
দু’পক্ষের লড়াই জমেছিল বেশ। পাঁচ ম্যাচের সিরিজের শেষ টেস্টে ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল মাত্র ৩৫ রান, হাতে ছিল ৪ উইকেট। অন্যদিকে ভারতের দরকার ছিল চারটি উইকেট। সব উত্তেজনা জমা ছিল একেবারে শেষ দিনের জন্য। আর সেই উত্তেজনার জবাব দেন মোহাম্মদ সিরাজ-শুধু জবাবই নয়, ওভালে ছড়ান জয়োল্লাসের রঙ।
ইংল্যান্ডের রাজধানী লন্ডনের ওভালে শুক্রবার (১ আগস্ট) অনুষ্ঠিত এই টেস্টের পঞ্চম দিনে ভারতের জয়ের সম্ভাবনাকে যেন নিজের হাতে টেনে আনেন পেসার মোহাম্মদ সিরাজ। ৩৭৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংসে গুটিয়ে যায় ৩৬৭ রানে। মাত্র ৬ রানে রুদ্ধশ্বাস জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ভারত, আর তাতেই ৫ ম্যাচের সিরিজ ২-২ ব্যবধানে ড্র হয়।
দিনের শুরুটা ছিল নাটকীয়তার ইঙ্গিতে। আগের দিন অপরাজিত থাকা জেমি ওভারটন শুরুতেই প্রসিদ্ধ কৃষ্ণকে দুটি বাউন্ডারি মেরে চাপ কমানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু সিরাজের পরের ওভারে জেমি স্মিথকে ফিরিয়ে দেন তিনি। এরপর এক ওভার বিরতি দিয়ে ওভারটনকেও ফেরান এই ডানহাতি পেসার। ইংল্যান্ড পড়ে যায় চাপে। তবু লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন গাস অ্যাটকিনসন।
ইংল্যান্ড যখন ৯ উইকেট হারিয়ে জয় থেকে ১৭ রান দূরে, তখন চোটগ্রস্ত ক্রিস ওকস কাঁধে স্লিং বেঁধে মাঠে নামেন। এক হাতে ব্যাট চালানো এই সাহসী সিদ্ধান্তে গ্যালারিতে দর্শকদের চোখে জল চলে আসে। আরেক প্রান্তে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন অ্যাটকিনসন। একটি ছক্কা, কিছু সিঙ্গেল-তাতে হালকা হলেও ভারতের মনে ভয়ের ছায়া পড়ে। কিন্তু সিরাজের ইয়র্কারে ক্লিন বোল্ড হয়ে যায় সেই স্বপ্ন। ভারত পেয়ে যায় রোমাঞ্চকর এক জয়।
ম্যাচের নায়ক নিঃসন্দেহে মোহাম্মদ সিরাজ। দুই ইনিংস মিলিয়ে তিনি নিয়েছেন ৯ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে ১০৪ রানে ৫ উইকেট তার দখলে। অন্যদিকে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা ১২৬ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। ইংল্যান্ডের পক্ষে হ্যারি ব্রুক দ্বিতীয় ইনিংসে করেন ১১১ রান এবং জো রুট যোগ করেন ১০৫।
ভারতের ব্যাটিংয়ে সবচেয়ে উজ্জ্বল ছিলেন জশস্বী জয়সওয়াল। দ্বিতীয় ইনিংসে ১১৮ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলে দলকে বড় সংগ্রহ এনে দিতে সাহায্য করেন তিনি। তার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন আকাশ দীপ, রবীন্দ্র জাদেজা ও ওয়াশিংটন সুন্দর-তিনজনই অর্ধশতক তুলে নেন।
এ টেস্টে ভারতীয় ইনিংস ছিল যথাক্রমে ২২৪ ও ৩৯৬ রানে শেষ। প্রথম ইনিংসে জেমস অ্যান্ডারসনের অনুপস্থিতিতে ইংল্যান্ডের পক্ষে বোলিং নেতৃত্ব দেন গাস অ্যাটকিনসন ও জশ টাঙ, দুজনেই নিয়েছেন পাঁচ উইকেট করে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, এই ম্যাচেই ভারতের সবচেয়ে কম ব্যবধানে (৬ রানে) জয় হিসেবে রেকর্ড গড়ে। টেস্ট সিরিজ ২-২ সমতা থাকায় কেউই জয়ের ট্রফি নিয়ে মাঠ ছাড়েনি, তবে রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনার স্বাদ যেন পুরোপুরি নিয়ে গেছে দুই দলই।
