ঢাকা , শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫ , ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
শিক্ষক সঙ্কটে প্রাথমিক শিক্ষার বেহাল দশা আড়ালে শক্তির জানান দিতে চায় জামায়াত নির্বাচন নিয়ে সংশয় উৎকণ্ঠায় বিএনপি পিআর পদ্ধতি খায় না মাথায় দেয়-প্রশ্ন সালাহউদ্দিনের ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১১৪ গুলিতে নিহতদের ময়নাতদন্ত কেন হয়নি হামলার ঘটনায় গোয়েন্দা ব্যর্থতা ছিল-সাবেক আইজিপি গোপালগঞ্জে গ্রেফতার আতঙ্ক ক্ষতির মুখে ব্যবসায়ীরা মাদ্রাসার মোহতামিমকে অবরুদ্ধ করে কমিটিতে বিএনপি নেতার স্বাক্ষর কুষ্টিয়ায় ‘চাঁদা না পেয়ে’ হামলার অভিযোগ জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে গাজীপুরে কাভার্ড ভ্যানচাপায় অটোরিকশার ৪ যাত্রী নিহত সুনামগঞ্জে পানিতে ডুবে মা-মেয়ের মৃত্যু সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি নিহত র‌্যাবের পোশাকে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গ্রেফতার ৫ জন কারাগারে যান্ত্রিক ত্রুটির কবলে পড়া বিমান দুবাই থেকে ফিরল ৩০ ঘণ্টা বিলম্বে সাঁতার জানতেন ইবি শিক্ষার্থী সাজিদ, পুকুরে ডুবে মৃত্যু রহস্যজনক চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিতে উদ্বেগ বিএনপির ইন্টারনেট শাটডাউন রোধে আসছে আইন : ফয়েজ আহমদ তিন লাখ মানুষের জন্য তিনজন চিকিৎসক গোপালগঞ্জে হামলাকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
পুরান ঢাকার ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা

আনানসহ অন্যান্য খুনিদের গ্রেফতারের দাবি পরিবারের

  • আপলোড সময় : ১৭-০৭-২০২৫ ১০:২৬:২৮ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৭-০৭-২০২৫ ১০:২৬:২৮ পূর্বাহ্ন
আনানসহ অন্যান্য খুনিদের গ্রেফতারের দাবি পরিবারের
আবু জাফর রাজধানীর পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের পাশে সোহাগ নামে এক ভাঙারি ব্যবসায়ীকে নিমর্মভাবে হত্যা করা হয়। ১০ থেকে ১৫ ভ্যানের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী সোহাগকে বড় বড় পাথর ছুড়ে শত শত মানুষের সম্মুখে হত্যা করা হয়। শুধু তাই নয় লোমহর্ষক এই হত্যাকাণ্ড মধ্যযুগিও কেও হার মানিয়েছেন। সোহাগের মৃত্যু নিশ্চিৎ হওয়ার পর ও খুনিরা সোহাগের নিথর দেহের ওপর উঠে লাফাচ্ছিল। পুরো হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি সিসি টিভি ফুটেজে বীভৎসতা দেখা গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটের সামনে। লোমহর্ষক বীভৎস হত্যাকাণ্ডের সময় সাধারণ মানুষ মৃত দেহের চারপাশে জটলা বাধা ছিল। বস্ত্রহীন রক্তাক্ত নীথর দেহ কয়েক তরুণ টেনে হ্যাচড়ে বের করছিল। এ ঘটনার পর সারাদেশব্যাপী একটি নতুন ধরনের হত্যাকাণ্ডের তুমুল ঝড় উঠে। ঘটনার পর পর স্থানীয় থানা পুলিশ র‌্যাবসহ যৌথ বাহিনীর সদস্য ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত ৭/৮ জনকে গ্রেফতার করে। কিন্তু এখনও অধরা রয়ে গেছে সোহাগের ওপর পাথর নিক্ষেপকারী ১৪/এ আওলাদ হোসেন রোডের মৃত ইব্রাহিমের ছেলে সাখাওয়াত হোসেন আনান, নিহত সোহাগের স্ত্রী লাকি জানান, সোহাগের খুব কাছের বন্ধু ছিলেন মহিন ও আনান, এরা দীর্ঘদিন ধরে একত্রে ব্যবসা ও করতো। এরা সব সময় তার বাসায় এসে একত্রে খাওয়া-দাওয়া ও করতো। কিন্তু কিছু দিন আগে মহিন ও আনানসহ বেশ কয়েক বন্ধু সোহাগের ব্যবসার ভাগ দাবি করেন। কিন্তু সোহাগ দিতে রাজী হয়নি। ব্যবসায় ভাগ না দেয়ার কারণে মহিন ও আনান তাদের আরো কয়েকজন সহযোগিরা একত্রিত হয়ে গোপন বৈঠক করেন। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় সোহাগকে মেরে ফেলতে হবে। আর সোহাগকে মারতে পারলেই পুরো ব্যবসা তাদের নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। মহিন স্থানীয় থানা যুব দলের সদস্য। আনান ও ঐ এলাকার সোহাগের হত্যাকাণ্ডের সাথে সারাসরি যারা জড়িত ওদের মধ্যে ৮ জন এরই মধ্যে গ্রেফতার হয়েছে। তবে এখনও গ্রেফতার হয়নি ঘটনার সরাসরি জড়িত আনান। নিহতর স্ত্রী লাকি জানান, আনানকে অতিদ্রুত গ্রেফতার করা হোক।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স