ঢাকা , সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫ , ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
নগর ভবন খুলে দেবেন ইশরাকের সমর্থকরা এভাবে চলতে থাকলে কিয়ামত পর্যন্ত শতভাগ ঐকমত্য হবে না : নুর কিছু বিষয় ‘অমীমাংসিত’ সব দলকে ছাড় দেয়ার আহ্বান আলী রিয়াজের প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ নিয়ে একমত জামায়াত-এনসিপি সায় নেই বিএনপির সর্বোচ্চ ১০ বছর দায়িত্ব পালন করতে পারবেন প্রধানমন্ত্রী সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ বাড়ল ১০ হাজার কোটি টাকা ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন যুক্তরাষ্ট্র কি ইরাকের ভুল এবার ইরানে করছে-প্রশ্ন চীনের আমরা ইসরায়েলের জন্য সব হুমকি গুঁড়িয়ে দিয়েছি-ট্রাম্প পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় বসছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রশ্ন তুললেন মার্কিন আইনপ্রণেতারা যুক্তরাষ্ট্রের নির্লজ্জ আগ্রাসন এর নিন্দা জানিয়েছে হামাস যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় সংঘাতের তীব্রতা বাড়ার শঙ্কা জাতিসংঘের চট্টগ্রামে করোনায় ২ জনের মৃত্যু কুমিল্লায় কোভিড ও ডেঙ্গুতে ঝরলো ২ প্রাণ সড়কে বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল এইচএসসি পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে ঢাকা বোর্ডের সামনে বিক্ষোভ ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের তারিখ নিয়ে সবার মধ্যে স্বস্তি এসেছে- আমির খসরু ভারতীয় ‘রিপাবলিক বাংলা’ টিভির সম্প্রচার বন্ধে হাইকোর্টের রুল ১৮ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করলো বিএসএফ

কিছু বিষয় ‘অমীমাংসিত’ সব দলকে ছাড় দেয়ার আহ্বান আলী রিয়াজের

  • আপলোড সময় : ২৩-০৬-২০২৫ ০৫:৩৬:২২ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৩-০৬-২০২৫ ০৫:৩৬:২২ অপরাহ্ন
কিছু বিষয় ‘অমীমাংসিত’ সব দলকে ছাড় দেয়ার আহ্বান আলী রিয়াজের
দ্বিতীয় দফা সংলাপে আলোচিত উচ্চকক্ষ গঠন এবং রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রক্রিয়াসহ কিছু বিষয় ‘অমীমাংসিত রয়েছে’ বলে জানিয়েছেন ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ। জুলাই সনদ তৈরির লক্ষ্যে ‘অমীমাংসিত’ বিষয়গুলো নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছুতে ছাড় দিতে রাজনীতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেছেন, নীতি নির্ধারক পর্যায়ে আলোচনার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে আরও খানিকটা আলোচনার জন্য অনুরোধ এসেছে। এক্ষেত্রে কমিশনও মনে করছে আলোচনার জন্য কিছুটা সময় প্রয়োজন। গতকাল রোববার বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল মাল্টিপাস হলে, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কমিশনের দ্বিতীয় দফা সংলাপের পঞ্চম দিনের আলোচনা চলছে। এ দিন প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রের মূলনীতি ও নির্বাচনী এলাকা নির্ধারণ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনায় বসেছে কমিশন। আলী রীয়াজ বলেন, “গত কয়েক দিনের আলোচনা কিছু বিষয় অমীমাংসিত রয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে উচ্চকক্ষ গঠন, উচ্চকক্ষ কিভাবে গঠিত হবে? নারীদের প্রতিনিধিত্ব কিভাবে হবে? রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রক্রিয়া কি হবে? এগুলো বিষয়ে আমরা এক জায়গায় আসতে পারিনি। “এসব প্রসঙ্গে আমাদের সঙ্গে কয়েকটি রাজনৈতিক দল যোগাযোগ করেছে এবং আমরাও কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সাথে যোগাযোগ করেছি।” আলী রিয়াজের কথায় “উচ্চকক্ষের বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে অনুরোধ এসেছে, তারা একটু নীতি নির্ধারক পর্যায়ে আলোচনা করতে চায়। সে জন্য একটু সময় দরকার। সে কারণে আমরা কমিশনের পক্ষ থেকে একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমরা এ বিষয়গুলো আর একটু পরে অর্থাৎ আগামী সপ্তাহে আলোচনা করি।” আগামী দুই দিন সংলাপ মুলতবি থাকবে বলেও জানিয়েছেন আলী রিয়াজ। “আমরা আশা করছি, এই সময় আপনারা আলাপ আলোচনা করে ফেরত আসতে পারবেন। কমিশন নিজেও মনে করে যে, কমিশনের নিজেরও একটু বসা দরকার।” কমিশনের সহসভাপতি বলেন, “কোন জায়গায় আমার একমত হতে পারি, কতদূর পর্যন্ত যেতে পারি, একটু ছাড় দেয়ার জায়গাতে আসুন। যারা আসছেন আরেকটু আগান। জুলাই সনদ করার মধ্য দিয়ে যেন আমরা এই পর্বের অংশ যেন শেষ করতে পারি।” ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি সংলাপে অংশ নিয়েছেন। আলী রীয়াজের এ বৈঠক সভাপতিত্বে কমিশনের সদস্যদের মধ্যে আছেন বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, বদিউল আলম মজুমদার, আইয়ুর মিয়া, ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন। কোরবানির ঈদের আগে প্রথম ধাপের আলোচনা শেষে দ্বিতীয় ধাপের আলোচনার জন্য ২ জুন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসেছিল ঐকমত্য কমিশন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর গত অক্টোবরে গঠিত ছয়টি সংস্কার কমিনের প্রতিবেদন জমা পড়ে ফেব্রুয়ারি মাসে। এসব প্রতিবেদনের সুপারিশের বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৫ ফেব্রুয়ারি যাত্রা করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। তারা সংবিধান সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশন এবং জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের ১৬৬টি সুপারিশের বিষয়ে ৩৮টি রাজনৈতিক দল ও জোটের মতামত জানতে চায়- যাদের মধ্যে ৩৩টি মতামত জানায়। জাতীয় সনদে কী থাকছে, বাস্তবায়ন কীভাবে? এরপর ২০ মার্চ থেকে ১৯ মে পর্যন্ত তাদের সঙ্গে ৪৫টি অধিবেশনের মাধ্যমে প্রথম পর্বের সংলাপ সম্পন্ন করে ঐকমত্য কমিশন। আলোচনার সুবিধার্থে কয়েকটি দলের সঙ্গে একাধিক দিনও বৈঠক চলে। আলোচনার মধ্য দিয়ে বেশ কিছু বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য ও আংশিক ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে। কোরবানির ঈদের আগে প্রথম পর্যায়ের আলোচনা শেষ হয়। এরপর ২ জুন দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরু করে কমিশন, যা এখনো চলছে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন বলছে, রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে জাতীয় সনদ প্রস্তুত হচ্ছে, যা বাস্তবায়নে দলগুলো অঙ্গীকার করবে। আলী রীয়াজ বলছেন, এই সনদের আলোকে আগামী দিনে সংসদে আসা দলগুলো সংস্কার বাস্তবায়ন করবে, যার মধ্য দিয়ে কাক্সিক্ষত গণতান্ত্রিক উত্তরণ ঘটতে পারে। জাতীয় সনদে কী আছে জানতে চাইলে ঐক্যমত্যের কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ বলেন, “এই সনদে সেসব বিষয় থাকবে, যেসব বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হবে। “ভবিষ্যতের বাংলাদেশ রাষ্ট্র, সরকার, শাসনব্যবস্থা, দুর্নীতি, নির্বাচনব্যবস্থা ইত্যাদি নিয়ে যে ছয়টি কমিশন, সে কমিশনগুলোর প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে যে সমস্ত বিষয়ে তারা একমত হবেন, সেগুলোর একটি তালিকা থাকবে।” তিনি বলেন, একটি প্রতিশ্রুতি, অঙ্গীকার থাকবে, যে তারা এগুলো বাস্তবায়ন করার জন্য সংবিধান, আইন সংশোধন, সংযোজন-বিয়োজন যা যা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, সেটা করতে তারা অঙ্গীকার করেছেন।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স