাদ জানান। অর্থনৈতিক বিষয়ে বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা ত্বরান্বিত করতে, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের মাধ্যমে বিনিয়োগ সহযোগিতা জোরদার করতে এবং মালয়েশিয়া-বাংলাদেশ যৌথ ব্যবসা পরিষদ কার্যকর করতে সম্মত হয়েছে। দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতার কথা তুলে ধরে ঢাকা মালয়েশিয়ার বাজারে ওষুধ, ব্যাটারি, পাদুকা, সিরামিক এবং পাটের মতো বাংলাদেশি পণ্যের জন্য বৃহত্তর বাজার প্রবেশাধিকার চেয়েছে। দু’দেশ এলএনজি সরবরাহ ও জ্বালানি সহযোগিতার ওপর একটি নতুন সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরকে স্বাগত জানিয়েছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি অংশীদারিত্ব অন্বেষণেও উভয়পক্ষ সম্মত হয়েছে। তারা প্রতিরক্ষা, সংস্কৃতি ও পর্যটন ক্ষেত্রে সহযোগিতা নিয়েও আলোচনা করেছে। প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরসহ এশিয়ার খ্যাতনামা সাহিত্যিক ও চিন্তাবিদদের নিয়ে একটি সাংস্কৃতিক সম্মেলন আয়োজনের প্রস্তাব দেন। এর আগে পুত্রজায়ায় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে ড. ইউনূসকে গার্ড অব অনার দিয়ে লাল গালিচায় স্বাগত জানানো হয়। পরে দুই নেতার উপস্থিতিতে একাধিক সমঝোতা স্মারক সই হয়। যার মধ্যে ছিল প্রতিরক্ষা, এলএনজি সরবরাহ, কৌশলগত গবেষণা, ব্যবসা-বাণিজ্য, কূটনৈতিক প্রশিক্ষণ, হালাল শিল্প ও উচ্চশিক্ষা সহযোগিতা। উভয়পক্ষ কূটনৈতিক প্রশিক্ষণ, হালাল শিল্প সহযোগিতা ও উচ্চশিক্ষা সহযোগিতার বিষয়ে নোট বিনিময়ও করেন। দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম প্রধান উপদেষ্টার সম্মানে একটি মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেন। এদিকে মালয়েশিয়ার বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশকে ব্যবসাবান্ধব করার জন্য একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে। অতীতে বাংলাদেশে ব্যবসা আমার ধারণা অনুযায়ী এগোয়নি। নতুন বাংলাদেশে অনেক কিছুর উদ্ভব হচ্ছে। এর মধ্যে একটি হলো ব্যবসায়িক সম্ভাবনা। গতকাল মঙ্গলবার কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ সংক্রান্ত এক ব্যবসায়িক ফোরামে দেওয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ ব্যবসাবান্ধব হতে সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। আমি একটি পরিবর্তনশীল বাংলাদেশে সীমাহীন সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি। ড. ইউনূস উল্লেখ করেন, বাংলাদেশে তরুণ ও সৃষ্টিশীল মানুষের অভাব নেই এবং বিশ্বজুড়ে থাকা বাংলাদেশি তরুণদের প্রতিভা কাজে লাগানো যেতে পারে। প্রবাসী তরুণদের মধ্যে সবসময় দেশকে কিছু দেওয়ার আকাঙ্ক্ষা থাকে, বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে বিডা ও বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন এক উপস্থাপনায় বাংলাদেশের প্রতিযোগিতামূলক বিনিয়োগ সুবিধা এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেওয়া বিভিন্ন শুল্ক ও অশুল্ক বাধা দূরীকরণ উদ্যোগ তুলে ধরেন। রবির প্রাথমিক শেয়ারহোল্ডার ও আজিয়াটা গ্রুপের সিইও ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিবেক সুদ বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠানটির ২৮ বছরের সফল অংশীদারিত্ব ও বৃদ্ধির গল্প তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পেট্রোলিয়াম ন্যাশনাল বেরহাদের (পেট্রোনাস) সভাপতি ও গ্রুপ সিইও টেংকু মুহাম্মদ তৌফিক, সোভেরিন ওয়েলথ ফান্ড খাজানা ন্যাশনালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিরুল ফয়সাল ওয়ান জহির, পাম তেল কোম্পানি সিমে ডার্বি প্ল্যান্টেশনস, কুয়ালালামপুর কেপং বেরহাদ (কেএলকে), আইওআই কর্পোরেশন ও ফেলডা গ্লোবাল ভেঞ্চারসের (এফজিভি) শীর্ষ কর্মকর্তারা, প্রোটন হোল্ডিংস বেরহাদের (প্রোটন) চেয়ারম্যান সৈয়দ ফয়সাল আলবার এবং গ্লাভ প্রস্তুতকারক টপ গ্লোভ কর্পোরেশনের নির্বাহী চেয়ারম্যান লিম উই চাই। অপরদিকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন মালয়েশিয়ার বিভিন্ন সেক্টরের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা। গতকাল মঙ্গলবার ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তারা সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন-মালয়েশিয়ার আজিয়াটা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও স্বাধীন নন-এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর শাহরিল রিজা রিদজুয়ান, সার্বভৌম সম্পদ তহবিল খাজানা ন্যাশনাল বেরহাদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিরুল ফয়সাল ওয়ান জাহির এবং মালয়েশিয়ার হালাল শিল্পের নেতারা। প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, কুয়ালালামপুরে হোটেলে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মালয়েশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা পৃথক পৃথক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের সুযোগ নিয়ে অনুষ্ঠিত এক ব্যবসা ফোরামে বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, অতীতে বাংলাদেশে ব্যবসা আমার ধারণা মতো এগোয়নি। তবে নতুন বাংলাদেশে অনেক কিছুই গড়ে উঠছে, যার মধ্যে অন্যতম হলো ব্যবসার সম্ভাবনা। