পাইকগাছায় পাটচাষির সোনালি স্বপ্ন অতিবৃষ্টিতে ভেসে গেছে

আপলোড সময় : ১১-০৮-২০২৫ ১২:৩৬:২৯ পূর্বাহ্ন , আপডেট সময় : ১১-০৮-২০২৫ ১২:৩৬:২৯ পূর্বাহ্ন
পাইকগাছা (খুলনা) থেকে প্রকাশ ঘোষ বিধান
অতিবৃষ্টির কারণে পাইকগাছার পাটচাষিদের সোনালি স্বপ্ন যেন পানিতে ভেসে গেছে। মাঠ ভর্তি সোনালি ফসল নষ্ট হওয়ার কারণে কৃষকরা হতাশ। অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে পাট পচে যাওয়া, ক্ষেত ডুবে যাওয়া এবং বাজারে ভালো দাম না পাওয়ার শঙ্কায় রয়েছেন তারা।
অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে পাট চাষের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। মাঠ পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় পাট পচে যাচ্ছে এবং ফলন কমে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বৃষ্টিতে পাট পচে যাওয়ায়, কৃষক তাদের সোনাি স্বপ্ন পূরণ করতে পারছেন না।
কৃষকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, পাটের বীজ বপন থেকে শুরু করে বড় হওয়া পর্যন্ত খরচসহ পরিশ্রম মিলিয়ে মুলধন ঘরে উঠবে কিনা এখনই কৃষকেরা করছেন তার হিসেব-নকেশ। নতুন পাট বাজারে প্রায় তিন হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। শ্রমিক সংকট ফলে বেশি দরে শ্রমিক নিয়ে পাট কাটতে হচ্ছে, ধোয়া খরচও বেশি সে ক্ষেত্রে পাটের ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তিতে বেশ হতাশায় রয়েছেন কৃষকেরা। উপজেলা কৃষি  অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় চলতি মৌসুমে ৩৯০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। লবণক্ত পাইকগাছার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে গদাইপুর, হরিঢালী, কপিলমুনি, রাড়ুলী, পৌরসভার জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। পজেলার হিতামপুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম জানান, পাট চাষের শুরুতে বৃষ্টি না হলেও পাটের আবাদ ভালো হয়েছিল। পাট তিন চার ফুট উঁচু হলো একটানা অতিবৃষ্টিতে পাট খেত জলমগ্ন হয়ে পড়ে, এ পানি আর নিষ্কাশন না হওয়ায় পাটে গোড়া পচা শুরু হয়, পাট তেমন বড় হয়নি। কৃষক সামাদ জানান, বিঘাপ্রতি দুই মণ পাট হতে পারে। পাট কাটা, ধোয়া ও শুকানো চলছে। পাট ছোট হওয়ায় আশও ভালো হয়নি।
অতি বৃষ্টিতে পাট ভালো হয়নি তার উপর কাটা, ধোয়া ও শুকানো খরচ মিটাতে কৃষক হিমশিম খাচ্ছে। এদিকে পাট কাটা শেষে সেগুলো জাগ দিয়েছেন পানিতে। জাগ শেষে পাটের আঁশ ছাড়ানোর পর চলবে শুকানোর পালা। পরিশেষে বিক্রির জন্য পাট নিয়ে যাবে কৃষক হাটে। পাটের দামের উপর চাষির খরচ নিরূপণ হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. একরামুল হোসেন জানান, কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের প্রদায়না হিসাবে বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে। পাট চাষের শুরুতে বৃষ্টি হয়নি, পাট কিছুটা বড় হলে অতিবৃষ্টির কারণে পাটের আবাদ ভালো হয়নি। পাট বড় হতে না পারায় আশের মানও খারাপ হয়েছে এতে কৃষকরা আশানারূপ দাম পাচ্ছে না। খরচের টাকা না উঠায় কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
 

সম্পাদকীয় :

সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : সৈয়দ এম. আলতাফ হোসাইন।

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক : সৈয়দ মোঃ আতিকুল হাসান।

নির্বাহী সম্পাদক আশীষ কুমার সেন।

ফোন : ৪৯৩৫৭৭৩০ (বার্তা), ৮৩১৫৬৪৯ (বাণিজ্যিক), ফ্যাক্স; ৮৮-০২-৮৩১৪১৭৪

অফিস :

প্রকাশক কর্তৃক রোমাক্স লিমিটেড, তেজগাঁও শিল্প এলাকা থেকে মুদ্রিত।

সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : খলিল ম্যানশন (৩য়, ৫ম ও ৬ষ্ঠ তলা), ১৪৯/এ, ডিআইটি এক্সটেনশন এভিনিউ, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত।

ই-মেইল : [email protected], ওয়েবসাইট : www.dainikjanata.net