ঢাকা , সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫ , ৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
আর্সেনালের সামনে দাঁড়াতে পারলোনা লিডস ইউনাইটেড ওয়েস্টহ্যামকে জলে চেলসির গোল বন্যা পিছিয়ে পড়েও শেষ মুহূর্তে জয় পেলো বার্সা সৌরভ গাঙ্গুলিকে কোচ হিসেবে নিয়োগ দিলো প্রিটোরিয়া ক্যাপিটালস এশিয়া কাপের জন্য দল ঘোষণা দিলো আফগানিস্তান অক্টোবরে বাংলাদেশের সাথে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবে আফগানরা অনূর্ধ্ব-১৫ বালকদের কাছে বড় ব্যবধানে হারলো নারী দল ‘স্টেডিয়ামের করুণ অবস্থা দেখে আমার কান্না চলে আসছে’ পর্যটকদের নৌ-ভ্রমণে মুখরিত সুজানগরের গাজনার বিল সেতু কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২৭০ ফ্ল্যাট বরাদ্দ বাতিল দেশকে দুর্নীতি ও খুনিমুক্ত করতে পিআর পদ্ধতির নির্বাচন চাই- চরমোনাই পীর অসাম্প্রদায়িক সংস্কৃতির ওপর চলছে মৌলবাদী আক্রমণ-খালেকুজ্জামান কফি ও কাজুবাদাম চাষে সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের সামনে সরকারি জায়গা দখল করে দোকান নির্মাণের পাঁয়তারা কেন্দুয়ায় সড়কের পাশ থেকে সিএনজি চালকের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার বাইকে পত্রিকার স্টিকার লাগিয়ে ইয়াবা পাচারে সাংবাদিক আটক সোনারগাঁওয়ে পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে ভাঙচুর লুটপাট দুই-গ্রুপের সংঘর্ষ আহত- ১০ কুমিল্লায় ৫২টি পাসপোর্টসহ এক মানবপাচারকারী গ্রেফতার শেরপুরের নকলায় এনসিপি’র ১৫ নেতার পদত্যাগ পোরশায় টাইফয়েড ক্যাম্পেইন উপলক্ষে শিক্ষক ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা

বিনামূল্যের পাঠ্যবই ছাপাতে কঠোর অবস্থানে এনসিটিবি

  • আপলোড সময় : ০৯-০৭-২০২৫ ১০:৪৪:১৮ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৯-০৭-২০২৫ ১০:৪৪:১৮ পূর্বাহ্ন
বিনামূল্যের পাঠ্যবই ছাপাতে কঠোর অবস্থানে এনসিটিবি
এবার সরকারি বিনামূল্যের পাঠ্যবই ছাপাতে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কঠোর অবস্থান নিয়েছে। সিসিটিভির মাধ্যমে নিবিড় নজরদারির আওতায় ছাপানে হবে পাঠ্যবই। নিম্নমানের কাগজে ছাপানো বন্ধে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পাঠ্যবই ছাপানোর ক্ষেত্রে এবার নতুন কিছু শর্ত মানতে হবে। তার মধ্যে প্রত্যেক ছাপাখানায় অত্যাধুনিক ক্লোজড সার্কিট টেলিভিশন (সিসিটিভি) বসানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আর ওই সিসিটিভির নিয়ন্ত্রণ থাকবে এনসিটিবির হাতে। নিজ কার্যালয়ে বসেই যাতে এনসিটিবির কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করতে পারেন। তাতে রাতের আঁধারে নিম্নমানের কাগজে বই ছাপানোর চেষ্টা করলে ক্যামেরায় ধরা পড়বে এবং তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, দীর্ঘদিন ধরেই দেশে বিনামূল্যের পাঠ্যবই ছাপায় নিম্নমানের কাগজ ব্যবহার করে মোটা টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি চক্র। বিগত ২০২৩ সালে ২৬৯ কোটি টাকার অনিয়মের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। আর চলতি শিক্ষাবর্ষেও ২৫৫ কোটি টাকা লোপাটের ঘটনা ঘটেছে। এবার তদন্তে নিম্নমানের কাগজে পাঠ্যবই ছাপিয়ে সরবরাহ করা ৪৬টি ছাপাখানা চিহ্নিত হয়েছে। পরিস্থিতি সামলাতে আগামী বছর সময়মতো পাঠ্যবই ছাপানো ও কাগজের মান ঠিক রাখতে কঠোর হয়েছে এনসিটিবি। সেজন্যই পাঠ্যবই ছাপানোর ক্ষেত্রে নতুন শর্ত আরোপ করা হয়েছে। সূত্র জানায়, চলতি বছর এমনিতেই প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের হাতে বিনা মূল্যের পাঠ্যবই তুলে দিতে দেরি হয়েছে মাত্রাতিরিক্ত। সারা দেশের সব শিক্ষার্থীর