
হবিগঞ্জে ১৪৪ ধারা ভেঙে সংঘর্ষ, ভাঙচুর-লুটপাট
- আপলোড সময় : ০৮-০৭-২০২৫ ১২:৫৭:৪৪ অপরাহ্ন
- আপডেট সময় : ০৮-০৭-২০২৫ ১২:৫৭:৪৪ অপরাহ্ন


হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে ১৪৪ ধারা ভেঙে চার গ্রামের কয়েক হাজার লোকের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ৫০টি দোকান, একাধিক যানবাহন ও বেসরকারি হাসপাতাল ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। গতকাল সোমবার বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত উপজেলার আনমনু, পূর্ব তিমিরপুর, পশ্চিম তিমিরপুর ও চরগাঁও গ্রামের লোকজন এ সংঘর্ষে জড়ায়। বিকেল ৪টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহুল আমীন ১৪৪ ধারা জারি করেন। তবুও নবীগঞ্জ শহরের গাজীর টেক, মৎস্যজীবী পাড়া, চরগাঁও ও পশ্চিম বাজারে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় সূত্র জানায়, সম্প্রতি আনমনুর আশাহিদ আলী আশার সঙ্গে তিমিরপুরের খসরু মিয়া তালুকদারের বিরোধের জেরে উত্তেজনা চলছিল। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী দু’পক্ষ নিজ নিজ এলাকায় সভা করে। এরপর গতকাল সোমবার বিকেলে নবীগঞ্জ শহরের গাজীরটেক পয়েন্টে সংঘর্ষ শুরু হয়। ব্যবসায়ীরা জানান, দুপক্ষ মুখোমুখি অবস্থা নিয়ে একে অন্যকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ও দেশীয় অস্ত্র নিক্ষেপ করতে থাকলে বাজার রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় একটি চক্র হামলা ও লুটপাটে পরিকল্পিতভাবে অংশ নেয়। আগুনে পুড়ে যায় কয়েকটি দোকান ও যানবাহন। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কয়েক কোটি টাকা বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। সন্ধ্যা ৬টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী ও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। একপর্যায়ে পরিস্থিতি শান্ত হয়। ঘটনা সামাল দিতে সাবেক এমপি শেখ সুজাত মিয়া, বিএনপি নেতা সরফরাজ আহমদ চৌধুরী, জামায়াত-সমর্থিত শাহজাহান আলী ও গণঅধিকার পরিষদের আবুল হোসেন জীবন স্থানীয়ভাবে উদ্যোগ নিয়েছেন। সন্ধ্যায় নবীগঞ্জ থানার ওসি শেখ মো. কামরুজ্জামান বলেন, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। গোটা এলাকায় নজরদারি চলছে। তবে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ইউএনও রুহুল আমীন বলেন, ১৪৪ ধারা জারি করার পরও দুই হাজারের বেশি মানুষ উত্তেজিত অবস্থায় বাজারে অবস্থান করছিল। পরে সন্ধ্যা ৬টায় সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে সক্ষম হয়।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