
লাতিন আমেরিকার নারী ফুটবলের সর্বোচ্চ আসর কোপা আমেরিকা ফেমিনিনার ২০২৫ আসরে জমজমাট এক ফাইনালে কলম্বিয়াকে হারিয়ে নবমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হলো ব্রাজিল। গত শনিবার ইকুয়েডরের কুইটো শহরের রোদ্রিগো পাজ ডেলগাদো স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে তিনবার পিছিয়ে পড়েও ম্যাচে ফিরে আসে ব্রাজিল, অতিরিক্ত সময়েও শেষ না হওয়া এই মহারণের নিষ্পত্তি হয় টাইব্রেকারে। যেখানে ব্রাজিল জয় পায় ৫-৪ ব্যবধানে।
এই ম্যাচের নায়ক নন, বরং নায়িকা হলেন ব্রাজিলের কিংবদন্তি ফরোয়ার্ড মার্তা। ৩৯ বছর বয়সী এই তারকা অতিরিক্ত সময়ের শুরুতে বদলি নেমে মাত্র কয়েক মিনিটের ব্যবধানে করেন জোড়া গোল, আর টাইব্রেকারে দলের বিজয়ে রাখেন সরাসরি ভূমিকা। এর মধ্য দিয়ে ফুটবল ইতিহাসে আরেকটি স্মরণীয় রাত উপহার দেন বিশ্বের অন্যতম সেরা নারী ফুটবলার।
ফাইনালের শুরু থেকেই ম্যাচে দারুণ উত্তেজনা ছিল। প্রথমে লিড নেয় কলম্বিয়া, তারপর ব্রাজিল সমতা ফেরায়। আবার এগিয়ে যায় কলম্বিয়া, আবারও ফেরে ব্রাজিল। এমন করে মূল সময় শেষ হয় ৩-৩ সমতায়। অতিরিক্ত সময়েও উভয় দল একটি করে গোল করে, ফলে স্কোরলাইন দাঁড়ায় ৪-৪। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে।
২৫তম মিনিটে কলম্বিয়ার লিন্ডা কাইসেদো প্রথম গোল করে দলকে এগিয়ে নেন। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ব্রাজিলের অ্যাঞ্জেলিনা পেনাল্টি থেকে গোল করে সমতা ফেরান। দ্বিতীয়ার্ধে ব্রাজিল ডিফেন্ডার তার্সিয়ানের আত্মঘাতী গোলে আবারও এগিয়ে যায় কলম্বিয়া (৬৯ মিনিট)। তবে ৮০ মিনিটে আমান্ডা গুতিয়েরেস অসাধারণ এক শটে গোল করে ফের সমতা আনেন।
৮৮ মিনিটে কলম্বিয়ার মায়রা রামিরেজ চতুর্থবারের মতো ব্রাজিলিয়ান রক্ষণভাগকে ফাঁকি দিয়ে লিড এনে দেন দলকে। কিন্তু ষষ্ঠ মিনিটে ইনজুরি সময়ে দারুণ এক দূরপাল্লার শটে মার্তা গোল করে আবারও সমতা ফেরান (৩-৩)। অতিরিক্ত সময়ে ১০৫ মিনিটে আবারও মার্তা গোল করেন, অ্যাঞ্জেলিনার নিখুঁত ক্রস থেকে হেডে বল পাঠান জালে। তখন মনে হচ্ছিল ব্রাজিলই ট্রফি ছুঁয়ে ফেলেছে। কিন্তু ১১৫ মিনিটে লেইসি সান্তোস ফ্রি-কিক থেকে গোল করে কলম্বিয়াকে ফেরান খেলায়।
টাইব্রেকারে উত্তেজনা ছিল তুঙ্গে। প্রথমে ব্রাজিল পেনাল্টি মিস করায় এগিয়ে যায় কলম্বিয়া। এরপর লোরেনা দা সিলভার দারুণ দুটি সেভে ম্যাচে ফেরে ব্রাজিল। মার্তা গোল করতে ব্যর্থ হলেও শেষ পর্যন্ত লুয়ানির সাফল্য ও ক্যারাবালির ব্যর্থতায় ব্রাজিল জয় নিশ্চিত করে।
নারী কোপা আমেরিকার দশটি আসরের মধ্যে নয়টিতেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ব্রাজিল। কেবল ২০০৬ সালে আর্জেন্টিনা তাদের থামাতে পেরেছিল। ২০১০ সাল থেকে এই নিয়ে টানা পঞ্চম শিরোপা ঘরে তুলল সেলেসাও মেয়েরা। শুধু দক্ষিণ আমেরিকাতেই নয়, বৈশ্বিক নারী ফুটবলেও ব্রাজিল এখনো একটি পরিপূর্ণ শক্তি।
