
সপ্তাহজুড়ে বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে রাঙামাটির কাপ্তাই লেকে পানির উচ্চতা বিপদসীমায় পৌঁছেছে। এ অবস্থায় গতকাল সোমবারবিকালে ১৬টি জলকপাট ৬ ইঞ্চি করে ছেড়ে দেওয়ার কথা থাকলেও সার্বিক পরিস্থিতির বিবেচনায় আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় খোলা হবে বলে জানিয়েছেন কাপ্তাই জল বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মাহমুদ হাসান।তিনি জানান, সকালে কাপ্তাই লেকের পানির লেভেল ১০৭.৪৯ ফুট মিনস সি লেভেল। হ্রদের পানির ধারণ ক্ষমতা ১০৯ মিনস সি লেভেল হলেও বাঁধের বয়সের কারণে ১০৭ এর বেশি হলে এটিকে বিপদসীমা ধরা হয়। কাপ্তাই লেকে পানি উচ্চতা বিপদসীমায় পৌঁছেছে। বাঁধের ১৬টি জলকপাট ৬ ইঞ্চি করে প্রতি সেকেন্ড ৯ হাজার কিউসেক পানি কাপ্তাই লেক থেকে কর্ণফুলী নদীতে নিষ্কাশন করা হবে।এই কর্মকর্তা জানান, একইসঙ্গে কেন্দ্রে ৫টি ইউনিট থেকে সর্বমোট ২১৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে। এ বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে গিয়ে প্রতি সেকেন্ড আরও ৩২ হাজার কিউসেক পানি কাপ্তাই লেক থেকে কর্ণফুলী নদীতে নিষ্কাশন হচ্ছে।তিনি আরও জানান, বর্তমানে লেকের ইনফ্লো ও বৃষ্টিপাত পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। পানির লেভেল অপ্রত্যাশিতভাবে বৃদ্ধি পেলে স্পিল ওয়ের (জলকপাট) গেট খোলার পরিমাণ পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি করা হবে।এদিকে, হ্রদে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার নিম্নাঞ্চলের প্লাবিত হতে শুরু করেছে। বাঘাইছড়ি, লংগদু উপজেলার বেশকিছু এলাকার মানুষ পানিবন্দি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।রাঙামাটি সদরের শান্তি নগর এলাকার বাসিন্দা আইয়ুব আলী বলেন, আমার ঘরে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। এভাবে পানি বৃদ্ধি পেলে আর ঘরে থাকা যাবে না। কাপ্তাই বাঁধ খুলে না দিলে এই এলাকার প্রায় সবাই অসুবিধার মধ্যে পড়ে যাবে। সরকার আমাদের দিকে নজর দেবে এটাই কামনা করি।