
যশোর প্রতিনিধি
যশোরের শার্শায় উলাশী ইউনিয়নের সরকারের খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির (ভিডব্লিউভি) আওতায় হতদরিদ্র নারীদের মধ্যে বিতরণ করা চাল ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপি নেতার অনুসারীদের বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার রামপুর ধলদা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে ছিনতাই হওয়া চালের মধ্যে ৬ বস্তা চাল ফেরত পাওয়া গেলেও এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগীদের ভাষ্যমতে, ভিডব্লিউভি তালিকাভুক্ত নারীরা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে চাল নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ধলদা মোড়ে ভ্যান থামিয়ে জোরপূর্বক চাল ছিনিয়ে নেয় স্থানীয় কিছু যুবক। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন নজরুল ইসলামের ছেলে ইয়ানুর, রাজ্জাক বিশ্বাসের ছেলে মিজানুর বিশ্বাস, সুরত আলীর ছেলে মশিয়ার এবং আতিয়ার বিশ্বাসের ছেলে রফিকুল। এলাকাবাসীর দাবি, তারা সবাই বিএনপির শার্শা উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি আমিনুর রহমান নেদার ঘনিষ্ঠ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগী এক নারী বলেন, চাল নেওয়ার পর ভ্যানে বাড়ি ফিরছিলাম। ধলদা মোড়ে গিয়ে একদল লোক আমাদের পথ আটকায়। বাধ্য হয়ে চালের এক বস্তা দিয়ে রেহাই পাই। ওরা ভয় দেখায়, গালাগাল করে। স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এলাকায় রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকা এসব লোকের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। এতে সরকারি সহায়তা কার্যক্রম প্রশ্নের মুখে পড়ছে। শার্শা থানার ওসি কেএম রবিউল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় কেউ এখনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি। পুলিশি অভিযানের খবর পেয়ে অভিযুক্তরা নারীদের চাল ফেরত দিয়েছেন জানতে পেরেছি। বিস্তারিত জানতে ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন ওসি। উলাশী ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক আব্দুর রাশেদ ছিনতাই হওয়া চালের মধ্যে ৬ বস্তা উদ্ধার করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে অভিযুক্তদের নাম প্রকাশে তিনি অনীহা প্রকাশ করেন। এদিকে শার্শা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হাসান জহীর বলেন, ঘটনার বিষয়ে আমি অবগত নই। তবে প্রমাণ পাওয়া গেলে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযুক্তদের ঘনিষ্ঠ নেতা বিএনপির সহ-সভাপতি আমিনুর রহমান নেদা বলেন, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তারা আমার ঘনিষ্ঠ কেউ না। শুধু বিএনপির সমর্থক হতে পারে। তবে তাদের দলে কোনো পদে নেই। আমি নিজে বিষয়টি খতিয়ে দেখছি ও সত্যতা পেলে পুলিশকে সহযোগিতা করব। শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ডা. কাজী নাজিব হাসান জানান, হতদরিদ্রের চাল পরিষদ থেকে নিয়ে যাওয়ার পথিমধ্যে ছিনতাই হয়। আমি শার্শার ওসিকে বলে দিয়েছি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে।
যশোরের শার্শায় উলাশী ইউনিয়নের সরকারের খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির (ভিডব্লিউভি) আওতায় হতদরিদ্র নারীদের মধ্যে বিতরণ করা চাল ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপি নেতার অনুসারীদের বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার রামপুর ধলদা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে ছিনতাই হওয়া চালের মধ্যে ৬ বস্তা চাল ফেরত পাওয়া গেলেও এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগীদের ভাষ্যমতে, ভিডব্লিউভি তালিকাভুক্ত নারীরা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে চাল নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ধলদা মোড়ে ভ্যান থামিয়ে জোরপূর্বক চাল ছিনিয়ে নেয় স্থানীয় কিছু যুবক। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন নজরুল ইসলামের ছেলে ইয়ানুর, রাজ্জাক বিশ্বাসের ছেলে মিজানুর বিশ্বাস, সুরত আলীর ছেলে মশিয়ার এবং আতিয়ার বিশ্বাসের ছেলে রফিকুল। এলাকাবাসীর দাবি, তারা সবাই বিএনপির শার্শা উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি আমিনুর রহমান নেদার ঘনিষ্ঠ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগী এক নারী বলেন, চাল নেওয়ার পর ভ্যানে বাড়ি ফিরছিলাম। ধলদা মোড়ে গিয়ে একদল লোক আমাদের পথ আটকায়। বাধ্য হয়ে চালের এক বস্তা দিয়ে রেহাই পাই। ওরা ভয় দেখায়, গালাগাল করে। স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এলাকায় রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকা এসব লোকের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। এতে সরকারি সহায়তা কার্যক্রম প্রশ্নের মুখে পড়ছে। শার্শা থানার ওসি কেএম রবিউল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় কেউ এখনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি। পুলিশি অভিযানের খবর পেয়ে অভিযুক্তরা নারীদের চাল ফেরত দিয়েছেন জানতে পেরেছি। বিস্তারিত জানতে ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন ওসি। উলাশী ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক আব্দুর রাশেদ ছিনতাই হওয়া চালের মধ্যে ৬ বস্তা উদ্ধার করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে অভিযুক্তদের নাম প্রকাশে তিনি অনীহা প্রকাশ করেন। এদিকে শার্শা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হাসান জহীর বলেন, ঘটনার বিষয়ে আমি অবগত নই। তবে প্রমাণ পাওয়া গেলে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযুক্তদের ঘনিষ্ঠ নেতা বিএনপির সহ-সভাপতি আমিনুর রহমান নেদা বলেন, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তারা আমার ঘনিষ্ঠ কেউ না। শুধু বিএনপির সমর্থক হতে পারে। তবে তাদের দলে কোনো পদে নেই। আমি নিজে বিষয়টি খতিয়ে দেখছি ও সত্যতা পেলে পুলিশকে সহযোগিতা করব। শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ডা. কাজী নাজিব হাসান জানান, হতদরিদ্রের চাল পরিষদ থেকে নিয়ে যাওয়ার পথিমধ্যে ছিনতাই হয়। আমি শার্শার ওসিকে বলে দিয়েছি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে।