রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বেড়েছে বীভৎস, বিকৃত, রোমহর্ষক খুনের ঘটনা। নিষ্ঠুরভাবে খুনের পাশাপাশি মানুষের প্রতি নির্মম অপরাধপ্রবণতা ছড়িয়ে পড়ছে। স্ত্রী খুন করছে স্বামীকে, আবার স্বামীর হাতে স্ত্রী, নিষ্পাপ শিশুসন্তানকে ছুঁড়ে মারা হচ্ছে রাস্তায়। খুনের পর লাশ রাখা হচ্ছে শয়নকক্ষে। ডাস্টবিনে, পানির ট্যাংকে কিংবা ড্রেনে মিলছে লাশ। প্রায়ই এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। ফলে এসব ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন নাগরিক সমাজ।
সাম্প্রতিক সময়ে দেশজুড়ে খুন-ধর্ষণ, মারামারি এবং অন্যান্য অপরাধের সংখ্যা উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। রাজনৈতিক অস্থিরতা, সামাজিক বৈষম্য, অর্থনৈতিক সংকট এবং বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। তবে এমএসএফ তাদের মানবাধিকার প্রতিবেদনে দাবি করেছেন, দেশজুড়ে ধর্ষণ-গণপিটুনিতে হত্যা বেড়েছে জুনে, কমছে না অজ্ঞাত লাশের সংখ্যা।
পুলিশের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে খুনের ঘটনা আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। বিশেষ করে, গত কয়েক মাসে খুনের সংখ্যা উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু খুনই নয়, ধর্ষণ, মারামারি, ডাকাতি, ছিনতাই, মাদক দ্রব্য, এবং অন্যান্য অপরাধের সংখ্যাও বেড়েছে। তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের কারণে সমাজে এ ধরনের সহিংসতা বাড়ছে। রাজনৈতিক দলগুলো একে অপরের প্রতিপক্ষকে দমন করার জন্য সহিংসতাকে ব্যবহার করছে, যার ফলে সাধারণ মানুষও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের একটি সুত্রে জানা গেছে, দেশজুড়ে খুন খারাবির ঘটনা বাড়ছেই। কোনভাবেই এর লাগাম টেনে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। প্রতিদিন গড়ে ১১টিরও বেশি খুনের ঘটনা ঘটছে। মাসে খুন হচ্ছে ৩৪০। সে হিসেবে গত ৬ মাসে দেশজুড়ে খুনের ঘটনা ঘটে ২০৪০টি। পুলিশ সদর দফতরের হিসেবেই এ চিত্র ফুটে উঠেছে। পুলিশের পরিসংখ্যান মতে, গত এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত দেশে খুনের ঘটনা ঘটে ৯৮২টি। জুলাই তিন মাসে তা পূর্বের তিন মাসের খুনের ঘটনাকে ছাড়িয়ে দাঁড়ায় ১০৫৮টিতে। গত জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত চার মাসে শুধু রাজধানীতেই খুন হয়েছে ১৩৬ জন। সারা দেশে এই সংখ্যা ১ হাজার ২৪৪ জন। যা বিগত বছরগুলোর একই সময়ের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি। ২০২১ সালের প্রথম চার মাসে ঢাকায় এই সংখ্যা ছিল ৫৫ জন, ২০২২ সালে ৫৪ জন, ২০২৩ সালে ৫১ জন এবং ২০২৪ সালে ছিল ৪৭ জন। গত জানুয়ারিতে ঢাকায় খুন হয়েছেন ৩৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে খুন হয়েছেন ৩৮ জন, মার্চে ৩৩ জন এবং এপ্রিলে ২৯ জন। সারা দেশের হিসাবে জানুয়ারিতে ২৯৪ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩০৮ জন, মার্চে ৩১৬ জন এবং এপ্রিলে খুন হয়েছেন ৩৩৬ জন। খুনের ঘটনা ছাড়াও দেশজুড়ে অন্যান্য অপরাধের মাত্রা বাড়ছেই। অপরাধীরা রাজনৈতিক কারণেই বেপরোয়া হয়ে পড়ায় দেশজুড়ে অপরাধের সংখ্যা বাড়ছে বলে অভিমত।
সর্বশেষ ১০ জুলাই রাতে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাগবেড় এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে উপজেলা তাঁতিদলের সদস্য সচিব মৃদুল হাসানকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হামলা ও হত্যার চেষ্টার ঘটনায় উপজেলা জিয়া মঞ্চ দলের সভাপতি জজ মিয়া জড়িত বলে অভিযোগ আহত মৃদুল হাসানের। তবে তা অস্বীকার করছেন জজ মিয়া। এ ঘটনায় আহত মৃদুল হাসান নিজেই বাদি হয়ে ৭ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। ১০ জুলাই রাত সাড়ে ৮টার দিকে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদীখানে জমি-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ করেছেন নিহতের পরিবারের। নিহত ব্যবসায়ীর নাম সাহেব আলী। এ ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ প্রতিবেশী স্বপন ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে। সাহেব আলীর ছেলে সোহাগ শেখ জানান, আহত অবস্থায় তার বাবাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে রাত সোয়া ১২টায় কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ ঢামেক হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল পুলিশ ফাড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মাসুদ। একইদিন খুলনার দৌলতপুর থানা যুবদলের বহিষ্কৃত সাবেক সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমান মোল্লাকে নিজ বাসার সামনে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। শুক্রবার দুপুরে মহানগরীর দৌলতপুরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, মাহবুবুর মহেশ্বরপাশা পশ্চিমপাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. আব্দুল করিম মোল্লার ছেলে। তিনি দৌলতপুর থানা যুবদলের সহ-সভাপতি ছিলেন। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় রাম দা হাতে তার ছবি ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় সংগঠন থেকে মাহাবুবকে বহিষ্কার করা হয়। এরপরও তিনি নিয়মিত দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিতেন। স্থানীয় আধিপত্য ও মাদক ব্যবসা নিয়ে তার সঙ্গে প্রতিপক্ষের বিরোধ ছিল বলেও জানা যায়। একইদিন চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় মো. রাসেল (২৫) নামের এক যুবককে প্রকাশ্যে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের দুর্গম মোবারক আলী টিলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, নিহত রাসেল ওই এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন বিদেশে ছিলেন। এক বছর আগে প্রবাস থেকে দেশে ফেরেন। মোবারক আলী টিলা এলাকায় বিকেলে একদল সন্ত্রাসী রাসেলকে একাধিক গুলি করে। এরপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে পাশের ধানি জমিতে মরদেহ ফেলে যায়। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
হাসপাতালে নিতে বলায় অসুস্থ স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা: বেশ কিছু দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন গৃহবধূ সালমা বেগম (৪০)। বিছানায় শুয়ে কাতরাচ্ছিলেন। কিন্তু স্বামী মোস্তফা কামাল তাঁর চিকিৎসায় কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছিলেন না। এক পর্যায়ে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য তাঁকে অনুরোধ করেন সালমা। মোস্তফা তাঁর অনুরোধে সাড়া না দিয়ে উল্টো ক্ষুব্ধ হয়ে দা দিয়ে কুপিয়ে সালমাকে হত্যা করেন। গত ৯ জুলাই রাতে গাজীপুর মহানগরের পশ্চিম ধীরাশ্রম ফুলবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মোস্তফা কামালের বাড়ি ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকায়। জানা গেছে, স্ত্রীকে হত্যার পর তিনি বসতঘরের মেঝেতে মরদেহ রেখে পাশেই বসে ছিলেন। পরে স্থানীয়রা ঘরে ঢুকে তাঁকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
চট্টগ্রামের রাউজানে বাড়ছে খুনোখুনি : চট্টগ্রামের রাউজানে খুনোখুনি থামছেই না। চলছে পাল্টাপাল্টি খুনের খেলা। স্থানীয় বিএনপি’র দুই গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরেই খুন-খারাবি হচ্ছে বেশি। সর্বশেষ চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় এক যুবককে গুলি করে ও এলোপাতাড়ি নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে লাশ ফসলের ক্ষেতে ফেলে গেছে দুর্বৃত্তরা। কী কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, সেটা নিয়ে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকার লোকজন কেউ মুখ খুলছে না বলে জানিয়েছে পুলিশ। ১০ জুলাই বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের মোবারক আলী টিলা এলাকায় তিন রাস্তার মাথায় বিল থেকে তার ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে। নিহত মোহাম্মদ রাসেল (৩০) মোবারক আলী টিলা গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে। তবে গত ৫ আগস্ট জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে ৬ জুলাই পর্যন্ত খুন হয়েছেন ১৩ জন। এর মধ্যে দশজনই রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী। গুলিবিদ্ধ, জখম ও অন্যান্যভাবে আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক। ৬ জুলাই