ঢাকা , রবিবার, ২২ জুন ২০২৫ , ৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
বাধ্যতামূলক অবসরে পাঁচ সচিব সবজির দামে স্বস্তি মুরগি ও মাছের দাম বেশি এনবিআর সংস্কারে ৬ সদস্যের সমন্বয় কমিটি তীব্র গ্যাস সংকটে নাকাল দেশ রোহিঙ্গা সংকট আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি জাতিসংঘে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও ১৫১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত কোভিড হাসপাতালটি ঘুরে মিলল অনিয়ম অব্যবস্থাপনার নানা চিত্র গত ১৫ বছরে দেশের প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করা হয়েছে-মির্জা ফখরুল সমুদ্রসীমার পরিপূর্ণ হাইড্রোগ্রাফিক তথ্যভাণ্ডার গড়ে তুলতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা বিদেশে রাজনৈতিক আশ্রয় চান এক লাখ ৮ হাজার বাংলাদেশি জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত জাতীয় পার্টির সম্মেলন ঘিরে উত্তেজনা ইরানে সরকার পরিবর্তন অকল্পনীয় অগ্রহণযোগ্য-রাশিয়া ইরানের পর পাকিস্তান-হুমকি সাবেক ইসরায়েলি মন্ত্রীর ইরানের সঙ্গে যুদ্ধে জড়াতে সময় চান ট্রাম্প, হতাশ নেতানিয়াহু সময় ক্ষেপণের আড়ালে চূড়ান্ত আঘাতের ছক ময়মনসিংহে অ্যাম্বুলেন্স অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ২ রেললাইনে বসে আড্ডা ট্রেনে কাটা পড়ে ৩ তরুণের মৃত্যু বগুড়ায় ছাত্রদলের কমিটিতে ছাত্রলীগ-শিবির মুহুরী নদীর বাঁধ ভেঙে লোকালয় প্লাবিত

বিদেশে রাজনৈতিক আশ্রয় চান এক লাখ ৮ হাজার বাংলাদেশি

  • আপলোড সময় : ২১-০৬-২০২৫ ০৭:০৬:১১ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২১-০৬-২০২৫ ০৭:০৬:১১ অপরাহ্ন
বিদেশে রাজনৈতিক আশ্রয় চান এক লাখ ৮ হাজার বাংলাদেশি
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের নাগরিকদের শরণার্থী হিসেবে নিবন্ধনের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। ২০২০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রতি বছরই এই সংখ্যা বেড়েছে। শুধু ২০২৪ সালেই জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার কাছে ২৮ হাজার ৪৭৩ বাংলাদেশি শরণার্থী হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছেন। তবে শুধু শরণার্থী নয়, রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদনও করছেন অনেক বাংলাদেশি। ২০২৪ সালে এক লাখ ৮ হাজার ১৩১ বাংলাদেশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেছেন। অধিকাংশ বাংলাদেশি আশ্রয়প্রার্থী ইউরোপ ও আমেরিকার দেশগুলোতে আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেন। গতকাল শুক্রবার জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে ২৪ হাজার ১২৬ বাংলাদেশি জাতিসংঘের কাছে শরণার্থী হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছেন। ২০২২ সালে ২৩ হাজার ৯৩৫ জন, ২০২১ সালে ২২ হাজার ৬৭২ জন এবং ২০২০ সালে ১৮ হাজার ৯৪৮ জন বাংলাদেশি নিজেদের শরণার্থী দাবি করে জাতিসংঘের কাছে আবেদন করেন। এছাড়া ২০১৯ সালে শরণার্থী হিসেবে জাতিসংঘের কাছে বাংলাদেশিদের আবেদনের সংখ্যা ছিল ২২ হাজার ৭৬৬, ২০১৮ সালে ২১ হাজার ২২ এবং ২০১৭ সালে ১৬ হাজার ৭৮০টি। বাংলাদেশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন। ২০২২ সালে ৬১ হাজার ২৯৮ জন, ২০২১ সালে ৬৫ হাজার ৪৯৫ এবং ২০২০ সালে ৬৪ হাজার ৬৩৬ জন বাংলাদেশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় চান। ২০১৯ সালে এ সংখ্যা ছিল ৬২ হাজার ৮৬০ এবং ২০১৮ সালে ৬২ হাজার ৮৬০। তবে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার তথ্যে যে চিত্র উঠে এসেছে তাতে দেখা যায়, আশ্রয়প্রার্থীদের বেশিরভাগই সুযোগসন্ধানী বা পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়েছেন।
অভিবাসন ও শরণার্থী বিষয়ক বিশেষজ্ঞ আসিফ মুনীর বলেন, অনেকে অবৈধ পথে লাখ লাখ টাকা দিয়ে ইউরোপ যাচ্ছেন। সেখানে গিয়ে অবৈধ হয়ে থাকেন বছরের পর বছর। এরপর এরা শরণার্থী হিসেবে স্থায়ী হওয়ার আবেদন করেন। তিনি বলেন, কিছু দেশ যুদ্ধবিধ্বস্ত, যেমন মিয়ানমার, সিরিয়া, আফগানিস্তান-এসব দেশ থেকে কেউ গেলেই অটোমেটিক তারা শরণার্থী হিসেবে বিবেচিত হন। কিন্তু আমাদের দেশের ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য না। আমাদের অনেকে অবৈধ হিসেবে গিয়ে শরণার্থী পরিচয় দেন, কিন্তু ইউরোপ জানে এরা অবৈধ অভিবাসী। তিনি বলেন, তবুও ইউরোপের দেশ ইতালি, ফ্রান্স আমাদের এই অবৈধ অভিবাসীদের গ্রহণ করছে। কিন্ত বাস্তবিক অর্থে যারা অবৈধ পথে এসব দেশে যাচ্ছেন এরা শরণার্থী নন। কিন্তু বাংলাদেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বহু মানুষ ইউরোপে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। বিশেষ করে স্ক্যান্ডিনেভিয়ার দেশগুলোতে বহু বাংলাদেশি আছেন যারা শরণার্থী হিসেবে গিয়েছেন।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স