ঢাকা , বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫ , ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
মূল ফোকাস জাতীয় নির্বাচন টার্গেট ফেব্রুয়ারি এপ্রিল : সিইসি প্রতিবছর জুলাই অভ্যুত্থান স্মরণের অঙ্গীকার জুলাই শহীদ স্মৃতি বৃত্তি’ চালু করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কার ইস্যুতে ঐকমত্যে অনিশ্চয়তা ইরান থেকে ঢাকায় পৌঁছালেন ২৮ বাংলাদেশি ২৩৯ কোটি টাকা ব্যয়ে হবে বিদ্যুতের ১০ সাবস্টেশন নির্মাণ হত্যাকাণ্ডে জড়িত খুনিদের দ্রুত বিচারের দাবি শেষবারের মতো পর্দায় ফিরছে ‘ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস’ শুধু পুরুষদের বিনোদনের জন্য ভাবা হতো আমাকে : স্কারলেট মাফিয়া চক্র নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন আমির খান বিজয়ের সঙ্গে প্রেমের গুজব নিয়ে মুখ খুললেন ফাতিমা এবার পাইরেসির কবলে পড়লো ‘কান্নাপ্পা’ ব্যস্ততার মাঝেই জন্মদিন পালন করলেন জয়া শাকিব খানকে ‘মেগাস্টার’ বলতে নারাজ জাহিদ হাসান নিজের মৃত্যুর গুজব নিয়ে যা জানালেন মাহি আবারও ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম তিন বিমানবন্দরে ১৬ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস অভিযোগ আমলে নিয়ে পলাতক ২৬ জনকে গ্রেফতারের নির্দেশ ছয় মাসে কর্মস্থলে ঝরেছে ৪২২ শ্রমিকের প্রাণ
এসর জরিপআরএসে

ছয় মাসে কর্মস্থলে ঝরেছে ৪২২ শ্রমিকের প্রাণ

  • আপলোড সময় : ০১-০৭-২০২৫ ০৭:১৪:১২ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০১-০৭-২০২৫ ০৭:১৪:১২ অপরাহ্ন
ছয় মাসে কর্মস্থলে ঝরেছে ৪২২ শ্রমিকের প্রাণ
চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে সারা দেশে কর্মস্থলে ৪২২ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। মোট ৩৭৩টি দুর্ঘটনায় এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার দেশের ২৬টি সংবাদপত্রে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে এ তথ্য তুলে ধরেছেন বেসরকারি সংগঠন সেইফটি অ্যান্ড রাইটস সোসাইটি (এসআরএস)। এর আগে ২০২৪ সালের প্রথমার্ধে ৪২০টি ঘটনায় ৪৭৫ জন এবং ২০২৩ সালের প্রথমার্ধে ২৮৭টি ঘটনায় ৩৮০ জন শ্রমিক কর্মস্থলে মারা গেছেন।
জরিপে দেখা গেছে, বছরের প্রথম ছয় মাসে সবচেয়ে বেশি পরিবহন খাতে ২০৭ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া সেবা খাতে ৬৫ জন, কৃষি খাতে ৫৯ জন, নির্মাণ খাতে ৫৯ জন, কল-কারখানা ও উৎপাদনশীল খাতে ৩২ জন।
মৃত্যুর কারণ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে সড়ক দুর্ঘটনায় ২৬৭ জন, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৪০ জন, বজ্রপাতে ৫৬ জন, উঁচু স্থান থেকে পড়ে ২৩ জন, ভারী বস্তুর আঘাতে ৯ জন, বিষাক্ত গ্যাসে ১ জন, পানিতে ডুবে ৫ জন, আগুন ও বিস্ফোরণে ১২ জন, মাটি ও দেয়াল ধসে ৮ জন এবং অন্য কারণে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
এসআরএসের পর্যবেক্ষণে শ্রমিক মৃত্যুর পেছনে একাধিক কারণ উঠে এসেছে। এর মধ্যে অবকাঠামোগত দুর্বলতা, ঝুঁকিপূর্ণ যন্ত্রপাতির ব্যবহার এবং কারিগরি ত্রুটি অন্যতম। পাশাপাশি অনিয়ন্ত্রিত পরিবহন ব্যবস্থা, অদক্ষ চালক, শ্রমিকদের ঝুঁকি-সচেতনতা ও নিরাপত্তা প্রশিক্ষণের অভাব, সুরক্ষা সরঞ্জামের (পিপিই) ঘাটতি এবং মালিকপক্ষের শ্রম আইন ও নিরাপত্তা নীতিমালার প্রতি উদাসীনতা শ্রমিকদের জন্য মৃত্যু-ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলেছে। এর ফলে অতিরিক্ত কাজের চাপ, পর্যাপ্ত বিশ্রামের অভাব, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং দুর্ঘটনার পর জরুরি ও প্রাথমিক চিকিৎসা ব্যবস্থার অনুপস্থিতি অনেক সময় শ্রমিক মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
বেসরকারি এ সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক সেকেন্দার আলী মিনা বলেন, প্রযুক্তির উন্নতি হয়েছে, শিল্পের ধরন পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু শ্রম ক্ষেত্রে দুর্ঘটনা চলমান রয়েছে। বড় হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। শ্রম সংস্কার কমিশন হয়েছে, সেখানে স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিষয়ে সুপারিশ রয়েছে। চারিদিকে সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে, এসব সংস্কারের সুফল শ্রমিক ও তার পরিবার পাবে না, যদি কর্ম-পরিবেশের মান উন্নয়ন করে দুর্ঘটনা কমিয়ে আনা না যায়।
কর্মক্ষেত্র দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সেক্টর ভিত্তিক দীর্ঘ পরিকল্পনা ও এর বাস্তবায়ন দরকার উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, শ্রমিক ও মালিকের কার্যকর সমন্বয় এবং পরিদর্শন ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন ঘটাতে হবে। দেশে নিরাপত্তা সংস্কৃতি গড়ে তুলতে শ্রমিক, মালিক, সরকারসহ সব অংশীজনকে দায়িত্ববান হতে হবে। প্রতিটি সেক্টরের জন্য পৃথক নিরাপত্তা নির্দেশনা থাকতে হবে, যার ভিত্তিতে প্রত্যেক মালিক তার নিজস্ব নিরাপত্তা নীতি তৈরি করবেন। এসআরএস মনে করে, শ্রমিকদের জন্য একটি নিরাপদ কর্মপরিবেশ গড়ে তোলার প্রথম দায়িত্ব মালিকের, যিনি ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম প্রদানসহ নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন। সরকারের দায়িত্ব হলো নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিধি বিধান প্রণয়ন ও তা পালনে সবাইকে বাধ্য করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় তদারকি ও মনিটর করা। অন্যদিকে, শ্রমিকদের দায়িত্ব হলো মালিকের দেয়া নির্দেশনা ও নিরাপত্তাবিধি মেনে চলা। এ তিন পক্ষের সহযোগিতা ছাড়া কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য