
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) এলাকায় সকাল থেকে ছাত্রদলের ছাত্র সমাবেশকে কেন্দ্র করে দলীয় এবং জাতীয় পতাকা বিক্রি করতে এসেছেন শামসুদ্দিন। কিন্তু দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতে চলেছে। এখন পর্যন্ত তার বিক্রি জমেনি। শামসুদ্দিনের ভাষায়, সকাল থেকে যা বিক্রি করেছি তা দিয়ে চা-পানি খাওয়ারও টাকা হবে না। গতকাল রোববার দুপুরে টিএসসি এলাকায় আলাপকালে এ প্রতিবেদককে তিনি এমন কথা জানান।
ছাত্রদলের আয়োজনের রাজধানীর শাহবাগে ছাত্র সমাবেশে যোগ দিতে দলে দলে কর্মীরা আসছিল। বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক সমাবেশগুলোতে দলীয় পতাকা কেনার হিড়িক পড়ে যায়। কিন্তু রোববার টিএসসি, শাহবাগ ও দোয়েল চত্বর ঘুরে তেমন পতাকা বিক্রি চোখে পড়েনি। শামসুদ্দিন বলছিলেন, কিছুদিন আগে জামাতের সমাবেশে ভালো পতাকা বিক্রি হয়েছে। কিন্তু ছাত্রদলের সমাবেশে সকাল থেকে মাত্র তিনটা পতাকা বিক্রি করেছি। সেটাও নামমাত্র মূল্যে। যা দিয়ে চা-পানি খাওয়ার টাকা হবে না। শামসুদ্দিনের পাশে পতাকা বিক্রি করছিলেন রুবেল বসুনিয়া। দীর্ঘ ১০ বছর ধরে রাজধানীর বিভিন্ন সমাবেশে পতাকা এবং মাথায় বাঁধা ফিতা বিক্রি করেন তিনি। এই ব্যবসা করেই তিনি সংসার চালান। কিন্তু আজকে সকাল থেকে তার ব্যবসা মন্দা। রুবেল বলছিলেন, আপনি যদি বলেন যে ব্যবসা কেমন। তাহলে বলব আজকে ব্যবসায় লালবাতি। তিনি বলেন, এর আগের সমাবেশগুলোতে ভালই বিক্রি-বাট্টা হয়েছে। কিন্তু আজ কেন জানি কেউ কোনো দলীয় বা জাতীয় পতাকা কিনতেছে না। জানি না কেন তারা কিনছে না। হয়তো জেলার বাইরে থেকে আসায় অনেকের টাকা পয়সা নাই।
টিএসসি ও শাহবাগ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পতাকা বিক্রির ব্যবসায়ীরা আজ দাঁড়িয়ে আছেন। কিন্তু কেউ তাদের তেমন দলীয় পতাকা বা জাতীয় পতাকা কিনছে না। এতে হতাশ অনেকে। পটুয়াখালী থেকে আসা নিয়ামুল বলেন, আমরা জেলা থেকে রওনা হওয়ার আগেই দলীয় এবং জাতীয় পতাকাগুলো কিনে নিয়ে এসেছি। এ কারণে অনেকে ঢাকায় কিনছে না বলে মনে করেন তিনি। টিএসসিতে যখন পতাকা ব্যবসায়ী শামসুদ্দিন ও রুবেলের সঙ্গে কথা হচ্ছিলো তখন একদল যুবক দাঁড়িয়ে সেলফি ও ছবি তুলছিল। কামরাঙ্গীরচর থেকে ছাত্র সমাবেশে যোগ দিতে আসা সেই যুবকরা জানালেন, তারা মিছিল শুরুর আগে প্রত্যেকে ছাত্রদলের নাম সম্বলিত মাথার ফিতাগুলো হাতে পেয়েছেন। সেগুলো পরেই ছবি তুলছিলেন।