ইংল্যান্ডের রাজধানী লন্ডনের ওভালে শুক্রবার (১ আগস্ট) অনুষ্ঠিত এই টেস্টের পঞ্চম দিনে ভারতের জয়ের সম্ভাবনাকে যেন নিজের হাতে টেনে আনেন পেসার মোহাম্মদ সিরাজ। ৩৭৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংসে গুটিয়ে যায় ৩৬৭ রানে। মাত্র ৬ রানে রুদ্ধশ্বাস জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ভারত, আর তাতেই ৫ ম্যাচের সিরিজ ২-২ ব্যবধানে ড্র হয়।
দিনের শুরুটা ছিল নাটকীয়তার ইঙ্গিতে। আগের দিন অপরাজিত থাকা জেমি ওভারটন শুরুতেই প্রসিদ্ধ কৃষ্ণকে দুটি বাউন্ডারি মেরে চাপ কমানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু সিরাজের পরের ওভারে জেমি স্মিথকে ফিরিয়ে দেন তিনি। এরপর এক ওভার বিরতি দিয়ে ওভারটনকেও ফেরান এই ডানহাতি পেসার। ইংল্যান্ড পড়ে যায় চাপে। তবু লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন গাস অ্যাটকিনসন।
ইংল্যান্ড যখন ৯ উইকেট হারিয়ে জয় থেকে ১৭ রান দূরে, তখন চোটগ্রস্ত ক্রিস ওকস কাঁধে স্লিং বেঁধে মাঠে নামেন। এক হাতে ব্যাট চালানো এই সাহসী সিদ্ধান্তে গ্যালারিতে দর্শকদের চোখে জল চলে আসে। আরেক প্রান্তে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন অ্যাটকিনসন। একটি ছক্কা, কিছু সিঙ্গেল-তাতে হালকা হলেও ভারতের মনে ভয়ের ছায়া পড়ে। কিন্তু সিরাজের ইয়র্কারে ক্লিন বোল্ড হয়ে যায় সেই স্বপ্ন। ভারত পেয়ে যায় রোমাঞ্চকর এক জয়।
ম্যাচের নায়ক নিঃসন্দেহে মোহাম্মদ সিরাজ। দুই ইনিংস মিলিয়ে তিনি নিয়েছেন ৯ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে ১০৪ রানে ৫ উইকেট তার দখলে। অন্যদিকে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা ১২৬ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। ইংল্যান্ডের পক্ষে হ্যারি ব্রুক দ্বিতীয় ইনিংসে করেন ১১১ রান এবং জো রুট যোগ করেন ১০৫।
ভারতের ব্যাটিংয়ে সবচেয়ে উজ্জ্বল ছিলেন জশস্বী জয়সওয়াল। দ্বিতীয় ইনিংসে ১১৮ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলে দলকে বড় সংগ্রহ এনে দিতে সাহায্য করেন তিনি। তার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন আকাশ দীপ, রবীন্দ্র জাদেজা ও ওয়াশিংটন সুন্দর-তিনজনই অর্ধশতক তুলে নেন।
এ টেস্টে ভারতীয় ইনিংস ছিল যথাক্রমে ২২৪ ও ৩৯৬ রানে শেষ। প্রথম ইনিংসে জেমস অ্যান্ডারসনের অনুপস্থিতিতে ইংল্যান্ডের পক্ষে বোলিং নেতৃত্ব দেন গাস অ্যাটকিনসন ও জশ টাঙ, দুজনেই নিয়েছেন পাঁচ উইকেট করে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, এই ম্যাচেই ভারতের সবচেয়ে কম ব্যবধানে (৬ রানে) জয় হিসেবে রেকর্ড গড়ে। টেস্ট সিরিজ ২-২ সমতা থাকায় কেউই জয়ের ট্রফি নিয়ে মাঠ ছাড়েনি, তবে রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনার স্বাদ যেন পুরোপুরি নিয়ে গেছে দুই দলই।