জর্জ কস্তার অধিনায়কত্বেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের গৌরব অর্জন করেছিল পর্তুগিজ ক্লাব পোর্তো। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ৫৩ বছর বয়সী সাবেক এই অধিনায়ক মারা গেছেন গত মঙ্গলবার। হোসে মরিনহো কোচ থাকার সময় ২০০৪ সালে তার অধীনে পোর্তোকে ইউরোপ সেরার শিরোপা জেতান এই ডিফেন্ডার। পর্তুগিজ জাতীয় দলের হয়েও খেলেছেন ৫০ম্যাচ। খেলেছেন প্রিমিয়ার লিগ। ধারে ২০০১-০২ মৌসুমে চার্লটনে একটি মৌসুম খেলেছেন। তার পর খেলোয়াড়ি জীবন থেকে অবসর নেন ২০০৬ সালে। এই সেন্টার ব্যাক তার পর কোচিং ক্যারিয়ার বেছে নিয়ে ১৬টি ক্লাবের হয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। গত মৌসুম পোর্তোর পেশাদার ফুটবল পরিচালকের দায়িত্ব বুঝে নেন। সেখানেই ক্লাবটির ট্রেনিং সেন্টারে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয় তার। ক্লাবটি জানিয়েছে, ‘জীবনের পুরোটা জুড়ে মাঠের ভেতর এবং বাইরে জর্জ কস্তা এফসি পোর্তোর যে মূল্যবোধগুলোকে প্রতিনিধিত্ব করে তা ফুটিয়ে তুলেছেন: নিষ্ঠা, নেতৃত্ব, আবেগ এবং অটুট বিজয়-স্পৃহা। যার মাধ্যমে তিনি সমর্থকদের একাধিক প্রজন্মের ওপর নিজের ছাপ রেখে গেছেন।’ এই গ্রীষ্মে সাবেক কোনও খেলোয়াড়ের তৃতীয় অপ্রত্যাশিত মৃত্যুর ঘটনা দেখলো পোর্তো। গত জুলাইয়ে ধারে খেলা ক্লাবের সাবেক ফুটবলার ডিয়োগো জোতা এবং তার ভাই আন্দ্রে সিলভার সড়ক দুর্ঘটনায় মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটেছে। তারা ক্লাবে ছয় বছর কাটিয়েছিলেন। ফেনারবাচের কোচ হোসে মরিনহো ২০০২ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত পোর্তোতে কস্তার কোচ ছিলেন। ফেইনুর্ডের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচের আগে এক সংবাদ সম্মেলনে কান্না চেপে রেখে সাবেক অধিনায়ককে শ্রদ্ধা জানান তিনি। বলেছেন, ‘‘যদি সে এখন আমার সঙ্গে কথা বলতে পারতো, বলতো ‘তুমি তোমার প্রেস কনফারেন্স করো, আগামীকাল ম্যাচটা খেলো, আর ম্যাচটা জেতো-আমাকে ভুলে যাও।’ আমি চেষ্টা করবো আজ আর কাল আমার কাজটা করতে, তারপর কাঁদবো।” কস্তা পোর্তোর অ্যাকাডেমি থেকে উঠে এসেছিলেন এবং ক্লাবের হয়ে খেলেছেন ৩২৪টি ম্যাচ। ২০০৫ সালে ক্লাব ছাড়ার আগে ট্রফি জেতেন ২৪টি, যার মধ্যে রয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ইউরোপা কাপ এবং ৮টি প্রিমেইরা লিগা শিরোপা।