স্টাফ রিপোর্টার
ফেনীর সোনাগাজীতে মুসলিমদের কবরস্থানের নামে কৌশলে এক হিন্দু পরিবারের ৭ শতাংশ জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার বগাদানা ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামের ডাক্তার গোপালের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিক মাস্টার প্রফুল্ল নাথ, প্রিয়তোষ নাথ ও ডাক্তার গোপাল নাথের দুই ছেলে জমি উদ্ধারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। জানা গেছে, বগাদানা ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামের গোপাল ডাক্তার বাড়ির সঙ্গে কয়েকটি মুসলিম পরিবারের বসবাস। এসূত্রে হিন্দু ও মুসলিম পরিবারগুলোর ভালো সম্পর্ক রয়েছে। সেখানে মুসলিম পরিবারগুলোর জন্য কোন কবরস্থান নেই। শত বছর পূর্বে এক মুসলিম প্রতিবেশিকে কবর দেয়ার অনুমতি দিয়েছিলেন মাস্টার প্রফুল্ল নাথের পূর্বপুরুষরা। এর ধারাবাহিকতা চলে দীর্ঘদিন। ইতোমধ্যে কবরের জায়গা সম্প্রসারণ ও মাটি ভরাটের চেষ্টা করে মুসলিম পরিবারগুলো। এতে বাধা দেয় জমির মালিকগণ। গত ১৩ এপ্রিল পূর্ব পাইকপাড়া জামে মসজিদের সামনে শালিসী বৈঠক হয়। এতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন বাবুল ও সদস্য মো. আলী আল-মনির, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ সোনাগাজীর সাধারণ সম্পাদক জগবন্ধু নাথ ও দুই সম্প্রদায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। ওই জমির মালিক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক প্রফুল্ল নাথ বলেন, শত বছর আগে মুসলিম পরিবারের কোনো লোক মারা গেলে আমাদের মালিকানাধীন জায়গায় কবর দিতে তারা (মুসলিম) অনুমতি চাইতেন। আমরা অনুমতি দিয়েছি। রমজানে একটি মৃতদেহ কবর দেয়া হয়েছে, কেউ অনুমতি নেয়নি। আবার রাতের আঁধারে গাছ কেটে এবং মাটি ফেলে জায়গা ভরাট করে দখলের চেষ্টা করা হচ্ছে। এ জন্য ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারের কাছে অভিযোগ দিয়েছে। গত ১৩ এপ্রিল বৈঠকে চেয়ারম্যান কবর স্থানান্তর করতে বলেছেন। কিন্তু মিডিয়াতে দেখলাম আমরা নাকি জমি দান করেছি। আমরা আমাদের বাড়ির সামনের অংশে কোনভাবে মুসলিমদের কবর দেয়ার অনুমতি দিতে পারি না। অপর ভূমি মালিক যামিনি নাথ বলেন, কোন স্থাপনা না করার শর্তে কবরগুলো থাকতে পারে বলে সম্মতি দিয়েছি। এটুকু দুর্বলতা মনে করে কেউ দখলের চিন্তা করতে পারে না। পাইকপাড়ার সমাজপতি নুরুল ইসলাম জানান, কবর দেয়া জায়গার পরিমাণ ৭ শতাংশ। ওইটুকু আমরা দাবি করেছি, তারাও রাজি হয়েছেন। গণমাধ্যমের ২০ শতাংশ দানের বিষয়টি বানোয়াট প্রচারের কারণে দাতারা ক্ষিপ্ত হয়েছেন। বগাদানা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন বাবুল জানান, হিন্দু সম্প্রদায়ের পরিবারগুলো মুসলিম পরিবারের কবরস্থানের জন্য শর্ত সাপেক্ষে ৪ শতাংশ ছাড় দিতে রাজি হয়েছিল। আমরা সীমানা করে দিয়েছিলাম। দ্রুত এ কবর স্থানান্তরের উদ্যোগ নেয়া হবে। সোনাগাজী মডেল থানার ওসি সুদ্বীপ রায় পলাশ বলেন, পুরো বিষয়টি নজরে এসেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ফেনীর