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সর্বোচ্চভাবে ব্যবসাবান্ধব হওয়ার চেষ্টা করছে। আমি পরিবর্তিত বাংলাদেশে অসীম সম্ভাবনা খুঁজে পেয়েছি। গতকাল মঙ্গলবার পুত্রজায়ায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তিনদিনের মালয়েশিয়া সফরের প্রথম দিন বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া পাঁচটি সমঝোতা স্মারক এবং তিনটি নোট বিনিময় সই করেছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম ও ড. ইউনূস। উচ্চশিক্ষা খাতে সহযোগিতা নিয়ে প্রথম নোট বিনিময় হয়। মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী উতামা হাজি মোহাম্মদ বিন হাজি হাসান এবং বাংলাদেশের প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ নজরুল নিজ নিজ দেশের পক্ষে নোট বিনিময়ে স্বাক্ষর করেন। কূটনীতিকদের প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত দ্বিতীয় নোট বিনিময় হয়। এতে মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী উতামা হাজি মোহাম্মদ বিন হাজি হাসান এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন স্বাক্ষর করেন। বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া সরকারের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা নিয়ে প্রথম সমঝোতা স্মারকটি স্বাক্ষরিত হয়। মালয়েশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোহাম্মদ খালেদ বিন নরদিন এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এ এমওইউ-তে স্বাক্ষর করেন। তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহ, এলএনজি অবকাঠামো, পেট্রোলিয়াম পণ্য ও তার অবকাঠামোতে সহযোগিতা বিষয়ে দ্বিতীয় সমঝোতা স্মারকটি স্বাক্ষরিত হয়। মালয়েশিয়ার ভারপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী আমীর হামজা বিন আজিজান এবং বাংলাদেশের জ্বালানি উপদেষ্টা এম ফওজুল কবির খান এই এমওইউ-তে স্বাক্ষর করেন। তৃতীয় নোট বিনিময় হালাল ইকোসিস্টেমে সহযোগিতা সংক্রান্ত। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর দফতরের উপমন্ত্রী সিনেটর ড. জুলকিফলি বিন হাসান এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন নোট বিনিময়ে স্বাক্ষর করেন। তৃতীয় সমঝোতা স্মারকটি মালয়েশিয়ার ইনস্টিটিউট অব স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ (আইএসআইএস) এবং বাংলাদেশের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের মধ্যে সহযোগিতা নিয়ে। আইএসআইএস মালয়েশিয়ার চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহদ ফায়েজ আবদুল্লাহ এবং মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান এই এমওইউ-তে স্বাক্ষর করেন। চতুর্থ সমঝোতা স্মারকটি মাইমোস সার্ভিসেস এসডিএন বিহাড এবং বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিএমসিসিআই)-এর মধ্যে সহযোগিতা নিয়ে। মাইমোস সার্ভিসেসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ ফাউজি ইয়াহায়া এবং বিএমসিসিআই-এর সাব্বির আহমেদ খান এমওইউ-তে স্বাক্ষর করেন। পঞ্চম সমঝোতা স্মারকটি মালয়েশিয়ার ন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এনসিসিআইএম) এবং বাংলাদেশের এফবিসিসিআইয়ের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়। এনসিসিআইএম-এর প্রেসিডেন্ট এন গোপালাকৃষ্ণন এবং এফবিসিসিআইয়ের প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান এমওইউ-তে স্বাক্ষর করেন। প্রধান উপদেষ্টা স্থানীয় সময় সোমবার সন্ধ্যা ৭টা ৫০মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। মঙ্গলবার বিকেলে একটি ব্যবসায় ফোরামে অংশ নেবেন প্রধান উপদেষ্টা। এরপর তিনি মালয়েশিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশ নেবেন। আজ বুধবার ইউনিভার্সিটি কেবাংসান মালয়েশিয়ার (ইউকেএম) আচার্য এবং নেগেরি সেমবিলান রাজা তুয়াংকু মুহরিয ইবনি আলমারহুম তুয়াংকু মুনাওয়ির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন মুহাম্মদ ইউনূস।

সম্পাদকীয় :

সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : সৈয়দ এম. আলতাফ হোসাইন।

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক : সৈয়দ মোঃ আতিকুল হাসান।

নির্বাহী সম্পাদক আশীষ কুমার সেন।

ফোন : ৪৯৩৫৭৭৩০ (বার্তা), ৮৩১৫৬৪৯ (বাণিজ্যিক), ফ্যাক্স; ৮৮-০২-৮৩১৪১৭৪

অফিস :

প্রকাশক কর্তৃক রোমাক্স লিমিটেড, তেজগাঁও শিল্প এলাকা থেকে মুদ্রিত।

সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : খলিল ম্যানশন (৩য়, ৫ম ও ৬ষ্ঠ তলা), ১৪৯/এ, ডিআইটি এক্সটেনশন এভিনিউ, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত।

ই-মেইল : [email protected], ওয়েবসাইট : www.dainikjanata.net