
ঐকমত্য কমিশনের ১৩ তম দিনের বৈঠকে ড. আলী রীয়াজ
নারী আসন ও সংসদ পদ্ধতি নির্ধারণে ঐকমত্য হয়নি
- আপলোড সময় : ১৫-০৭-২০২৫ ০৫:৪০:১৪ অপরাহ্ন
- আপডেট সময় : ১৫-০৭-২০২৫ ০৫:৪০:১৪ অপরাহ্ন


সংসদে নারীর আসন এবং দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্ট গঠনের পদ্ধতি নির্ধারণে এখনো রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পূর্ণ ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ।
গতকাল সোমবার বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ঐকমত্য কমিশনের ধারাবাহিক ১৩তম দিনের বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা জানান।
আলী রীয়াজ বলেন, নারীর সংরক্ষিত আসনের বিষয়টি নিয়ে আজ আলোচনা হয়েছে। তবে পদ্ধতিগতভাবে আমরা এখনো ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারিনি। আলোচনা আগামীকালও চলবে। তিনি জানান, প্রস্তাবিত দ্বিকক্ষ পার্লামেন্টে ৪০০ আসনের নিম্নকক্ষ এবং ১০০ আসনের উচ্চকক্ষ নিয়ে প্রাথমিক কাঠামো নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে উচ্চকক্ষের সদস্য নির্ধারণের পদ্ধতি নিয়ে দুটি ভিন্ন প্রস্তাব এসেছে একটি সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে, আরেকটি আসনের ভিত্তিতে। এই দুটি প্রস্তাব নিয়ে এখনো একমত হওয়া যায়নি। তাই এ নিয়েও আরও আলোচনা প্রয়োজন। ঐকমত্যে পৌঁছাতে রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা চায় কমিশন। কমিশনের লক্ষ্য, জুলাই মাসের মধ্যেই জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি সনদ চূড়ান্ত করা। এদিন বৈঠকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি সংসদে নারীর অংশগ্রহণ ও দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট গঠনে নিজেদের মতামত উপস্থাপন করেন।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় আজকের দিনে অর্থাৎ গত বছরের ১৪ জুলাইয়ে নারীদের গৌরবময় অবদানকে স্মরণ করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, নারীদের গৌরবময় ভূমিকার কারণে আন্দোলন বেগবান হয়েছিল। সেই অবদানকে স্মরণ করে, নারীদের যে ভূমিকার ফসল, সেটিকে যেন প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে পারি।
গত বছরের ১৪ জুলাই ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রাতের বেলায় রাজপথে নেমে আসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের শিক্ষার্থীরা। মুহূর্তে আন্দোলনের বারুদ দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। একে একে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রাজপথে নামেন। তুমুল গণ-আন্দোলনের তোড়ে ক্ষমতা ছেড়ে দেশ থেকে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। দিনটি স্মরণ করে আলী রীয়াজ বলেন, একটি মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রাজপথে নেমে এসেছিলেন। বিশেষত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীরা। ওই দিন শিক্ষার্থীদের যেভাবে অপমান করা হয়েছিল, আর সেটার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা যেভাবে দাঁড়িয়েছিলেন, সেটি ফ্যাসিবাদকে পতনের দিকে বেশ এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। তাদের এই অবদান ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), ইসলামী আন্দোলন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), গণসংহতি আন্দোলনসহ ৩০টি রাজনৈতিক দল আজকের আলোচনায় অংশ নেয়। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার জাতীয় ঐকমত্যবিষয়ক বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন আলী রীয়াজ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান, মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