
দীর্ঘ মাস পর গাজায় মাত্র ৩৬টি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করতে দিয়েছে ইসরায়েল। কিন্তু ইসরায়েলি বাহিনীর ইচ্ছাকৃত বিশৃঙ্খলায় ট্রাকগুলোর বেশিরভাগই লুট হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে গাজা সরকার। খবর আনাদোলু এজেন্সির।
গাজা সরকারের গণমাধ্যম অফিস জানায়, গত শুক্রবার গাজায় মাত্র ৩৬টি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করে। অথচ বাসিন্দাদের প্রতিদিনের চাহিদা মেটাতে প্রয়োজন ৫০০ থেকে ৬০০ ট্রাক ত্রাণ। এরপরও যতটুকু প্রবেশ করেছে, সেটাও প্রকৃত ক্ষুধার্ত ব্যক্তিরা পায়নি। গণমাধ্যম অফিস আরও বলেছে, ত্রাণ বিতরণ করার আগেই বেশিরভাগ ত্রাণবাহী ট্রাকের জিনিসপত্র লুটপাট হয়ে গেছে। গাজাবাসীকে ক্ষুধার্ত রাখার পদ্ধতিগত পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ট্রাকগুলো লুটপাট করার সুযোগ দেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। গাজায় গত প্রায় দুই বছর ধরে সামরিক আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরায়েল। সেই সঙ্গে গত মার্চ মাস থেকে সর্বাত্মক অবরোধ চলছে। সবগুলো সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সীমান্তের বাইরে থেকে কোনো ত্রাণ সহায়তা সেখানে প্রবেশ করতে পারছে না। ফলে ভূমধ্যসাগর পাড়ের ছোট্ট ভূখণ্ডটিতে তীব্র খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। এদিকে গাজায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল পরিচালিত ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে কিছু সহায়তা দেয়া হলেও সেখানে ত্রাণ নিতে আসা ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে নিয়মিত গুলি চালাচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা। তাতে প্রায় প্রতিদিনই মানুষ মারা যাচ্ছে। রিপোর্ট মতে, গত মে মাসে এই সংস্থার কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর থেকে এক হাজার তিন শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। গাজায় রীতিমতো দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে। লাখ লাখ মানুষ অনাহারে-অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছে। এক টুকরো রুটির জন্য সর্বত্র হাহাকার। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, অনাহার ও অপুষ্টিতে এরই মধ্যে ১৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৯৩ জনই শিশু। গত সপ্তাহে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) সতর্ক করে জানায়, ইসরায়েলি অবরোধের কারণে গাজার ২২ লক্ষাধিক জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশই টানা কয়েক দিন ধরে অনাহারে রয়েছে। ডব্লিউএফপির অনুমান, গাজার প্রতি চারজন ফিলিস্তিনিতে একজন দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতির মুখোমুখি এবং ১ লাখ নারী ও শিশু তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে। এদিকে গাজায় ক্ষুধা ও দুর্ভিক্ষের মধ্যেই রোববার ৬৬৬তম দিনের মতো গাজাজুড়ে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এসব হামলায় একদিনের আরও ৪৪ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ২২ জনই ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছে। মোট নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬০ হাজার ৪৩০ জনে।
গাজা সরকারের গণমাধ্যম অফিস জানায়, গত শুক্রবার গাজায় মাত্র ৩৬টি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করে। অথচ বাসিন্দাদের প্রতিদিনের চাহিদা মেটাতে প্রয়োজন ৫০০ থেকে ৬০০ ট্রাক ত্রাণ। এরপরও যতটুকু প্রবেশ করেছে, সেটাও প্রকৃত ক্ষুধার্ত ব্যক্তিরা পায়নি। গণমাধ্যম অফিস আরও বলেছে, ত্রাণ বিতরণ করার আগেই বেশিরভাগ ত্রাণবাহী ট্রাকের জিনিসপত্র লুটপাট হয়ে গেছে। গাজাবাসীকে ক্ষুধার্ত রাখার পদ্ধতিগত পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ট্রাকগুলো লুটপাট করার সুযোগ দেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। গাজায় গত প্রায় দুই বছর ধরে সামরিক আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরায়েল। সেই সঙ্গে গত মার্চ মাস থেকে সর্বাত্মক অবরোধ চলছে। সবগুলো সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সীমান্তের বাইরে থেকে কোনো ত্রাণ সহায়তা সেখানে প্রবেশ করতে পারছে না। ফলে ভূমধ্যসাগর পাড়ের ছোট্ট ভূখণ্ডটিতে তীব্র খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। এদিকে গাজায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল পরিচালিত ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে কিছু সহায়তা দেয়া হলেও সেখানে ত্রাণ নিতে আসা ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে নিয়মিত গুলি চালাচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা। তাতে প্রায় প্রতিদিনই মানুষ মারা যাচ্ছে। রিপোর্ট মতে, গত মে মাসে এই সংস্থার কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর থেকে এক হাজার তিন শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। গাজায় রীতিমতো দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে। লাখ লাখ মানুষ অনাহারে-অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছে। এক টুকরো রুটির জন্য সর্বত্র হাহাকার। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, অনাহার ও অপুষ্টিতে এরই মধ্যে ১৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৯৩ জনই শিশু। গত সপ্তাহে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) সতর্ক করে জানায়, ইসরায়েলি অবরোধের কারণে গাজার ২২ লক্ষাধিক জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশই টানা কয়েক দিন ধরে অনাহারে রয়েছে। ডব্লিউএফপির অনুমান, গাজার প্রতি চারজন ফিলিস্তিনিতে একজন দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতির মুখোমুখি এবং ১ লাখ নারী ও শিশু তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে। এদিকে গাজায় ক্ষুধা ও দুর্ভিক্ষের মধ্যেই রোববার ৬৬৬তম দিনের মতো গাজাজুড়ে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এসব হামলায় একদিনের আরও ৪৪ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ২২ জনই ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছে। মোট নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬০ হাজার ৪৩০ জনে।