ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫ , ১২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
পোরশায় ইসলামী আন্দোলনের গাংগুরিয়া ইউনিয়ন কমিটি গঠন পোরশার পূর্ণ ভবা নদীতে অবৈধ রিং জাল জব্দ রিভার প্লেটের সাথে জয় পেলো ইন্টার মিলান ক্লাব বিশ্বকাপে শেষ ষোলোর টিকেট পেলো ডর্টমুন্ড আল-নাসরে নতুন অধ্যায়ের শুরু করলেন রোনালদো অনির্দিষ্টকালের জন্য ছিটকে গেলেন নরকিয়া ব্রিজটাউন টেস্টের প্রথম দিনই ১৪ উইকেটের পতন ক্রিকেটের নিয়মে পরিবর্তন আনল আইসিসি টানা দুই ম্যাচে হাসলো সোহানের ব্যাট বাংলাদেশের হতাশার দিলে শ্রীলঙ্কার ৪৩ রানের লিড ২০২৬ সালের এইচএসসি পরীক্ষা পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিজয় উদযাপনে তেহরানে বিশাল র‌্যালি অন্তর্বর্তী সরকারের অগ্রগতি প্রতিবেদন প্রকাশ সচিবালয়ে কর্মচারীদের সংঘর্ষ, ক্যান্টিন বন্ধ আগামীকাল থেকে ৯ দিনব্যাপী রথযাত্রা মহোৎসব শুরু আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান মার্চ টু এনবিআর ঘোষণা বাড়ছে অনিশ্চয়তা অসন্তোষ সাবেক সিইসি হাবিবুল আউয়াল গ্রেফতার নির্বাচন কমিশনকে পর্যবেক্ষণ করছি -জামায়াতে ইসলামী আজ এইচএসসি পরীক্ষা শুরু
৩ অধ্যাদেশে অর্থনৈতিক সংস্কারের রূপরেখা

অন্তর্বর্তী সরকারের অগ্রগতি প্রতিবেদন প্রকাশ

  • আপলোড সময় : ২৬-০৬-২০২৫ ০৫:০১:৫৬ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৬-০৬-২০২৫ ০৫:০১:৫৬ অপরাহ্ন
অন্তর্বর্তী সরকারের অগ্রগতি প্রতিবেদন প্রকাশ
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর থেকে এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন খাতে গৃহীত সংস্কারমূলক উদ্যোগের একটি সারসংক্ষেপ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে প্রধান উপদেষ্টার দফতর। গতকাল বুধবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এই প্রতিবেদনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ১৪টি খাতে সম্পন্ন সংস্কারের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এসব সংস্কারকাজ শেষ হয়েছে চলতি বছরের ১৫ জুন মধ্যে। প্রতিবেদনে উল্লেখযোগ্য যেসব খাতকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, রেলওয়ে, নির্বাচনি ব্যবস্থা, বিচার ব্যবস্থা, আর্থিক খাত, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, শিক্ষা, লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ, সামাজিক সুরক্ষা, শ্রম অধিকার, অভিবাসন, মানবাধিকার এবং তরুণ সমাজ। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের রাজস্ব ও আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে এবং কাঙ্ক্ষিত সংস্কার বাস্তবায়নে সরকার চলতি বছরে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশ জারি করেছে। এগুলো হচ্ছে, ‘রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ’, ‘ব্যাংক পুনর্গঠন অধ্যাদেশ’ এবং ‘সংকটাপন্ন সম্পদ ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ (ড্যামো)’। এই উদ্যোগগুলো আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে সমন্বয়ের ভিত্তিতে বাস্তবায়িত হচ্ছে। পৃথক দুই রাজস্ব বিভাগ গঠনের উদ্যোগ: চলতি বছরের ১২ মে জারি করা ‘রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ’-এর মাধ্যমে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভেঙে দুটি স্বতন্ত্র বিভাগ- ‘রাজস্ব নীতি বিভাগ’ এবং ‘রাজস্ব প্রশাসন বিভাগ’ গঠনের প্রস্তাব করা হয়। এর মূল লক্ষ্য হলো ব্যবস্থাপনায় জবাবদিহি বাড়ানো, নীতিনির্ধারণ ও বাস্তবায়ন পৃথক করা এবং করজাল সম্প্রসারণের মাধ্যমে রাজস্ব আহরণে গতিশীলতা আনা। তবে, অধ্যাদেশটি বাস্তবায়ন নিয়ে কিছু জটিলতা দেখা দিলে অর্থ মন্ত্রণালয় গত ২২ মে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়- আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংশোধনী এনে অধ্যাদেশটি কার্যকর করা হবে। ব্যাংক পুনর্গঠনে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে বিশেষ ক্ষমতা: এর আগে ১৭ এপ্রিল ‘ব্যাংক পুনর্গঠন অধ্যাদেশ’ জারি করা হয়, যা সরকারি গেজেটে প্রকাশিত হয় চলতি বছরের ৯ মে। এই অধ্যাদেশ অনুযায়ী, সংকটাপন্ন কোনও ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ওপর বাংলাদেশ ব্যাংক সাময়িক নিয়ন্ত্রণ নিতে পারবে। এর আওতায় প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যাংক একত্রিকরণ (মার্জার), অধিগ্রহণ, পুনঃমূলধনায়ন (রেক্যাপিটালাইজেশন) কিংবা বিলুপ্তির মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে। এ আইন সরকারি, বেসরকারি এবং বিদেশি সব ধরনের ব্যাংকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের চাপ, মূলধন ঘাটতি ও অব্যবস্থাপনা মোকাবিলায় এ অধ্যাদেশ যুগান্তকারী ভূমিকা রাখতে পারে। সংকটাপন্ন সম্পদ ব্যবস্থাপনায় নতুন কাঠামো: ইতোমধ্যে ‘সংকটাপন্ন সম্পদ ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ’ চূড়ান্ত করা হয়েছে। অধ্যাদেশটি বাস্তবায়নে অর্থ মন্ত্রণালয়, আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের যৌথ সমন্বয়ে একটি চার সদস্যের টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। পাশাপাশি বড় করপোরেট ঋণ আদায়ে আইনি প্রতিবন্ধকতা চিহ্নিত করতে ১০ সদস্যের একটি ‘আইনি বিশেষজ্ঞ দল’ কাজ করছে। বিশেষজ্ঞ দলটি মূলত ‘মানি লোন কোর্ট আইন’-সহ সংশ্লিষ্ট আইন পর্যালোচনা করে যুগোপযোগী সংস্কারের সুপারিশ দিচ্ছে। এ ছাড়া তৃতীয় একটি টিম ব্যাংক নির্বাহীদের সঙ্গে সমন্বয়ে নতুন ও পুনর্গঠিত ঋণচুক্তিতে শক্তিশালী দফাগুলো অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে নির্দেশনা প্রণয়ন করছে, যাতে ব্যাংকের পাওনা আদায়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারের এই তিনটি অধ্যাদেশকে দেশের অর্থনীতি ও ব্যাংক খাত সংস্কারের রূপরেখা হিসেবে দেখছেন অর্থনীতিবিদরা। তাদের মতে, কার্যকর বাস্তবায়ন হলে রাজস্ব আদায় বাড়বে, ব্যাংক খাতে স্থিতিশীলতা আসবে এবং খেলাপি ঋণ ব্যবস্থাপনায় গতি আসবে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স