ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫ , ৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
প্রযুক্তি বিকল হওয়ার কারণেই দুর্ঘটনা ঘটেছে : বিমান বাহিনী প্রধান বাচ্চাদের কষ্ট দেখে ঘরে থাকতে পারিনি রক্ত দিতে এসেছি বার্ন ইনস্টিটিউটের সামনে গলা কাটছে ফার্মেসি সিন্ডিকেট বিধ্বস্ত ভবনে ছুটির পোড়া চিঠি দেখে কাঁদছেন অভিভাবকরা উত্তরায় মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৩১ জন জনবসতিপূর্ণ শহরে বিমান প্রশিক্ষণ কেন, প্রশ্ন গয়েশ্বরের একই ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধান হতে পারবেন না: আলী রীয়াজ মাইলস্টোনে অনভিপ্রেত ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু : আইএসপিআর গাড়ির অভাবে কমে গেছে পুলিশি টহল সচিবালয় এলাকায় রণক্ষেত্র এককালীন পাবে ৩০ লাখ, মাসিক ভাতা ২০ হাজার টাকা- মুক্তিযুদ্ধ উপদেষ্টা ২৪ জুলাইয়ের এইচএসসি পরীক্ষাও স্থগিত ধর্ষণের প্রতিবেদন না দেয়ায় এসপিকে তলব কক্সবাজারে মা-মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, আটক ২ পঞ্চগড়ে ২৮ ভুয়া মামলা নিষ্পত্তি, মুক্তি পেলেন ৩ হাজার আসামি বরিশাল-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ সন্তানকে স্কুল থেকে আনতে গিয়ে প্রাণ হারালো মা বয়লার পরিদর্শকের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ডেমরায় জনগণের বাধায় বন্ধ করা হলো ট্রাফিক পুলিশ বক্সের নির্মাণ কাজ আ’লীগের বহিষ্কৃত নেতা মোবারকের আপিলের রায় ৩০ জুলাই

উত্তরায় মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৩১ জন

  • আপলোড সময় : ২৩-০৭-২০২৫ ০৫:১৪:৫৭ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৩-০৭-২০২৫ ০৫:১৪:৫৭ অপরাহ্ন
উত্তরায় মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৩১ জন
* বাতাসে উৎকট গন্ধ, পড়ে আছে শিশুদের বই, ব্যাগ ও জুতো * বিধ্বস্ত বিমানটি প্রশিক্ষণ নয়, ছিল যুদ্ধবিমান : আইএসপিআর * মাইলস্টোন শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নিয়েছে সরকার * আহতদের চিকিৎসায় এসেছে সিঙ্গাপুরের চিকিৎসক দল রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১ জনে দাঁড়িয়েছে। আর আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে ১৬৫ জন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। আইএসপিআর জানায়, গতকাল মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন হাসপাতালে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১ জনে এবং আহত ১৬৫ জন। এর মধ্যে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে আহত ৮, জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আহত ৪৬, নিহত ১০, ঢাকা মেডিকেলে আহত ৩, নিহত ১, ঢাকা সিএমএইচে আহত ২৮, নিহত ১৬, উত্তরা লুবনা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড কার্ডিয়াক সেন্টারে আহত ১৩, নিহত ২, উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে আহত ৬০, নিহত ১, উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে আহত একজন, শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহত একজন, ইউনাইটেড হাসপাতালে আহত দ্ইু জন, নিহত ১ এবং কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে আহত তিন জন। যুদ্ধবিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ২৫ জনই শিশু। আইএসপিআর-এর এক বার্তায় বলা হয়, উত্তরায় মাইলস্টোনের ঘটনায় কিছু সংবাদমাধ্যমে লেখা হচ্ছে, বিমানটি একটি