
ভারতের উত্তরাখণ্ডে ভারী বৃষ্টি ও আকস্মিক বন্যায় ১১ সেনাসহ অর্ধশতর বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। বিভিন্ন স্থানে আটকে পড়া লোকজনকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। রাজ্যের উত্তরকাশীতে এখন পর্যন্ত চারজন নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয় এক কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেছেন, প্রাথমিক তথ্য অনুসারে, বন্যায় ৪০ থেকে ৫০টি বাড়ি ভেসে গেছে এবং বহু মানুষ নিখোঁজ হয়েছে। নিখোঁজদের মধ্যে ১১ সেনা সদস্য রয়েছেন।
হারসিল এলাকার একটি সেনাক্যাম্পে আকস্মিক বন্যার স্রোতে তারা নিখোঁজ হয়েছেন বলে জানা গেছে। সেনাবাহিনী, পুলিশ, জাতীয় দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া বাহিনী (এনডিআরএফ) এবং রাজ্য দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া বাহিনী উদ্ধার কাজে নিয়োজিত রয়েছে। উত্তরপ্রদেশ এবং মধ্যপ্রদেশ থেকে এনডিআরএফের বিভিন্ন টিমকে বিমানে করে পাহাড়ি রাজ্যে পাঠানো হয়েছে। রাজ্য সরকার এবং জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। সেনাবাহিনী এবং আধাসামরিক বাহিনীসহ বিভিন্ন উদ্ধারকারী দল উত্তরকাশী জেলার ধরলি গ্রামে পৌঁছেছে যা বন্যার সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ বলে মনে করা হচ্ছে। দুর্যোগের ভিডিওতে দেখা গেছে, বিশাল এক জলরাশি ওই এলাকার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে, যার ফলে ভবনগুলো ভেঙে পড়ছে। পর্যটন কেন্দ্র ধরলিতে অনেকে হোটেল, রিসোর্ট ও রেস্তোরাঁ রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা আস্থা পাওয়ার জানান, তার চোখের সামনে বেশ কয়েকটি হোটেল ভেসে গেছে এবং কর্তৃপক্ষের দিক থেকে কোনো সতর্কতা জারি করা হয়নি। সেনাবাহিনীর তথ্যমতে, ভূমিধস ও মেঘ ভাঙনের ফলে নিকটবর্তী সেনা ক্যাম্পের একটি অংশ এবং উদ্ধারকারী দলও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন এবং ত্রাণ দল মোতায়েন করা হয়েছে। শুধু তীব্র বৃষ্টি থেকেই এমন পরিস্থিতি হয়েছে বলে মানতে নারাজ বিশেষজ্ঞরা। স্যাটেলাইট চিত্র এবং আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞদের একাংশের আশঙ্কা, মেঘ ভাঙা বৃষ্টি নয় বরং হিমবাহ ধস অথবা গ্লেসিয়ার লেকে বিস্ফোরণের ফলে সৃষ্টি হয়েছে ভয়াবহ হড়পা বানের এবং সেটা থেকেই পরিস্থিতি এমন ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। এদিকে ভারী বৃষ্টি ছাড়াও ঘনঘন বজ্রপাত, ধস ও বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরাখণ্ডের একাধিক জেলায়। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মঙ্গলবার ২৪ ঘণ্টায় ১৭৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এই পরিমাণ বৃষ্টিপাত সাধারণত ‘এক্সট্রিমলি হেভি রেন’-এর তালিকায় পড়ে। বুধবারও দেরাদুন, হরিদ্বার, তেহরি, পাউরি, গাড়ওয়ালে অতি ভারী থেকে ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। এসব স্থানে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।
হারসিল এলাকার একটি সেনাক্যাম্পে আকস্মিক বন্যার স্রোতে তারা নিখোঁজ হয়েছেন বলে জানা গেছে। সেনাবাহিনী, পুলিশ, জাতীয় দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া বাহিনী (এনডিআরএফ) এবং রাজ্য দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া বাহিনী উদ্ধার কাজে নিয়োজিত রয়েছে। উত্তরপ্রদেশ এবং মধ্যপ্রদেশ থেকে এনডিআরএফের বিভিন্ন টিমকে বিমানে করে পাহাড়ি রাজ্যে পাঠানো হয়েছে। রাজ্য সরকার এবং জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। সেনাবাহিনী এবং আধাসামরিক বাহিনীসহ বিভিন্ন উদ্ধারকারী দল উত্তরকাশী জেলার ধরলি গ্রামে পৌঁছেছে যা বন্যার সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ বলে মনে করা হচ্ছে। দুর্যোগের ভিডিওতে দেখা গেছে, বিশাল এক জলরাশি ওই এলাকার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে, যার ফলে ভবনগুলো ভেঙে পড়ছে। পর্যটন কেন্দ্র ধরলিতে অনেকে হোটেল, রিসোর্ট ও রেস্তোরাঁ রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা আস্থা পাওয়ার জানান, তার চোখের সামনে বেশ কয়েকটি হোটেল ভেসে গেছে এবং কর্তৃপক্ষের দিক থেকে কোনো সতর্কতা জারি করা হয়নি। সেনাবাহিনীর তথ্যমতে, ভূমিধস ও মেঘ ভাঙনের ফলে নিকটবর্তী সেনা ক্যাম্পের একটি অংশ এবং উদ্ধারকারী দলও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন এবং ত্রাণ দল মোতায়েন করা হয়েছে। শুধু তীব্র বৃষ্টি থেকেই এমন পরিস্থিতি হয়েছে বলে মানতে নারাজ বিশেষজ্ঞরা। স্যাটেলাইট চিত্র এবং আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞদের একাংশের আশঙ্কা, মেঘ ভাঙা বৃষ্টি নয় বরং হিমবাহ ধস অথবা গ্লেসিয়ার লেকে বিস্ফোরণের ফলে সৃষ্টি হয়েছে ভয়াবহ হড়পা বানের এবং সেটা থেকেই পরিস্থিতি এমন ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। এদিকে ভারী বৃষ্টি ছাড়াও ঘনঘন বজ্রপাত, ধস ও বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরাখণ্ডের একাধিক জেলায়। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মঙ্গলবার ২৪ ঘণ্টায় ১৭৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এই পরিমাণ বৃষ্টিপাত সাধারণত ‘এক্সট্রিমলি হেভি রেন’-এর তালিকায় পড়ে। বুধবারও দেরাদুন, হরিদ্বার, তেহরি, পাউরি, গাড়ওয়ালে অতি ভারী থেকে ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। এসব স্থানে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।