রাজধানীসহ সারাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড অনেকটাই নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে। অপহরণ, ছিনতাই, ডাকাতি, চুরি, ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ্যেই ঘটে চলেছে। পাশাপাশি চলছে টার্গেট কিলিং, দখল আর চাঁদাবাজি। কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। এছাড়াও একের পর এক মব সৃষ্টির ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে সমাজের বিভিন্ন স্তরে। সঙ্গে নৃশংস হত্যাকাণ্ড, চাঁদাবাজি ও ডাকাতির মতো ঘটনায় রীতিমতো ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছেন মানুষ। খোদ পুলিশের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে দিনে গড়ে ১০টি হত্যাকাণ্ড ঘটছে। তবে সাধারণ মানুষের অভিযোগ, পুলিশের নিষ্ক্রিয়তায় আইন-শৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটেছে। পুলিশের তৎপরতা না থাকাকে সুযোগ হিসেবে নিয়ে পথেঘাটে, পাড়া-মহল্লায় প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে এসব অপরাধ কর্মকাণ্ড। ছিনতাইয়ের সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হয়েছে চাপাতি বাহিনী। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে শুধু রাতে নয়, দিনদুপুরে মানুষকে কুপিয়ে জখম করে সর্বস্ব নিয়ে যাচ্ছে।
সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে সাধারণ মানুষকে বারবার আশ্বস্ত করা হলেও পরিস্থিতি ভালো হচ্ছে না। প্রশ্ন উঠছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বিভিন্ন সংস্থার সদস্যদের আন্তরিকতা নিয়ে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার সঙ্গে জড়িত সরকারের বিভাগগুলো সমন্বিতভাবে কাজ না করার কারণেই এমনটা ঘটছে। সঙ্গে রয়েছে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীতে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত গত পাঁচ মাসে দেড় শতাধিক খুনের ঘটনা ঘটেছে। নিহতদের মধ্যে নারীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ রয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই নিহত হয়েছেন গণপিটুনিতে (মব জাস্টিস)। বিশেষ করে গত ৩১ মে মিরপুরের দারুসসালাম এলাকায় দুজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। গত রোববার মাত্র ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে রাজধানীতে তিনটি নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। পল্লবী ১১ নম্বর সেকশন এলাকায় রিফাত নামের এক শিক্ষার্থী খুন হয়েছেন। খিলগাঁওয়ে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে খুন হয়েছেন মো. সাগর আহমেদ (২২) নামে এক যুবক। একই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুজন। রাত ২টার দিকে কামরাঙ্গীরচর এলাকায় মো. রকি (৩১) নামে একজন খুন হন।
তবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির বিষয়টি মানতে নারাজ ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এস এন মো. নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ঢাকা শহরের জনসংখ্যার ঘনত্ব এবং আয়তনের কারণে সাধারণ মানুষের আতংকিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। উত্তরায় সাবেক সিইসির সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি অনাকাক্সিক্ষত ছিল। তবে পুলিশ তাৎক্ষণিক রেসপন্স না করলে পরিস্থিতি আরও বাজে হতে পারত। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বর্তমানে পুলিশের মনোবল অনেক বেড়েছে। যারা মব সৃষ্টির চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। গত ২৫ মে দিবাগত রাতে রাজধানীর মধ্য বাড্ডার গুদারাঘাট এলাকায় সন্ত্রাসীদের এলোপাতাড়ি গুলিতে গুলশান থানা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক কামরুল আহসান সাধন খুন হয়। ওই হত্যাকাণ্ডের পর টানা তিন দিনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় আরও সাতটি খুনের ঘটনা ঘটে। এর আগে ১৮ মে রাতে রাজধানীর নিউমার্কেট থানাধীন সেন্ট্রাল রোডে এক যুবককে প্রকাশ্যে কোপানোর দুই মিনিট ছয় সেকেন্ডের এক ভিডিও ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