প্রশিক্ষণ বিমান ছিল। আমরা বিনীতভাবে আবারও জানাতে চাই, এটি ছিল যুদ্ধে ব্যবহারের উপযোগী একটি যুদ্ধবিমান। বিমানটি প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে অংশ নিয়েছিল। গতকাল মঙ্গলবার এক বার্তায় বিষয়টি স্পষ্ট করেছে আইএসপিআর। আইএসপিআর জানিয়েছে, গত সোমবার বেলা ১টা ৬ মিনিটে রাজধানীর কুর্মিটোলার বিমানবাহিনী ঘাঁটি এ কে খন্দকার থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পর এফটি-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমানটি স্কুল চত্বরের একটি দোতলা ভবনের ওপর এসে বিধ্বস্ত হয়। প্রশিক্ষণের কাজে ব্যবহৃত চীনের তৈরি এ যুদ্ধবিমান যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে উত্তরার ওই স্কুল ভবনে আছড়ে পড়েছিল। গতকাল মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উত্তরার দিয়াবড়ি এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ এখন যেন এক নিঃশব্দ মৃত্যুপল্লি। প্রতিদিন এই সময়ে যেখানে শিক্ষার্থীদের কোলাহল-প্রাণচঞ্চলতা, সেখানে এখন শুধুই সুনসান নীরবতা। স্কুলভবনের করিডোরে নেই ছোট ছোট পায়ের দৌড়ঝাঁপ। নীরব ক্যাম্পাসের বাতাসে ভাসছে উৎকট গন্ধ। স্কুলের সামনে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শিশুদের বই, খাতা, ব্যাগ, জুতো, পানির বোতল, এমনকি কয়েকজন শিক্ষার্থীর আঁকা ছবি। যেসব কোমল হাতে এসব বই-খাতা ধরেছিল, তাদের অনেকে আজ না-ফেরার দেশে কিংবা হাসপাতালের বেডে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। গত সোমবার দুপুরে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার পর এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেমে এসেছে গভীর শোক ও নীরবতা। এখনও সেখানে ছড়িয়ে রয়েছে বিভীষিকাময় ঘটনার নানা চিহ্ন। তৃতীয় শ্রেণির ‘প্রাথমিক বিজ্ঞান’, ‘বাংলা ব্যাকরণ’সহ একাধিক বই অর্ধপোড়া অবস্থায় পড়ে আছে ধ্বংসস্তূপের পাশে। খাতার পাতাগুলো আগুনে ঝলসে গেছে, কারও নাম লেখা মলাট এখনও দৃশ্যমান। সিঁড়ির পাশে পড়ে আছে ছোটদের স্কুলব্যাগ, চারদিকে পোড়া কাগজ ও প্লাস্টিকের গন্ধ। উপস্থিত অভিভাবক ও উৎসুক জনতার চোখেমুখে আতঙ্ক, ক্ষোভ আর গভীর বেদনার ছাপ স্পষ্ট। শাহনাজ শরিফ নামে এক অভিভাবক বলেন, এগুলো আমাদের সন্তানের বই। গত সোমবারও তারা এই স্কুলেই পড়াশোনা করছিল। আজ (মঙ্গলবার) শুধু ছাঁই আর ধোঁয়া। স্কুল তো নিরাপদ আশ্রয় হওয়ার কথা, আজ সেটাই মৃত্যুফাঁদ হয়ে গেল। স্থানীয় বাসিন্দা মুজিবুর মিঞা, যিনি দুর্ঘটনার সময় উদ্ধারকাজে অংশ নিয়েছিলেন। তিনি বলেন, আমি ছোটদের আর্তনাদ শুনে দৌঁড়ে এসেছিলাম। ধোঁয়ার মধ্যে কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। যারা বেঁচে ফিরেছে, তারা বলছে ভেতর থেকে বের হওয়ার পথই খুঁজে পায়নি। মাইলস্টোন স্কুলের ভেতরের পরিস্থিতির বর্ণনা দিতে গিয়ে বাস চালক মোজাফফর হোসেন কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন, হায়দার আলী ভবনের ঢুকতেই দেখি বাচ্চাগুলো মেঝেতে পড়ে আছে। প্রচণ্ড তাপে ওই বাচ্চারা কুঁকড়ে আরো ছোট হয়ে গেছে। এর মধ্যে শ্রেণীকক্ষের পেছনের দিকে থাকা শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকেরই শরীর ঝলসে গেলেও তারা জীবিত ছিল। তাদের উদ্ধার করি। সব মিলিয়ে নিচতলার শ্রেণীকক্ষ থেকে প্রায় ৬০-৭০ জন শিশু শিক্ষার্থীকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এরপর ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারীদের সঙ্গে ভবনের দ্বিতীয় তলায় যাই। সেখান থেকেও