
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল এশিয়া কাপকে সামনে রেখে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিতে চলেছে একটি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি সিরিজের মধ্য দিয়ে। প্রতিপক্ষ ইউরোপের পরিচিত ক্রিকেট শক্তি-নেদারল্যান্ডস। তিন ম্যাচের এই সিরিজটি আয়োজিত হবে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে, যথাক্রমে ১৯, ২২, ২৫ আগস্ট।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এরই মধ্যে ডাচ ক্রিকেট বোর্ডকে প্রস্তাবিত সূচি ও ভেন্যুর খসড়া পাঠিয়েছে। নেদারল্যান্ডস মৌখিকভাবে সম্মতি দিলেও এখনো সমঝোতা চুক্তি সই হয়নি। তবে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগের চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিম জানিয়েছেন, আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হলেই সিরিজ ঘোষণা করা হবে।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের পিচ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই রয়েছে সমালোচনা। সর্বশেষ পাকিস্তান সিরিজেও সেই সমালোচনার ঝড় উঠে। সফরকারী দলের অধিনায়ক সালমান আঘা ও কোচ মাইক হেসন স্পষ্টভাবেই উইকেটের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বাংলাদেশের সাবেক ক্রিকেটারদের অনেকে মনে করেন, এমন ‘স্লো ও লো বাউন্স’ উইকেট আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের প্রস্তুতির জন্য উপযুক্ত নয়।
এই প্রেক্ষাপটে বিসিবি নতুন করে ভাবছে বিকল্প ভেন্যু নিয়ে। তাদের মতে, সিলেটের স্পোর্টিং উইকেটই হতে পারে এশিয়া কাপের আগে সবচেয়ে উপযুক্ত অনুশীলন ও প্রতিযোগিতার মঞ্চ। নাজমুল আবেদীন ফাহিম বলেন, “আমরা চাই একটি ব্যাটিংবান্ধব উইকেট যেখানে অন্তত ১৭০-১৮০ রানের স্কোর হবে। সম্ভব হলে ২০০ রানের উইকেটও বানানো হবে।”
তিনি আরও জানান, “৩-৪ দিন আগে আমি সিলেটে গিয়েছিলাম এবং উইকেট দেখেছি। আগেও দেখেছি, ভালো ব্যাটিং উইকেট বানানো সম্ভব। আমাদের হাতে এখনও সময় আছে। মোটামুটি ভালো উইকেট না বানাতে পারার কোনো কারণ নেই।”
নেদারল্যান্ডস সিরিজের আগে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের জন্য প্রস্তুতি ক্যাম্প শুরু হচ্ছে বুধবার (৬ আগস্ট) ঢাকায়। ফিটনেস পরীক্ষার মাধ্যমে ক্যাম্প শুরু হবে, যেখানে দলের সব সদস্য উপস্থিত থাকবেন। দলের প্রধান কোচসহ সাপোর্ট স্টাফরা বাংলাদেশে পা রাখবেন সোমবার (১১ আগস্ট) থেকে পরবর্তী দুই দিনের মধ্যে। এরপর ঢাকা থেকে সিলেটে স্থানান্তর করা হবে ক্যাম্প।
সিলেটেই হবে স্কিল ট্রেনিং, ম্যাচ রিহার্সাল ও পুরো সিরিজ। বিসিবি নিশ্চিত করেছে, এখানেই ক্রিকেটাররা খেলবেন প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ এবং অনুশীলন করবেন স্পোর্টিং উইকেটে, যা আবু ধাবিতে অনুষ্ঠিতব্য এশিয়া কাপে খেলার জন্য প্রস্তুতির উপযুক্ত মঞ্চ হিসেবে বিবেচিত।
বাংলাদেশের বর্তমান টি-টোয়েন্টি বাস্তবতায় দেখা যায়, ঘরোয়া উইকেটের ধীরগতির কারণে ব্যাটারদের মানিয়ে নেওয়ার সক্ষমতা সীমিত থেকে যাচ্ছে। এশিয়া কাপের মতো বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় প্রতিপক্ষদের সঙ্গে পাল্লা দিতে হলে ব্যাটারদের আগ্রাসী ও আত্মবিশ্বাসী হতে হবে, যা আসে ভালো ব্যাটিং পিচে খেলার মাধ্যমে।
বিসিবির কোচ সোহেল ইসলাম বলেন, “লো বাউন্স উইকেট হলে ব্যাটিং প্যাটার্নও সেভাবেই গড়ে ওঠে। ব্যাটাররা ঝুঁকি নিতে ভয় পায়। এতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গিয়ে আমরা ব্যর্থ হই। কাজেই স্পোর্টিং উইকেটে খেলার অভ্যাস গড়ে তোলাই এখন জরুরি।”
নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত পাঁচটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে, যেখানে চারটিতে জয় পেয়েছে টাইগাররা। এবারই প্রথমবারের মতো এই দুই দল বাংলাদেশের মাটিতে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে। ফলে এই সিরিজ একই সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও প্রস্তুতির মিলনমঞ্চ হয়ে উঠছে।
বাংলাদেশ এবার এশিয়া কাপে নিজেদের সব ম্যাচ খেলবে আবু ধাবিতে। তাই সিলেটের উইকেটকে যতটা সম্ভব আবহমান মরু অঞ্চলের কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার উপযোগী করে তুলতে চায় বিসিবি। এ কারণে চায় এমন উইকেট, যেখানে প্রথম ইনিংসে ১৭০-২০০ রানের স্কোর উঠবে, ব্যাটসম্যানরা বড় শট খেলতে পারবেন, আর বোলাররাও নিজেদের সামর্থ্য যাচাই করতে পারবেন।