এই ম্যাচে ব্রাজিলের জয় শুধু কৌশলে বা ফিটনেসে নয়, মূলত মার্তার অভিজ্ঞতা ও চেতনায়। ২০৬ ম্যাচে ১২২ গোল করা এই কিংবদন্তি এর আগেও খেলেছেন ছয়টি বিশ্বকাপ ও ছয়টি অলিম্পিকে। ম্যাচে তাঁর উপস্থিতি ছিল সবচেয়ে বড় পার্থক্য।
এই ম্যাচের নায়ক নন, বরং নায়িকা হলেন ব্রাজিলের কিংবদন্তি ফরোয়ার্ড মার্তা। ৩৯ বছর বয়সী এই তারকা অতিরিক্ত সময়ের শুরুতে বদলি নেমে মাত্র কয়েক মিনিটের ব্যবধানে করেন জোড়া গোল, আর টাইব্রেকারে দলের বিজয়ে রাখেন সরাসরি ভূমিকা। এর মধ্য দিয়ে ফুটবল ইতিহাসে আরেকটি স্মরণীয় রাত উপহার দেন বিশ্বের অন্যতম সেরা নারী ফুটবলার।
ফাইনালের শুরু থেকেই ম্যাচে দারুণ উত্তেজনা ছিল। প্রথমে লিড নেয় কলম্বিয়া, তারপর ব্রাজিল সমতা ফেরায়। আবার এগিয়ে যায় কলম্বিয়া, আবারও ফেরে ব্রাজিল। এমন করে মূল সময় শেষ হয় ৩-৩ সমতায়। অতিরিক্ত সময়েও উভয় দল একটি করে গোল করে, ফলে স্কোরলাইন দাঁড়ায় ৪-৪। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে।
২৫তম মিনিটে কলম্বিয়ার লিন্ডা কাইসেদো প্রথম গোল করে দলকে এগিয়ে নেন। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ব্রাজিলের অ্যাঞ্জেলিনা পেনাল্টি থেকে গোল করে সমতা ফেরান। দ্বিতীয়ার্ধে ব্রাজিল ডিফেন্ডার তার্সিয়ানের আত্মঘাতী গোলে আবারও এগিয়ে যায় কলম্বিয়া (৬৯ মিনিট)। তবে ৮০ মিনিটে আমান্ডা গুতিয়েরেস অসাধারণ এক শটে গোল করে ফের সমতা আনেন।
৮৮ মিনিটে কলম্বিয়ার মায়রা রামিরেজ চতুর্থবারের মতো ব্রাজিলিয়ান রক্ষণভাগকে ফাঁকি দিয়ে লিড এনে দেন দলকে। কিন্তু ষষ্ঠ মিনিটে ইনজুরি সময়ে দারুণ এক দূরপাল্লার শটে মার্তা গোল করে আবারও সমতা ফেরান (৩-৩)। অতিরিক্ত সময়ে ১০৫ মিনিটে আবারও মার্তা গোল করেন, অ্যাঞ্জেলিনার নিখুঁত ক্রস থেকে হেডে বল পাঠান জালে। তখন মনে হচ্ছিল ব্রাজিলই ট্রফি ছুঁয়ে ফেলেছে। কিন্তু ১১৫ মিনিটে লেইসি সান্তোস ফ্রি-কিক থেকে গোল করে কলম্বিয়াকে ফেরান খেলায়।
টাইব্রেকারে উত্তেজনা ছিল তুঙ্গে। প্রথমে ব্রাজিল পেনাল্টি মিস করায় এগিয়ে যায় কলম্বিয়া। এরপর লোরেনা দা সিলভার দারুণ দুটি সেভে ম্যাচে ফেরে ব্রাজিল। মার্তা গোল করতে ব্যর্থ হলেও শেষ পর্যন্ত লুয়ানির সাফল্য ও ক্যারাবালির ব্যর্থতায় ব্রাজিল জয় নিশ্চিত করে।
নারী কোপা আমেরিকার দশটি আসরের মধ্যে নয়টিতেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ব্রাজিল। কেবল ২০০৬ সালে আর্জেন্টিনা তাদের থামাতে পেরেছিল। ২০১০ সাল থেকে এই নিয়ে টানা পঞ্চম শিরোপা ঘরে তুলল সেলেসাও মেয়েরা। শুধু দক্ষিণ আমেরিকাতেই নয়, বৈশ্বিক নারী ফুটবলেও ব্রাজিল এখনো একটি পরিপূর্ণ শক্তি।
এই ম্যাচে ব্রাজিলের জয় শুধু কৌশলে বা ফিটনেসে নয়, মূলত মার্তার অভিজ্ঞতা ও চেতনায়। ২০৬ ম্যাচে ১২২ গোল করা এই কিংবদন্তি এর আগেও খেলেছেন ছয়টি বিশ্বকাপ ও ছয়টি অলিম্পিকে। ম্যাচে তাঁর উপস্থিতি ছিল সবচেয়ে বড় পার্থক্য।