পুলিশ সদর দপ্তরের গত পাঁচ মাসের অপরাধসংক্রান্ত পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় দেখা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত পাঁচ মাসে দেশের বিভিন্ন থানায় ১ হাজার ৫৮৭টি হত্যা মামলা হয়েছে। গত বছরের একই সময়ে হত্যা মামলা হয়েছিল ১ হাজার ২৬৫টি। এ হিসেবে গত বছরের চেয়ে এ বছরের প্রথম পাঁচ মাসে ৩২২টির বেশি হত্যা মামলা হয়েছে। শতকরা হিসাবে তা বেড়েছে ২০ ভাগ।
তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এ বছরের প্রথম পাঁচ মাসে দিনে গড়ে ১০ জন খুন হয়েছেন। চলতি বছরের জানুয়ারিতে দেশে হত্যা মামলা হয় ২৯৪টি, ফেব্রুয়ারিতে ৩০০টি, মার্চে ৩১৬টি, এপ্রিলে ৩৩৬টি। মে মাসে তা আরও বেড়ে হয় ৩৪১টি। এ হিসাবে গড়ে প্রতি মাসে দেশে ৩১৭ জনকে হত্যা করা হয়। একই সময় নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলাও ব্যাপকহারে বেড়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, এই পাঁচ মাসে মোট ৯ হাজার ১০০টি মামলা হয়েছে।
সমাজ ও অপরাধ বিশ্লেষকরা বলছেন, অপরাধীরা এখন যতটা সক্রিয়, পুলিশ ততটা নিষ্ক্রিয়। পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার সুযোগে অপরাধপ্রবণতা দিন দিন বাড়ছে। তারা বলছেন, পুলিশ কেন সক্রিয় হতে পারছে না, তা পুলিশকেই পরিষ্কার করে বলতে হবে। তাদের কোনো যৌক্তিক সমস্যা থাকলে তা সমাধান করে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই হবে।
মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি-এইচআরএসএসের প্রতিবেদন বলছে, চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে রাজনৈতিক সহিংসতায় দেশে ৬৭ ব্যক্তি হত্যার শিকার হন। জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ৩২৫টি রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত হন ৪৭ জন। বাকি ২০ জন এপ্রিল ও মে মাসে নিহত হন। সংগঠনটির সংশ্লিষ্ট বিশ্লেষকেরা জানিয়েছেন, আধিপত্য বিস্তার, রাজনৈতিক প্রতিশোধ, চাঁদাবাজি ও বিভিন্ন স্থাপনা দখলে সহিংসতা বেশি ঘটেছে। একই সঙ্গে আধিপত্য বিস্তার, রাজনৈতিক প্রতিশোধ, চাঁদাবাজি ও বিভিন্ন স্থাপনা দখলে সহিংসতা বেশি ঘটেছে।
সম্প্রতি পুরস্কার ঘোষিত শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদ গ্রেফতার হলেও অনেক শীর্ষ সন্ত্রাসী অধরা রয়েছে। শীর্ষ সন্ত্রাসীদের নিজেদের মধ্যে হানাহানিতেও অনেক খুনের ঘটনা ঘটছে। এই অপরাধ কাজে পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র ব্যবহার হচ্ছে। সম্প্রতি একাধিক ঘটনায় এর প্রমাণ পাওয়া গেছে। পৃথক অভিযান চালিয়ে চট্টগ্রাম পুলিশ দুই জনকে গ্রেফতার করেছে। তারা হলেন মো. পারভেজ (২৫) ও রিয়াজুর রহমান (২২)। তারা ডাকাতির চেষ্টা করছিলেন বলে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। গ্রেফতার দুই জনের কাছ থেকে ধারালো দেশি অস্ত্রসহ একটি রিভলবার ও গুলি উদ্ধার করা হয়। রিভলবার ও গুলি গত বছরের ৫ আগস্ট পাহাড়তলী থানা থেকে লুট হয় বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে। গত কয়েক মাসে সারা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যেভাবে অবনতি হচ্ছে তাতে সামনের পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, বেশকিছু কারণে এই অবস্থা হয়েছে। পুনর্গঠিত জেলা ও বিভাগীয় আইনশৃঙ্খলা কমিটিতে পুলিশকে অবমূল্যায়ন, মব ভায়োলেন্স, পুলিশকে ভয় না পাওয়া, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতায় অপরাধের মাত্রা বেশি দেখা যাচ্ছে। অনেক রাজনীতিবিদও পুলিশকে খাটো করে কথা বলছেন।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর জামিনে বের হওয়া শীর্ষ সন্ত্রাসী ও দীর্ঘদিন বিদেশে পলাতক আন্ডারওয়ার্ল্ডের মাফিয়ারা তৎপরতা বাড়িয়ে দেওয়ায় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আন্ডারওয়ার্ল্ড নিয়ন্ত্রণ করা এসব সন্ত্রাসী তাদের সহযোগীদের দিয়ে একের পর এক অপরাধ সংঘটিত করছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে নিজেদের সক্ষমতার জানান দিচ্ছে। আবার আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে জড়াচ্ছে খুনোখুনিতেও।