ফাহিম বলেন, “এশিয়া কাপে যাওয়ার আগে এমন একটিই সিরিজ আমরা পাচ্ছি। এটাই আমাদের শেষ প্রস্তুতি। আমরা চাই প্রতিটি দিক থেকে সেটি আদর্শ হোক।”
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এরই মধ্যে ডাচ ক্রিকেট বোর্ডকে প্রস্তাবিত সূচি ও ভেন্যুর খসড়া পাঠিয়েছে। নেদারল্যান্ডস মৌখিকভাবে সম্মতি দিলেও এখনো সমঝোতা চুক্তি সই হয়নি। তবে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগের চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিম জানিয়েছেন, আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হলেই সিরিজ ঘোষণা করা হবে।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের পিচ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই রয়েছে সমালোচনা। সর্বশেষ পাকিস্তান সিরিজেও সেই সমালোচনার ঝড় উঠে। সফরকারী দলের অধিনায়ক সালমান আঘা ও কোচ মাইক হেসন স্পষ্টভাবেই উইকেটের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বাংলাদেশের সাবেক ক্রিকেটারদের অনেকে মনে করেন, এমন ‘স্লো ও লো বাউন্স’ উইকেট আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের প্রস্তুতির জন্য উপযুক্ত নয়।
এই প্রেক্ষাপটে বিসিবি নতুন করে ভাবছে বিকল্প ভেন্যু নিয়ে। তাদের মতে, সিলেটের স্পোর্টিং উইকেটই হতে পারে এশিয়া কাপের আগে সবচেয়ে উপযুক্ত অনুশীলন ও প্রতিযোগিতার মঞ্চ। নাজমুল আবেদীন ফাহিম বলেন, “আমরা চাই একটি ব্যাটিংবান্ধব উইকেট যেখানে অন্তত ১৭০-১৮০ রানের স্কোর হবে। সম্ভব হলে ২০০ রানের উইকেটও বানানো হবে।”
তিনি আরও জানান, “৩-৪ দিন আগে আমি সিলেটে গিয়েছিলাম এবং উইকেট দেখেছি। আগেও দেখেছি, ভালো ব্যাটিং উইকেট বানানো সম্ভব। আমাদের হাতে এখনও সময় আছে। মোটামুটি ভালো উইকেট না বানাতে পারার কোনো কারণ নেই।”
নেদারল্যান্ডস সিরিজের আগে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের জন্য প্রস্তুতি ক্যাম্প শুরু হচ্ছে বুধবার (৬ আগস্ট) ঢাকায়। ফিটনেস পরীক্ষার মাধ্যমে ক্যাম্প শুরু হবে, যেখানে দলের সব সদস্য উপস্থিত থাকবেন। দলের প্রধান কোচসহ সাপোর্ট স্টাফরা বাংলাদেশে পা রাখবেন সোমবার (১১ আগস্ট) থেকে পরবর্তী দুই দিনের মধ্যে। এরপর ঢাকা থেকে সিলেটে স্থানান্তর করা হবে ক্যাম্প।
সিলেটেই হবে স্কিল ট্রেনিং, ম্যাচ রিহার্সাল ও পুরো সিরিজ। বিসিবি নিশ্চিত করেছে, এখানেই ক্রিকেটাররা খেলবেন প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ এবং অনুশীলন করবেন স্পোর্টিং উইকেটে, যা আবু ধাবিতে অনুষ্ঠিতব্য এশিয়া কাপে খেলার জন্য প্রস্তুতির উপযুক্ত মঞ্চ হিসেবে বিবেচিত।
বাংলাদেশের বর্তমান টি-টোয়েন্টি বাস্তবতায় দেখা যায়, ঘরোয়া উইকেটের ধীরগতির কারণে ব্যাটারদের মানিয়ে নেওয়ার সক্ষমতা সীমিত থেকে যাচ্ছে। এশিয়া কাপের মতো বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় প্রতিপক্ষদের সঙ্গে পাল্লা দিতে হলে ব্যাটারদের আগ্রাসী ও আত্মবিশ্বাসী হতে হবে, যা আসে ভালো ব্যাটিং পিচে খেলার মাধ্যমে।
বিসিবির কোচ সোহেল ইসলাম বলেন, “লো বাউন্স উইকেট হলে ব্যাটিং প্যাটার্নও সেভাবেই গড়ে ওঠে। ব্যাটাররা ঝুঁকি নিতে ভয় পায়। এতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গিয়ে আমরা ব্যর্থ হই। কাজেই স্পোর্টিং উইকেটে খেলার অভ্যাস গড়ে তোলাই এখন জরুরি।”
নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত পাঁচটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে, যেখানে চারটিতে জয় পেয়েছে টাইগাররা। এবারই প্রথমবারের মতো এই দুই দল বাংলাদেশের মাটিতে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে। ফলে এই সিরিজ একই সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও প্রস্তুতির মিলনমঞ্চ হয়ে উঠছে।
বাংলাদেশ এবার এশিয়া কাপে নিজেদের সব ম্যাচ খেলবে আবু ধাবিতে। তাই সিলেটের উইকেটকে যতটা সম্ভব আবহমান মরু অঞ্চলের কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার উপযোগী করে তুলতে চায় বিসিবি। এ কারণে চায় এমন উইকেট, যেখানে প্রথম ইনিংসে ১৭০-২০০ রানের স্কোর উঠবে, ব্যাটসম্যানরা বড় শট খেলতে পারবেন, আর বোলাররাও নিজেদের সামর্থ্য যাচাই করতে পারবেন।
ফাহিম বলেন, “এশিয়া কাপে যাওয়ার আগে এমন একটিই সিরিজ আমরা পাচ্ছি। এটাই আমাদের শেষ প্রস্তুতি। আমরা চাই প্রতিটি দিক থেকে সেটি আদর্শ হোক।”