ঢাকা , শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ১০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
ফিফার ভাবনায় ২০৩০ বিশ্বকাপে ৬৪ দল ফারহান-রউফের অঙ্গভঙ্গিতে ক্ষুব্ধ ভারত, আইসিসিতে অভিযোগ আলভারেজের হ্যাটট্রিকে রোমাঞ্চকর জয়ে ফিরল অ্যাতলেতিকো দীর্ঘ সময়ের জন্য মাঠের বাইরে বার্সেলোনার তরুণ তারকা গাভি মেসির জোড়া গোল, নিউইয়র্ককে উড়িয়ে প্লে-অফে ইন্টার মায়ামি লা লিগার প্রথম এল ক্লাসিকোর তারিখ চূড়ান্ত শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে ফ‌রিদপু‌রে সাংবাদিকদের সঙ্গে জেলা পুলিশের মত বিনিময় সভা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অধ্যাদেশে আপত্তি মানববন্ধনে শিক্ষকরা জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ভাষা সৈনিক আহমদ রফিক ৪৫ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট পাবে বিএনপি, জামায়াত ৩৩ দশমিক ৫ শতাংশ : জরিপ সারাদেশে দুর্গাপূজায় কঠোর নিরাপত্তা বড় হচ্ছে ফায়ার ফাইটারদের মৃত্যুর মিছিল রাজনৈতিক-আমলাতান্ত্রিক সংস্কৃতির পরিবর্তন না হলে স্বাধীন দুদক সম্ভব নয় আগামী নির্বাচন সম্পর্কে বিশ্বকে অবহিত করবেন প্রধান উপদেষ্টা -প্রেস সচিব প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার অ্যাপ পোস্টাল ভোট বিডি উদ্বোধন নভেম্বরে আ’লীগের ঝটিকা মিছিলের চেষ্টা, ককটেল-ব্যানারসহ গ্রেফতার ২৪৪ বড় ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে দেশ নির্বাচন, গণতন্ত্র ও এশিয়ায় তরুণদের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা আলোচনায় দুর্গাপূজায় সার্বিক বিষয় নিবিড় পরিবীক্ষণ করবে ৩ মন্ত্রণালয় ৪৫তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল ১০ ডিসেম্বর
আইসিডিডিআরবি’র গবেষণা ফলাফল

করোনায় নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত শহরের নারী কর্মীরা

  • আপলোড সময় : ২৬-০৬-২০২৫ ১২:০০:৫৪ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৬-০৬-২০২৫ ১২:০০:৫৪ পূর্বাহ্ন
করোনায় নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত শহরের নারী কর্মীরা
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মহামারির সময় দেশের শহরের বস্তি ও পোশাক কারখানায় কর্মরত নারী শ্রমিকদের একটি বড় অংশ চরম স্বাস্থ্যঝুঁকি, আর্থিক সংকট ও সামাজিক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগেছেন। তাদের মধ্যে প্রায় ২৮ শতাংশ নারীকে সন্তান জন্মদান বা চিকিৎসার খরচ জোগাতে গহনা বিক্রি করতে হয়েছে কিংবা ঋণ নিতে হয়েছে। এর ফলে কেউ সন্তানের লেখাপড়া বন্ধ করেছেন, কেউ খাবারের সংস্থান করতে গিয়ে স্বাস্থ্যহানির মুখে পড়েছেন।
গতকাল বুধবার রাজধানীর মহাখালীর রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) সাসাকাওয়া অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ‘ওম্যান রাইজ’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রকাশিত গবেষণা ফলাফলে এমন চিত্র উঠে এসেছে। গবেষণা ফলাফল উপস্থাপন করেন আইসিডিডিআরবির গবেষক ডা. সোহানা শফিক। এতে সহযোগিতা করেছে আইইডিসিআর, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং কানাডার সিককিডস হাসপাতাল। গবেষণার আর্থিক সহায়তা দিয়েছে কানাডার আন্তর্জাতিক উন্নয়ন গবেষণা কেন্দ্র (আইডিআরসি)। এই গবেষণা ঢাকা ও গাজীপুর শহরের বস্তি এলাকায় এবং গাজীপুরের ছয়টি তৈরি পোশাক কারখানায় পরিচালিত হয়েছে। এতে মহামারির পূর্ববর্তী সময়, মহামারির সময়কাল এবং মহামারির পরবর্তী পর্যায়ে নারী শ্রমিকদের অভিজ্ঞতা, চ্যালেঞ্জ ও প্রতিক্রিয়া বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