সোনাগাজীতে মুসলিমদের কবরস্থানের নামে কৌশলে এক হিন্দু পরিবারের ৭ শতাংশ জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার বগাদানা ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামের ডাক্তার গোপালের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিক মাস্টার প্রফুল্ল নাথ, প্রিয়তোষ নাথ ও ডাক্তার গোপাল নাথের দুই ছেলে জমি উদ্ধারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। জানা গেছে, বগাদানা ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামের গোপাল ডাক্তার বাড়ির সঙ্গে কয়েকটি মুসলিম পরিবারের বসবাস। এসূত্রে হিন্দু ও মুসলিম পরিবারগুলোর ভালো সম্পর্ক রয়েছে। সেখানে মুসলিম পরিবারগুলোর জন্য কোন কবরস্থান নেই। শত বছর পূর্বে এক মুসলিম প্রতিবেশিকে কবর দেয়ার অনুমতি দিয়েছিলেন মাস্টার প্রফুল্ল নাথের পূর্বপুরুষরা। এর ধারাবাহিকতা চলে দীর্ঘদিন। ইতোমধ্যে কবরের জায়গা সম্প্রসারণ ও মাটি ভরাটের চেষ্টা করে মুসলিম পরিবারগুলো। এতে বাধা দেয় জমির মালিকগণ। গত ১৩ এপ্রিল পূর্ব পাইকপাড়া জামে মসজিদের সামনে শালিসী বৈঠক হয়। এতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন বাবুল ও সদস্য মো. আলী আল-মনির, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ সোনাগাজীর সাধারণ সম্পাদক জগবন্ধু নাথ ও দুই সম্প্রদায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। ওই জমির মালিক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক প্রফুল্ল নাথ বলেন, শত বছর আগে মুসলিম পরিবারের কোনো লোক মারা গেলে আমাদের মালিকানাধীন জায়গায় কবর দিতে তারা (মুসলিম) অনুমতি চাইতেন। আমরা অনুমতি দিয়েছি। রমজানে একটি মৃতদেহ কবর দেয়া হয়েছে, কেউ অনুমতি নেয়নি। আবার রাতের আঁধারে গাছ কেটে এবং মাটি ফেলে জায়গা ভরাট করে দখলের চেষ্টা করা হচ্ছে। এ জন্য ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারের কাছে অভিযোগ দিয়েছে। গত ১৩ এপ্রিল বৈঠকে চেয়ারম্যান কবর স্থানান্তর করতে বলেছেন। কিন্তু মিডিয়াতে দেখলাম আমরা নাকি জমি দান করেছি। আমরা আমাদের বাড়ির সামনের অংশে কোনভাবে মুসলিমদের কবর দেয়ার অনুমতি দিতে পারি না। অপর ভূমি মালিক যামিনি নাথ বলেন, কোন স্থাপনা না করার শর্তে কবরগুলো থাকতে পারে বলে সম্মতি দিয়েছি। এটুকু দুর্বলতা মনে করে কেউ দখলের চিন্তা করতে পারে না। পাইকপাড়ার সমাজপতি নুরুল ইসলাম জানান, কবর দেয়া জায়গার পরিমাণ ৭ শতাংশ। ওইটুকু আমরা দাবি করেছি, তারাও রাজি হয়েছেন। গণমাধ্যমের ২০ শতাংশ দানের বিষয়টি বানোয়াট প্রচারের কারণে দাতারা ক্ষিপ্ত হয়েছেন। বগাদানা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন বাবুল জানান, হিন্দু সম্প্রদায়ের পরিবারগুলো মুসলিম পরিবারের কবরস্থানের জন্য শর্ত সাপেক্ষে ৪ শতাংশ ছাড় দিতে রাজি হয়েছিল। আমরা সীমানা করে দিয়েছিলাম। দ্রুত এ কবর স্থানান্তরের উদ্যোগ নেয়া হবে। সোনাগাজী মডেল থানার ওসি সুদ্বীপ রায় পলাশ বলেন, পুরো বিষয়টি নজরে এসেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।