
জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান ঘিরে জামায়াতের ৩৬ দিনের কর্মসূচি
- আপলোড সময় : ২৯-০৬-২০২৫ ১০:৩৮:১৮ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ২৯-০৬-২০২৫ ১০:৩৮:১৮ পূর্বাহ্ন


জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান উপলক্ষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে ৩৬ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুর ১২টায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পারওয়ার। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসান মাহবুব জোবায়ের, কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ। জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কর্মসূচি-
১ জুলাই
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শহীদ, আহত ও পঙ্গুত্ববরণকারীদের জন্য দেশব্যাপী শাখায় শাখায় দোয়া।
২-৪ জুলাই
দরিদ্র, অসহায়, দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ।
৮-১৫ জুলাই
জামায়াত নেতাদের শহীদ ও আহত পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ, মতবিনিময় ও দোয়া অনুষ্ঠান।
১৬ জুলাই
শহীদ আবু সাঈদ স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান (রংপুরে)।
১৯ জুলাই
ক) জামায়াত ঘোষিত ৭-দফা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশ।
খ) শহীদ পরিবার কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানে আমীরে জামায়াতের অংশগ্রহণ।
২০-২৪ জুলাই
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মূল উদ্দেশ্য ও গণপ্রত্যাশা পূরণের লক্ষ্যে সেমিনার ও সিম্পোজিয়াম।
২৫-২৮ জুলাই
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান নিয়ে ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
২৯-৩০ জুলাই
নারী ও ছাত্রীদের উদ্যোগে আলোচনা সভা
১ আগস্ট
জাতীয় সেমিনার এবং শহীদ স্মারকের ইংরেজি ও আরবি অনুবাদের মোড়ক উন্মোচন।
১-৩ আগস্ট
ছাত্রদের উদ্যোগে আলোকচিত্র প্রদর্শনী।
৫ আগস্ট
দেশব্যাপী গণমিছিল এবং রাষ্ট্রীয় কর্মসূচিতে জাতীয় ও স্থানীয়ভাবে অংশগ্রহণ।
৬-৮ আগস্ট
সাংবাদিক, শিক্ষক, চিকিৎসক, আইনজীবী, প্রকৌশলী ও আলেম-ওলামাদের উদ্যোগে আলোচনা সভা।
ঝরেপড়া শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানে উপযোগী করতে এলো স্কিলফো
স্টাফ রিপোর্টার
বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়া কিশোর-কিশোরীদের কর্মসংস্থানের উপযোগী করে তুলতে বাংলাদেশ সরকার ও ইউনিসেফ যৌথভাবে চালু করছে যুগান্তকারী কর্মসূচি ‘স্কিলফো’। প্রাথমিকভাবে কক্সবাজারে পাইলট আকারে চালু হওয়া এ উদ্যোগ এখন দেশের ১৬টি জেলায় সম্প্রসারিত হচ্ছে, যার আওতায় এক লাখের বেশি কিশোর-কিশোরী উপকৃত হবে।
গতকাল শনিবার রাজধানীতে ‘বিদ্যালয় বহির্ভূত কিশোর-কিশোরীদের জন্য দক্ষতাকেন্দ্রিক সাক্ষরতা (স্কিলফো)’ পাইলট প্রকল্পের সফল সমাপ্তি উদযাপন করা হয়। ইউনিসেফের কারিগরি সহায়তায় এবং গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফর এডুকেশনের অর্থায়নে পরিচালিত এ কর্মসূচি বিদ্যালয় বহির্ভূত ও এনইইটি (নট ইন এডুকেশন, এমপ্লয়মেন্ট ওর ট্রেনিং) যুব সমাজকে সাক্ষরতা, প্রযুক্তিগত জ্ঞান, ডিজিটাল সক্ষমতা এবং আর্থিক সচেতনতার মাধ্যমে সমাজ ও অর্থনীতির মূলধারায় ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে। ইউনিসেফ জানিয়েছে, পাইলট প্রকল্পে প্রায় সাত হাজার কিশোর-কিশোরী উপকৃত হয়। তাদের জন্য প্রদান করা হয় মৌলিক সাক্ষরতা, গণনাগত দক্ষতা, কারিগরি জ্ঞান, ডিজিটাল ও আর্থিক সাক্ষরতা– যা বাংলাদেশ জাতীয় যোগ্যতা কাঠামোর (বিএনকিউএফ) সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, এই মডেল সফলভাবে প্রয়োগ করে দেশের ৬৪ জেলায় বাস্তবায়নের লক্ষ্য রয়েছে আমাদের। এতে দক্ষতাকেন্দ্রিক শিক্ষার গুরুত্ব বাড়বে এবং দেশে শিক্ষার প্রতি দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন আসবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, স্কিলফো শুধু প্রশিক্ষণই নয়, বরং কর্মজীবনে প্রবেশের একটি কার্যকর সেতুবন্ধন তৈরি করছে। কিশোরীদের চাকরিপ্রাপ্তির হার (৮৩.১ শতাংশ) ছেলেদের চেয়েও (৮১.৩ শতাংশ) বেশি, যা এই কর্মসূচির অন্তর্ভুক্তিমূলক বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার সফলতা নির্দেশ করে।
ইউনিসেফের বাংলাদেশ প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স বলেন, এই কর্মসূচি দেখিয়ে দিয়েছে সঠিক প্রশিক্ষণ ও সহায়তা পেলে বিদ্যালয় বহির্ভূত কিশোর-কিশোরীরাও সমাজ ও অর্থনীতিতে অর্থবহ অবদান রাখতে পারে। একে টেকসই করতে হলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে হবে।
সরকার জানিয়েছে, স্কিলফোকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়ে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা কর্মসূচির সঙ্গে একীভূত করা হবে। এতে এনইইটি যুবসমাজের জন্য তৈরি হবে বিকল্প শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের পথ, যেখানে বিদ্যমান সরকারি অবকাঠামো ব্যবহার করে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে চাহিদানির্ভর দক্ষতায়। জাতীয় পর্যায়ে স্কিলফোর এই সম্প্রসারণ শুধু ব্যক্তিগত দক্ষতা নয়, বরং দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক অগ্রগতির অন্যতম হাতিয়ার হয়ে উঠবে বলেই আশা সংশ্লিষ্টদের।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