
চট্টগ্রামে করোনায় ২ জনের মৃত্যু


চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
চট্টগ্রামে করোনাভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে একদিনে আরো দুজনের মৃত্যু হয়। মারা যাওয়া দুজন আগে থেকে কিডনি ও হৃদরোগে আক্রান্ত ছিলেন; এ নিয়ে চট্টগ্রামে করোনাভাইরাস আক্রান্ত মোট চারজনের মৃত্যু হল। মারা যাওয়া দুজন হলেন-১৪ বছর বয়সী কিশোর মো. এরশাদ, তার বাড়ি পটিয়া উপজেলায়; ইয়াসমিন আক্তার (৪৫), তিনি কর্ণফুলী উপজেলার বাসিন্দা ছিলেন। গতকাল রোববার দুপুরে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এফএনএসকে জানিয়েছে এরশাদ কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন। গত শুক্রবার তার ডায়ালাইসিসও করা হয়। পরে তার দেহে কোভিড শনাক্ত হয়। “তার হার্ট অ্যাটাকও হয়েছিল। এরপর থেকে ভেন্টিলেটরে ছিল। যখন চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে আনা হয় তখন শারীরিক অবস্থা গুরুতর ছিল। গতকাল তার মৃত্যু হয়।” সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ইয়াসমিন আক্তার ‘কার্ডিওজেনিক সেপটিক শকে’ ছিলেন। ২৫০ শয্যার চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আকরাম হোসেন বলেন, “উনাকে (ইয়াসমিন আক্তার) যখন হাসপাতালে আনা হয় তার আগে থেকেই উনি অক্সিজেন সাপোর্টে ছিলেন। পরে করোনা শনাক্ত হলে এখানে আনা হয়। তার শারীরিক অবস্থা গুরুতর ছিল। গতকাল তিনি মারা যান। “এই রোগীরা শুধুমাত্র করোনার কারণে মারা গেছেন, তেমন নয়। তারা আগে থেকেই প্রাণঘাতি রোগে গুরুতর অবস্থায় ছিলেন।” এরআগে গত শুক্রবার নগরীর বাকলিয়ার বাসিন্দা ফজিলাতুন্নেছা (৭১) চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের কোভিড আইসিইউ ওয়ার্ডে মারা যান। তিনি ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। তার আগে ১৬ জুন মীরসরাই উপজেলার জোররাগঞ্জের বাসিন্দা শফিউল ইসলামের (৭৫) মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছিল জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়। তিনি পোস্ট অপারেটিভ জটিলতা ও কিডনি রোগে আক্রান্ত ছিলেন। এদিকে গতকাল রোববার জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদন অনুসারে, আগের ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১২ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে ১১ জন নগরীর বাসিন্দা। সরকারি-বেসরকারি ১২টি হাসপাতাল ও ডায়গনস্টিক সেন্টারে ২৫৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয় গত ২৪ ঘণ্টায়। এখন পর্যন্ত জেলায় মোট ৭৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে ৬৬ জনই নগরীর। বাকি ৮ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। এরআগে গত ১০ জুন প্রথম চট্টগ্রামে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার তথ্য জানানো হয়। সেদিন একজনের শরীরে এবং তার তিনদিন আগে আরো দুইজনের শরীরে করোনভাইরাস শনাক্ত হওয়ার তথ্য দিয়েছিল জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয়। এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়াদের মধ্যে ৩৭জন পুরুষ, ৩৪ জন নারী এবং একজন শিশু। নিহতদের মধ্যে একজন পুরুষ, দুজন নারী ও একজন শিশু। কোভিড সংক্রমণ শুরুর পর জেলার জন্য চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালকে এই রোগের চিকিৎসার জন্য নির্ধারণ করা হয়। শুরুতে সেখানে আইসিইউ বেড থাকলেও ভেন্টিলেটর না থাকায় সেই সেবা ছিল। পরে জেনারেল হাসপাতালে তিনটি ভেন্টিলেটর সংযুক্ত করে ৫ শয্যার আইসিইউ সেবা চালু করা হয় কোভিড রোগীদের চিকিৎসার জন্য।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