গবেষণায় বলা হয়, দেশের ৯০ শতাংশেরও বেশি কর্মজীবী নারী অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কাজ করেন। আর এই খাতই মহামারির সময় সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়ে। এই নারীদের বেশিরভাগই স্বাস্থ্যসেবার ঘাটতি, পুষ্টিহীনতা, মানসিক চাপ এবং সামাজিক সহায়তার অভাবে ভুগেছেন।
গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, মহামারি মোকাবিলায় হস্তক্ষেপমূলক কিছু পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে স্বাস্থ্যবিষয়ক সচেতনতায় কিছু অগ্রগতি হয়েছে। শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ কীভাবে ছড়ায়, তা নিয়ে নারীদের মধ্যে গড়ে ২৯ শতাংশের বেশি সচেতনতা বেড়েছে। এই হার অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মরতদের মধ্যে প্রায় ৩৬ শতাংশ। করোনার লক্ষণ সম্পর্কে সচেতনতা বেড়েছে প্রায় ২৫ শতাংশ; তার মধ্যে পোশাক কারখানায় কর্মরত নারীদের মধ্যে এই বৃদ্ধি প্রায় ৩২ শতাংশ, আর বস্তির গৃহকর্মীদের মধ্যে প্রায় ২০ শতাংশ। হাত ধোয়ার সঠিক নিয়ম ও সময় সম্পর্কে জ্ঞানে উল্লেখযোগ্য উন্নতি দেখা গেছে, যা শহুরে স্বাস্থ্য সচেতনতায় ইতিবাচক ইঙ্গিত দেয়।
গবেষণা ফলাফলে দেখা বলা হয়, নারীদের এসব সমস্যা এখনো প্রকট। এক নারী শ্রমিক জানান, সন্তান জন্মের সময় তার চিকিৎসাব্যয়ের জন্য তাকে ঋণ নিতে হয়েছে এবং পরবর্তীতে মেয়েকে স্কুল থেকে তুলে নিতে বাধ্য হয়েছেন। এমন অভিজ্ঞতা একক বা ব্যতিক্রম নয়-গবেষণার সাক্ষাৎকারভিত্তিক অংশেও এমন অসংখ্য অভিজ্ঞতা উঠে এসেছে। বিশেষত অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মরত নারীরা সরকারি সহায়তা, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি বা তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর স্বাস্থ্যসেবার সুবিধা থেকে প্রায় পুরোপুরি বঞ্চিত।
ডা. সোহানা শফিক বলেন, গার্মেন্টস খাতে কর্মরত নারীরা তুলনামূলকভাবে কিছু সুবিধা পেলেও মানসিক চাপ, স্বাস্থ্যসেবার সীমাবদ্ধতা এবং ছাঁটাইয়ের ঝুঁকির কারণে তারাও ক্ষতির বাইরে ছিলেন না। গবেষণায় উঠে এসেছে, প্রতিরোধমূলক অভ্যাস যেমন মাস্ক পরা, হাত ধোয়া এবং দূরত্ব বজায় রাখার অভ্যাস গড়ে তোলায় গড়ে প্রায় ১৬ শতাংশ উন্নতি হয়েছে। খাদ্য গ্রহণে বৈচিত্র্য বেড়েছে প্রায় ১২ শতাংশ, বিশেষ করে পোশাক কারখানায় কর্মরতদের মধ্যে। তবে অনানুষ্ঠানিক খাতে এখনো পুষ্টিজনিত ঝুঁকি বেশ স্পষ্ট।
গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মমতাজ আহমেদ এনডিসি, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ডা. সারওয়ার বারী এবং নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের সদস্য ও আন্তর্জাতিক জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. হালিদা হানুম আখতার, আইসিডিডিআরবি-র নির্বাহী পরিচালক ডা. তাহমিদ আহমেদসহ আরও অনেকে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