উপজেলার কদলপুর ইউনিয়নের ঈষাণ ভট্টের হাট এলাকায় স্থানীয় যুবদল নেতা সেলিমকে (৪২) গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয় পাঁচজন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী। এর মধ্যে তিনজন ছিলেন বোরকা পরা ও দুজনের মুখে রুমাল মোড়ানো। সবার হাতে ছিল অস্ত্র। আত্মীয়ের জানাজার নামাজ পড়া শেষে বাড়ি ফেরার পথে সেলিমকে গুলি করে হত্যা করা হয় বলে জানা গেছে। তিনি (সেলিম) কদলপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের শমসেরপাড়া গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে। তার পঞ্চম শ্রেণিপড়ুয়া এক ছেলে ও ১৮ মাস বয়সী এক মেয়ে রয়েছে। সেলিম বালুর ব্যবসা এবং মুরগি খামারি ছিলেন। সেলিম ২০২২ সালে গঠিত কমিটিতে ইউনিয়ন যুবদলের সদস্যসচিব ছিলেন। তবে রাউজানে গত বছরের ১৮ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত ১০টি রাজনৈতিক হত্যা, অর্ধশত বার গোলাগুলি, সংঘর্ষ, মারামারি এবং কাউকে তুলে নিয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে বিএনপির স্থানীয় দুটি পক্ষের দ্বন্দ্বের জের ধরে এসব ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি পুলিশের। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে এসব ঘটনায় মামলা হয়েছে ৩৫টিরও বেশি।
খুলনায় দশ মাসে ২৬ খুন: খুলনা মহানগরীতে গত দশ মাসে খুনের ঘটনা ঘটেছে ২৬টি। এরমধ্যে শুধু পরকীয়া ও পারিবারিক কলহের জেরে প্রাণ গেছে অন্তত আটজনের। বাকিগুলোর পেছনে রয়েছে মাদক ব্যবসা, এলাকা ভিত্তিক আধিপত্য বিস্তার, ইজিবাইক ছিনতাইসহ নানা সামাজিক অপরাধ। নগরবাসীর ভাষ্য, একের পর এক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নগরীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। গত ২৩ মে রাতে খুলনার শিপইয়ার্ড এলাকায় নির্মমভাবে খুন হন নাঈম মোল্লা। পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ওই এলাকার এক গৃহবধূ সুমনা টিকটকে ভিডিও বানিয়ে বিভিন্ন পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। তারই একজন প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে অন্য প্রেমিক নাঈমকে নির্মমভাবে খুন করেন। ঘটনার পর সুমনাকে গ্রেফতার করা হয়। এই একটি ঘটনাই নয়, পুলিশ জানায়, গত দশ মাসে পরকীয়া বা পারিবারিক কলহের জেরে অন্তত আটটি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পারিবারিক ও সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহার, এবং রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে পর্যাপ্ত মনিটরিংয়ের অভাব এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী। তবে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. তানভীর আহমেদ সোহেল বলেন, পারিবারিক নৈতিকতা এবং সামাজিক অনুশাসনের অভাব সমাজে সহিংসতা বাড়িয়ে তুলছে। একই সঙ্গে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে নজরদারির ঘাটতি একটি বড় সমস্যা। নানা বয়স ও পেশার মানুষ খুনের শিকার হওয়ায় খুলনাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। নাগরিক সমাজ বলছে, এখন সময় হয়েছে মানসিক স্বাস্থ্য, পারিবারিক বন্ধন এবং নৈতিক শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দেওয়ার। তা না হলে অপরাধ প্রবণতা আরও বাড়বে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে বলে মনে করছে নাগরিক সমাজ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ক্রাইম বিভাগের এক সহকারী কমিশনার (এসি) বলেছেন, এলাকার আধিপত্য ও চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণে কোনো কোনো রাজনৈতিক পক্ষ শীর্ষ সন্ত্রাসীদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। টার্গেট করে বিরোধী পক্ষের লোকদের হামলা ও খুন করা হচ্ছে। এছাড়া গুরুতর জখমের ঘটনাও প্রায়ই ঘটছে। এসব অপরাধ দ্রুত সময়ের মধ্যে নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

দেশে মব সৃষ্টি করে মানুষও হত্যা করা হচ্ছে -এডভোকেট শাহদীন মালিক
দেশজুড়ে রোমহর্ষক-বীভৎস হত্যাকাণ্ডে বাড়ছে উদ্বেগ
- আপলোড সময় : ১১-০৭-২০২৫ ১০:৪৮:৩২ অপরাহ্ন
- আপডেট সময় : ১১-০৭-২০২৫ ১০:৪৮:৩২ অপরাহ্ন


কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