কিছু মরদেহ উদ্ধার করি আমরা। পাশাপাশি শতাধিক শিক্ষার্থীকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। মোজাফফর হোসেনের মতোই বিমান বিধ্বস্তের বিকট শব্দে মাইলস্টোন স্কুলের ফটকে হাজির হন রুস্তম আলী। পেশায় তিনি একজন কাঠ ব্যবসায়ী হলেও ফায়ার সার্ভিসের প্রশিক্ষণ ছিল তার। উদ্ধারকারী দলের সঙ্গে তিনিও স্কুলে প্রবেশ করেন। তিনি বলেন, ভেতরে ঢোকার আগে আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রচুর পানি দেয়া হয়। কিন্তু এত পানি দেয়ার পরেও ভবনের তাপ কমেনি। পরে ভেতরে ঢুকে দেখি বাচ্চাদের হাত-পা পুড়ে ছোট হয়ে গেছে। সেখানে মোট ছয়টি কক্ষ। সবগুলো রুমেই শিক্ষার্থী ছিল। বিমানটা গিয়ে সরাসরি ভবনের নিচতলার দুটি কক্ষের মাঝামাঝি অংশ দিয়ে ঢুকে গেছে। ভবনের দোতলার ওপরে টিন ছিল। টিনের কারণে সেখানে আরো বেশি তাপ উৎপন্ন হয়। আমরা সেখানে ব্যাগ, টিফিন বক্স ও পানির বোতল দেখে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করি। এদিকে, শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নেয়া হয়েছে। উপদেষ্টারা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলেছেন। এমনটি জানিয়েছেন মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল মিজানুর রহমান। দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলও। শিক্ষার্থীদের ৬ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে নিহতদের নাম-ঠিকানা প্রকাশ, আহতদের নির্ভুল তালিকা, শিক্ষকদের সঙ্গে অসদাচরণের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা, ক্ষতিপূরণ প্রদান, ঝুঁকিপূর্ণ প্লেন বাতিল ও প্রশিক্ষণ পদ্ধতি সংস্কার। উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে উপস্থিত হয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার, আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আলোচনা শেষে উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবি অত্যন্ত যৌক্তিক। সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বাস দিচ্ছি আমরা প্রতিটা দাবি পূরণ করব। বিশ্বাস রাখেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘মাইলস্টোন স্কুলে একটি তথ্যকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এতে নিহত ও আহতের তথ্য থাকছে। কেউ নিখোঁজ থাকলে সে তথ্য থাকছে। এখান থেকে তথ্য নিয়মিত হালনাগাদ করা হচ্ছে। নিহত ও আহত পরিবারের ক্ষতিপূরণ, পুনর্বাসন এবং ট্রমা ম্যানেজমেন্ট সাপোর্টের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’ জনগণের ভিড় নিয়ন্ত্রণের সময় সেনাবাহিনীর কর্তব্য পালনকালে কয়েকজন সেনাসদস্য কর্তৃক শিক্ষার্থীদের ওপর মারধরের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরকারের পক্ষ থেকে দুঃখপ্রকাশ করা হয়েছে এবং উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সেনা কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে বলে জানান তিনি। জনবহুল এলাকায় প্রশিক্ষণ বিমান না চালানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বিমান বাহিনীকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হবে বলেও আইন উপদেষ্টা শিক্ষার্থীদের জানান। তবে কতজন মারা গেছে, কতজন আহত হয়েছে, হতাহতের সেই পূর্ণাঙ্গ তালিকা ছাড়া ক্যাম্পাস ছাড়তে রাজি না শিক্ষার্থীরা। শিক্ষা উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে সচিবালয় ঘেরাও করেছে চলমান এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনের অবরুদ্ধ দুই উপদেষ্টাকে ঘিরে বাড়ে উত্তেজনা। থেমে থেমে কলেজের ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করে শিক্ষার্থীরা। ভেতরে অবরুদ্ধ উপদেষ্টাদের লক্ষ্য করে বাইরে থেকে ইট, পানির বোতল ও লাঠি নিক্ষেপ করার ঘটনা ঘটে। এর আগে উত্তরা গোলচত্বরে সকাল ১০টা থেকে জমায়েত হয় শত শত শিক্ষার্থী। সেখানে বর্তমানে ক্যাম্পাসের ভেতরে অবস্থান করে বিক্ষোভ করছেন তারা। যুক্ত হয়েছেন অভিভাকরাও। বিমান বিধ্বস্ত হয়ে প্রাণহানির ঘটনায় ৬ দফা দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। বর্তমানে ক্যাম্পাসে প্রায় দুই শতাধিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। উত্তরার মাইলস্টোন কলেজের সামনে হাজারো শিক্ষার্থীর বিক্ষোভের মুখে কলেজের ভেতরে ফিরে গেছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার। প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্যবিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান জানান, যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক ছাড়া বাকি সবাই শিশু। প্রাপ্ত বয়স্কদের একজন পাইলট তৌকির ইসলাম ও একজন শিক্ষক মাহরীন চৌধুরী। এছাড়া বর্তমানে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ১৬৫ জন। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় শোকে স্তব্ধ হয়ে পড়েছে পুরো বাংলাদেশ। হাসপাতাল গুলোতে স্বজনদের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠেছে ঢাকার আকাশ বাতাস। হাসপাতালে আহতদের উন্নত চিকিৎসা জন্য মঙ্গলবার রাতেই সিঙ্গাপুর থেকে চিকিৎসক দল আনা হচ্ছে। রাত সাড়ে ১০টায় সিঙ্গাপুরের একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও দুই জন নার্স ঢাকায় এসে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। আহতদের উন্নত চিকিৎসায় সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার মাইলস্টোন স্কুলের আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত সব প্রস্তুতির নির্দেশ দিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে আমরা সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তাদের প্রথম চিকিৎসক দল মঙ্গলবার রাতে ঢাকায় এসে পৌঁছাবে। সিঙ্গাপুরের চিকিৎসক দল বিভিন্ন হাসপাতালে আহতদের পর্যবেক্ষণ করবেন। তারপরে তারা সিদ্ধান্ত দেবেন কতোজনের উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে। তিনি আরও জানান, সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকদের পরামর্শক্রমে যে কয়জনকে দরকার হয় সবাইকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানোর ব্যবস্থা করবে সরকার। তিনি আরও বলেন, দুর্ঘটনার পরেই প্রধান উপদেষ্টার দফতর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ডাক্তারদের সমন্বয়ে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। মেডিকেল টিমের সদস্যরা প্রতিটি হাসপাতালে আহতদের খোঁজ-খবর নিচ্ছেন এবং তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য তৎপর রয়েছেন। তিনি আরও বলেন, যেকোনও মূল্যে আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকারের ওপর মহলের নির্দেশনা রয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতর সেই নির্দেশনা মতে সব প্রস্তুতি শেষ করে রেখেছে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
উত্তরায় মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৩১ জন

উত্তরায় মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৩১ জন