এমন পরিস্থিতিতে অপরাধ বিশ্লেষকরা মনে করেন, ৫ আগস্টের পরে শীর্ষ সন্ত্রাসী ও আন্ডারওয়ার্ল্ডের অপরাধীদের ছেড়ে দেওয়ার কারণে অন্য অপরাধীরাও উৎসাহিত হয়। তারাই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি, খুন ও আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে অপরাধে জড়াচ্ছে। এসব অপরাধীর বিষয়ে পুলিশের কোনো নজরদারি নেই। কারণ পুলিশকে বহুমুখী কাজে যুক্ত করা হচ্ছে। প্রতিদিন আন্দোলন-সংগ্রাম, আসামি গ্রেফতার ও মামলা তদন্ত রয়েছে পুলিশের।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, আন্ডারওয়ার্ল্ড উত্তপ্ত হওয়ার আশঙ্কা করছে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলো। দেশের বাইরে থাকা সন্ত্রাসীরা নিজেদের সহযোগীদের মাধ্যমে নতুন করে আধিপত্য বিস্তারের জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। কারাগারে থাকা সন্ত্রাসীরা তাদের সহযোগীদের বার্তা দিচ্ছে। যারা বের হয়েছে তারাও নতুন মেরুকরণে নেমেছে। যে কারণে সন্ত্রাসীদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে পুলিশ সদর দপ্তর সবকটি ইউনিট, রেঞ্জ ডিআইজি ও জেলার এসপিদের বিশেষ বার্তা পাঠানো হয়েছে। তাছাড়া আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের সদর দপ্তরে আত্মগোপনে থাকা সন্ত্রাসীদের বিষয়ে নতুন করে চিঠি পাঠানো হয়েছে। কারাগার কর্তৃপক্ষকেও হাজতি ও বন্দি সন্ত্রাসীদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জামিনে মুক্ত হতে নানা চেষ্টা করে সন্ত্রাসীরা। প্রথমে কারাগার থেকে মুক্ত হন কিলার আব্বাস। আরো মুক্ত হন সুইডেন আসলাম, মোহাম্মদপুরের ইমামুল হাসান হেলাল ওরফে পিচ্চি হেলাল, হাজারীবাগ এলাকার সানজিদুল ইসলাম ওরফে ইমন, খন্দকার নাঈম আহমেদ ওরফে টিটন ও খোরশেদ আলম ওরফে রাসু ওরফে ফ্রিডম রাসু।
সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) আশরাফুল হুদা বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কাক্সিক্ষত পর্যায়ে পৌঁছতে না পারলেও আগের চেয়ে কিছুটা উন্নতি হয়েছে। এখন পুলিশ সদস্যদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা দরকার। এ জন্য প্রয়োজন ঊর্ধ্বতন কর্মকতাদের সিরিয়াস মনিটরিং। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে পুলিশে নিয়োগ অনেকটা ডিএনএ টেস্ট করেই হয়েছে। তাদের নিয়েই পথ চলতে হচ্ছে বর্তমান প্রশাসনকে। তাই প্রয়োজন দ্রুততর সময়ের মধ্যে বিভিন্ন স্তরে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া। আবার বর্তমান সরকারের উচিত হবে স্বতন্ত্র পুলিশ কমিশন সৃষ্টি করে নজির সৃষ্টি করা। কারণ এই কমিশনের ব্যাপারে অনেকেরই প্রত্যাশা রয়েছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার নূরুল হুদাকে আটককালে ‘মব জাস্টিসের যে ঘটনা ঘটেছে, তা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। ডাকাতি বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, পুলিশের সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি, নজরদারি ও গোয়েন্দা তৎপরতা আরও জোরদার করা হবে। ডাকাতদের কোনোভাবেই সক্রিয় হতে দেওয়া যাবে না। সম্প্রতি সচিবালয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে। পুলিশ এখন আগের তুলনায় অনেক বেশি সক্রিয়।
অপরাধ বিশেষজ্ঞ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. তৌহিদুল হক বলেন, অপরাধীদের দৌরাত্ম্য যতটা বাড়ছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা এর চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে। যে কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না। তিনি বলেন, কাগজে-কলমে পুলিশি তৎপরতা থাকলেও মূলত সক্রিয় নয় পুলিশ। এখনো আগের মতোই চলছে পুলিশি তৎপরতা। ঘুস বাণিজ্য, মামলায় হয়রানিসহ নানা অপতৎপরতার অভিযোগ রয়েছে পুলিশের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, পুলিশের দুর্বলতা কোথায় তা পুলিশকেই চিহ্নিত করে প্রকাশ করতে হবে। তারা যদি নিরাপত্তা নিশ্চিত না করতে পারে, তাও জনগণকে জানিয়ে দিতে হবে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

*নৃশংস হত্যাকাণ্ড, চাঁদাবাজি ও ডাকাতির ঘটনায় ভীতসন্ত্রস্ত মানুষ *অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে গড়ে প্রতিদিন ১০ জন করে খুন হচ্ছে *কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি
সারাদেশে নিয়ন্ত্রণহীন অপরাধ
- আপলোড সময় : ২৮-০৬-২০২৫ ০৪:২০:২৫ অপরাহ্ন
- আপডেট সময় : ২৮-০৬-২০২৫ ০৪:২০:২৫ অপরাহ্ন


কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