সফল হলে দেশে কর্মসংস্থান বাড়বে

ভেঞ্চার ক্যাপিটাল তহবিল করছে বাংলাদেশ ব্যাংক

আপলোড সময় : ১১-০৮-২০২৫ ০৮:১৩:৪৯ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ১১-০৮-২০২৫ ০৮:১৩:৪৯ অপরাহ্ন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
এক হাজার ২০০ কোটি টাকার স্টার্টআপ উদ্যোগে বিনিয়োগের জন্য ভেঞ্চার ক্যাপিটাল তহবিল করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে ৭০০ কোটি টাকা এসেছে ব্যাংকগুলো থেকে। অর্থনীতি বিশ্লেষকদের মতে, ভেঞ্চার ক্যাপিটাল সফল হলে দেশে কর্মসংস্থান বাড়বে, একইসঙ্গে তৃণমূল থেকে বৃহৎ অর্থনীতিতেও প্রভাব রাখবে তরুণরা। এজন্য ব্যাংকগুলোর পরিবেশ উদ্যোক্তাবান্ধব হওয়ার পরামর্শ আর্থিক খাত বিশ্লেষকদের।
ভেঞ্চার ক্যাপিটাল হলো এমন একটি প্রতিষ্ঠান, যারা সম্ভাবনাময় ছোটছোট উদ্যোগ বা স্টার্টাপে বিনিয়োগ করে। বিশ্বের অর্থনীতি শাসন করা ইনটেল, ফেইসবুক, মাইক্রোসফট, ই-বে, অ্যামাজন, অ্যাপলের মতো প্রতিষ্ঠান আজ ভেঞ্চার ক্যাপিটালের ওপর দাঁড়িয়ে। বাংলাদেশেও ভেঞ্চার ক্যাপিটাল জনপ্রিয় করতে আর্থিক বিনিয়োগ ছাড়াও নীতি সহায়তা ও পুঁজিবাজারে অংশগ্রহণের সুযোগ থাকতে হবে। সম্প্রতি স্টার্টআপ খাতে অর্থায়নের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। স্টার্ট আপের সংজ্ঞায় প্রযুক্তি নির্ভর ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান বা শিল্প উদ্যোগ অথবা দেশি-বিদেশি যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত সম্ভাবনাময় বিস্তৃতিযোগ্য নতুন উদ্ভাবনী পণ্য বা সেবা অথবা দারকারী প্রতিষ্ঠান এই ভেঞ্চার ক্যাপিটালের সহায়তা পাবেন। এরই অংশ হিসেবে জয়েন্ট ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফান্ডে এখন পর্যন্ত ৪২টি ব্যাংকের নিট মুনাফা থেকে এক শতাংশ হারে ৭০০ কোটি টাকা সংগ্রহ হয়েছে। আরও ৫০০ কোটি টাকা পুনঃঅর্থায়ন করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। যেসব প্রতিষ্ঠানের বয়স ১২ বছরের মধ্যে হবে, তারা এই বিনিয়োগে আবেদন করতে পারবেন। এছাড়া যেসব উদ্যোক্তাদের বয়স ২১ বছরের বেশি হতে হবে। প্রতিষ্ঠানের বয়স বিবেচনায় বিভিন্ন স্তরে ২ কোটি টাকা থেকে ৮ কোটি পর্যন্ত এই বিনিয়োগ পাওয়া যাবে। তবে এই বরাদ্দকৃত অর্থ যথেষ্ট হবে না বলে মনে করে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, অনেকেই প্রাথমিকভাবে বলবে যে এক হাজার ২০০ কোটি টাকায় কী হবে? কিন্তু আমার কথা হলো যে শূন্যের চেয়ে তো এক হাজার ২০০ কোটি টাকা অনেক বেশি। আর্থিক খাত বিশ্লেষকদের মতে, স্টার্টআপ বিনিয়োগে ঝুঁকি বেশি, আবার সফল হলে লাভও বেশি। ফলে অর্থনীতির নির্ভরশীলতার ফ্ল্যাডলাইট পাল্টে দিতে পারে এই খাত। বিআইবিএমের অধ্যাপক ড. শাহ মো. আহসান হাবীব বলেন, ৫টি প্রতিষ্ঠানতে একসঙ্গে টাকা দেবো। ২টি টিকবে, আর ২টির মধ্যে কোনোটাতে রিটার্ন আসবে ৫০ শতাংশ, কোনোটাতে ৬০ শতাংশ। এরপর ৫টার গড় কিন্তু ১০ শতাংশের বেশি হচ্ছে। এদিকে একইসঙ্গে স্টার্টআপে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল দেশের বাজারে কর্মসংস্থান সৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে মেধা পাচারও কমাবে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। সাবেক ব্যাংকার মামুন রশীদ বলেন, ভালো ভালো তরুণ-তরুণীরা এখন চলে যাচ্ছে স্টার্টআপে। আর স্টার্টআপে সফল না হলে তারা চলে যাচ্ছেন বিদেশে। তাই আমাদের ইকোসিস্টেমের মধ্যে মেধা লালনের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে, যেটা ভবিষ্যতে আমাদের নীতি প্রণয়নেও কাজে লাগবে। গবেষণা প্রতিষ্ঠান লাইটক্যাসেলের তথ্যমতে, গত এক দশকে স্টার্টআপ খাতে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ হয়েছে ভেঞ্চার ক্যাপিটালের মাধ্যমে। সব মিলে এই খাতে ১০ হাজার ৭০০ কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ হয়েছে, যেখানে বিদেশি ভেঞ্চার ক্যাপিটালের অংশিদারিত্ব ১০ হাজার ৪৯২ কোটি টাকা। মাত্র ২০৭ কোটি টাকার বিনিয়োগ তহবিল দেশীয়। স্টার্টআপ খাতে বিনিয়োগ সহযোগী দেশীয় পরিবেশ তৈরি করা গেলে দেশের অন্যতম সফল ও টেকসই খাত হতে পারে এই খাত।
 

সম্পাদকীয় :

সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : সৈয়দ এম. আলতাফ হোসাইন।

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক : সৈয়দ মোঃ আতিকুল হাসান।

নির্বাহী সম্পাদক আশীষ কুমার সেন।

ফোন : ৪৯৩৫৭৭৩০ (বার্তা), ৮৩১৫৬৪৯ (বাণিজ্যিক), ফ্যাক্স; ৮৮-০২-৮৩১৪১৭৪

অফিস :

প্রকাশক কর্তৃক রোমাক্স লিমিটেড, তেজগাঁও শিল্প এলাকা থেকে মুদ্রিত।

সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : খলিল ম্যানশন (৩য়, ৫ম ও ৬ষ্ঠ তলা), ১৪৯/এ, ডিআইটি এক্সটেনশন এভিনিউ, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত।

ই-মেইল : [email protected], ওয়েবসাইট : www.dainikjanata.net