
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) বিভিন্ন সময়ে সংঘটিত অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে শাস্তির মুখে পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের (নিষিদ্ধঘোষিত) ২৮ জন নেতাকর্মী। এদের মধ্যে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকও। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্ম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গত ২৬ জুলাই অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৩তম রিজেন্ট বোর্ড সভায় এই শাস্তিমূলক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শাস্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে ১১ জন শিক্ষার্থীর অ্যাকাডেমিক সনদ আজীবনের জন্য বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়া ৬ জনকে আজীবনের জন্য এবং ৪ জনকে তিন বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আর ৭ জন শিক্ষার্থীর অ্যাকাডেমিক সনদ তিন বছরের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের নির্যাতনের অভিযোগে ২০২৪ সালের ১১ জানুয়ারি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ গ্রহণ ও পর্যালোচনার পর ২৪ জুলাই কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়। ৯টি অভিযোগের মধ্যে ৬টি প্রমাণিত হয়, ২টির সত্যতা মেলেনি এবং ১টি অভিযোগ অভিযোগকারী ও অভিযুক্তের মধ্যে সমঝোতায় নিষ্পত্তি হয়। আজীবনের জন্য অ্যাকাডেমিক সনদ বাতিলদের তালিকায় রয়েছেন লিংকন হোসেন, নুরুল্লাহ (ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক), মাসুদ রানা সরকার, হামিদুর রহমান শামীম, ইকরামুল ইসলাম, মিনহাজুল ইসলাম প্রান্ত, রাসেল হোসেন রিয়াদ, বিল্লাল হোসেন, সুরুজ মিয়া আপেল, শেহজাদ হাসান এবং শিবু দাস। তিন বছরের জন্য সনদ স্থগিত হয়েছে শাহেদ জামিন হিরা, নাজমুল ইসলাম আবীর, সাব্বির হোসেন সবুজ, শেখ রাসেল, সোহানুর রহমান সোহান, জহরুল ইসলাম পিয়াস এবং জহির রায়হানের। আজীবন বহিষ্কৃত হয়েছেন ফরিদুল ইসলাম বাবু (ছাত্রলীগ সভাপতি), নাইমুর নাহিদ ইমন, আশিক আরমান শোভন, তৌফিক হাসান হৃদয়, অয়ন আলমাস এবং তানশু দাস। তিন বছরের জন্য বহিষ্কৃত হয়েছেন আশরাফুল ইসলাম, আকাশ ভূঁইয়া, অনিক পোদ্দার এবং শাহ আলম। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্ম বলেন, বিচার প্রক্রিয়ায় কোনো অবিচার করা হয়নি। তদন্ত কমিটি নিরপেক্ষ ও পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করেছে। অভিযুক্তদের আত্মপক্ষ সমর্থনের যথাযথ সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হয়নি, তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।