ঢাকা , মঙ্গলবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ১৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মার ভাঙনে দিশাহারা হাজারো পরিবার শুল্ক চাপে ব্যবসা-বাণিজ্য হঠাৎ অস্থির শিক্ষাঙ্গন বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শুভেচ্ছা জানালেন তারেক রহমান ফেব্রুয়ারির নির্বাচনই বিএনপির সামনে এখন চ্যালেঞ্জ-মির্জা ফখরুল পুরুষশূন্য জোবরা গ্রাম, চবি ক্যাম্পাসে উৎকণ্ঠা অর্ধশত শিক্ষার্থীর মাথায় অস্ত্রের কোপ অনেকের থেঁতলে গেছে হাত-পা নির্বাচন পেছানোর কোনো সুযোগ নেই -আসিফ নজরুল আরও ৭ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা নীতিমালা সংশোধন ভোট কক্ষের সংখ্যা কমছে নির্বাচনে তিন বাহিনীকে কাজে লাগানো হবে -স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নতুন কৌশল নতুন চ্যালেঞ্জে নির্বাচন কমিশন ২১৩০ কোটি টাকায় আলেকজান্ডারকে দলে ভেড়ালো লিভারপুল ফাইনাল হেরে কর্মকর্তার মুখে থুতু দিলেন সুয়ারেজ! ভায়োকানোর বিপক্ষে হোঁচট খেলো বার্সা মাঠে ডিম পাড়লো পাখি, এক মাসের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হলো স্টেডিয়াম পুরুষদের থেকেও বেশি প্রাইজমানি ঘোষণা নারী বিশ্বকাপে! পোরশায় ডেঙ্গু সহ মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে এক বর্ণাঢ্য র‍্যালিও পরিছন্নতা অভিযান অনুষ্ঠিত অক্টোবরে বাংলাদেশ সফরে আসছে উন্ডিজ বিপিএলে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের দায়িত্ব পেল ‘আইএমজি’

গোপালগঞ্জে সংঘর্ষে প্রাণহানির ঘটনা তদন্তের দাবি আসকের

  • আপলোড সময় : ১৮-০৭-২০২৫ ০৭:৫১:০৮ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৮-০৭-২০২৫ ০৭:৫১:০৮ অপরাহ্ন
গোপালগঞ্জে সংঘর্ষে প্রাণহানির ঘটনা তদন্তের দাবি আসকের
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) রাজনৈতিক সমাবেশে হামলা, সংঘর্ষ এবং প্রাণহানির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। সংগঠনটি বলেছে, এই ঘটনা গণতান্ত্রিক অধিকার, মানবাধিকার ও নাগরিক নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি। একইসঙ্গে আসক অবিলম্বে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার আসকের সিনিয়র সমন্বয়কারী আবু আহমেদ ফয়জুল কবির সই করা এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জ পৌর পার্কে এনসিপির পূর্বঘোষিত সমাবেশে হঠাৎ করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি অংশের হামলার পর শুরু হয় সংঘর্ষ, যাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও যুক্ত হন। সংঘর্ষের সময় বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর হয়। পুলিশের প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগও উঠেছে। এতে দীপ্ত সাহা (২৫), রমজান কাজী (১৮), সোহেল মোল্লা (৪১) ও ইমন (২৪) নিহত হন। আহত হন আরও অনেকে, যাদের অনেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আসক বলেছে, মতপ্রকাশ ও শান্তিপূর্ণভাবে সভা-সমাবেশ করার অধিকার সংবিধান স্বীকৃত একটি মৌলিক অধিকার; যা রাষ্ট্র ও প্রশাসনের দ্বারা সুরক্ষিত হওয়া উচিত। অথচ এখানে দেখা গেছে, প্রশাসন উত্তেজনা প্রশমন না করে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ ও প্রকাশ্যে গুলি চালিয়েছে; যা একাধিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার চুক্তি ও দেশের সংবিধানের লঙ্ঘন। বিবৃতিতে বলা হয়, পুলিশের মহাপরিদর্শক গণমাধ্যমে দাবি করেছেন, ঘটনার সময় পুলিশ প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করেনি। অথচ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার ও গুলির শব্দ স্পষ্ট। তাহলে প্রশ্ন থেকে যায়, কারা এই অস্ত্র ব্যবহার করলো? আসক মনে করে, এই প্রশ্নের জবাব না দিলে জনমনে বিভ্রান্তি, ভয় ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি অনাস্থা বাড়বে। সংগঠনটি বলেছে, এই ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত না হলে ন্যায়বিচার পাওয়া যাবে না। বিবৃতিতে দাবি করা হয়, নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে এবং ঘটনার পেছনে কারা দায়ী তা চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। বিবৃতির শেষাংশে আসক দেশব্যাপী শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় সব পক্ষকে সংযম, ধৈর্য ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানায়। তারা বিশেষভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ থেকে বিরত থাকতে এবং কোনও নিরীহ নাগরিক যেন হয়রানি বা সহিংসতার শিকার না হন, তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানায়।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স