জন্য সব বিষয়ের পাঠ্যবই এনসিটিবি শিক্ষাবর্ষ শুরুর প্রায় তিন মাসের মাথায় সরবরাহ করতে পেরেছে। তাতে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ক্ষতি হয়েছে। এমন পরিস্থিতি এড়াতে আগামী বছরের পাঠ্যবই ছাপার কাজ এবার আগেভাগেই শুরু করা হয়েছে। গত মে মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে পাঠ্যবই ছাপার দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে জুনের মধ্যে সব দরপত্রের কাজ শেষ করে আগামী নভেম্বরের মধ্যে সব পাঠ্যবই ছাপিয়ে মাঠপর্যায়ে পাঠানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সূত্র আরো জানায়, দেশের প্রাক-প্রাথমিক স্তর থেকে নবম-দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের সরকার বিনামূল্যে পাঠ্যবই সরবরাহ করে। বছরের প্রথম দিন উৎসব করে শিক্ষার্থীদের হাতে পাঠ্যবই তুলে দেওয়ার রেওয়াজ দেশে বিগত ২০১০ সালে শুরু হয়েছিল। তবে গত দুই-তিন বছর শিক্ষাবর্ষের শুরুতে ১ জানুয়ারি উৎসব করে বই বিতরণ শুরু হলেও দরপত্রসংক্রান্ত জটিলতাসহ বিভিন্ন কারণে কিছু কিছু ক্ষেত্রে বছরের শুরুতে সব শিক্ষার্থীর হাতে সব নতুন বই দেয়া যায়নি। সব বই দিতে কিছুদিন দেরি হয়। এবার গত মার্চেই সর্বশেষ পাঠ্যবই সরবরাহের অনুমোদন বা পিডিআই দেয়া হয়েছে। চলতি শিক্ষাবর্ষে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) নির্ধারিত প্রাক্কলিত দরের তুলনায় গড়ে প্রায় ৪০ শতাংশ পাঠ্যবই ২০ শতাংশ বেশি দরে ছাপানো হয়েছে। ২০০৬ সালের পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অ্যাক্ট (পিপিএ) এবং ২০০৮ সালের পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুলস (পিপিআর) অনুসারে, কোনো পণ্য বা সেবার জন্য সরকারি ক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রাক্কলিত দরের ১০ শতাংশের বেশি হলে রি-টেন্ডার বাধ্যতামূলক। কিন্তু এবারের পাঠ্যবই ছাপার ক্ষেত্রে ওই নিয়ম মানা হয়নি। সময় স্বল্পতার কারণে ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে রি-টেন্ডার দেয়া সম্ভব হয়নি। তবে এবার প্রাক্কলিত দরের ১০ শতাংশের বেশি হলে রি-টেন্ডার দেয়া হবে। এদিকে এনসিটিবিতে বর্তমানে নিয়মিত চেয়ারম্যান নেই। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব সংস্থাটির সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক রবিউল কবীর চৌধুরী পালন করছেন। আগামী শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিক স্তরে প্রায় ৭ কোটি বই কম ছাপা হবে। সেক্ষেত্রে আগামী বছর মোট বইয়ের সংখ্যা প্রায় ৩৩ কোটি দাঁড়াবে। এবার ছাপাখানাগুলোর সক্ষমতার চেয়ে বেশি বই ছাপানোর কাজ না দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। অনেক ছাপাখানার মালিক ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে সক্ষমতার চেয়ে বেশি পাঠ্যবই ছাপানোর কাজ পেয়েছিল। যে কারণে সঠিক সময়ে পাঠ্যবই বিতরণে বিলম্ব হয়েছিল। এখন এনসিটিবির কাছে সব ছাপাখানার সক্ষমতার রিপোর্ট রয়েছে। যার যে সক্ষমতা, তার ৮০ শতাংশ কাজ দেয়া হবে। তাছাড়া কোনো প্রেস একটি ওয়েব মেশিন নিয়ে এনসিটিবির দরপত্রে অংশ নিতে পারবে না। কমপক্ষে দুটি ওয়েব মেশিন থাকতে হবে। পেপার মিলের সঙ্গে চুক্তির কাগজ জমা দিতে হবে। থাকতে হবে অটো-বাইন্ডিং সক্ষমতাও। ছাপাখানায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা ও টয়লেট থাকা বাধ্যতামূলক। অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান প্রফেসর রবিউল কবীর চেনধুরী জানান, নিম্নমানের কাগজে কেউ যাতে পাঠ্যবই ছাড়াতে না পারে সেজন্য এবার প্রত্যেক ছাপাখানায় সিসিটিভি থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স