ডিমলায় ঢেউটিন ও চেক বিতরণ
নীলফামারী প্রতিনিধি
ডিমলায় গত রোববার সকালে উপজেলা পরিষদ হলরুমে উপজেলা প্রশাসন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের আয়োজনে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় বিভিন্ন প্রাকৃতিক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ঢেউটিন ও চেক বিতরণ করেন, নীলফামারী-১ আসনের সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ আফতাব উদ্দিন সরকার। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে সালমা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারজানা আক্তার, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেজবাহুর রহমান, কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সেকেন্দার আলী প্রমুখ।
উপজেলার মোট ক্ষতিগ্রস্ত ১শ জনের মাঝে ২ বান করে ঢেউটিন ও ৬ হাজার টাকার চেক বিতরণ করা হয়।
কাহারোলে বোরো ধানের বাম্পার ফলন
কাহারোল (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
কাহারোল উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে চলছে বোরো ধান কাটা মাড়ায়। কৃষকেরা ব্যস্ত সময় পার করছেন।
গত কাল উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে বোরো চাষিরা শ্রমিক নিয়ে ধান কাটছে এবং মাড়াই করছেন। কাহারোল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলায় পাঁচ হাজার পাঁচশ পঞ্চাশ একর জমিতে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তা অতিক্রম করে ৫ হাজার ৬শ ৫০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়েছে। উপজেলার ইশ^রগ্রামের কৃষক ফারুক জানান তিনি এবার ৬ একর জমিতে বোরো চাষ করেছেন, উৎপাদন ভালো হয়েছে কিন্তু বাজারে ধানের দাম কম থাকায় লাভ কম হবে। কৃষক কামাল বলেন, ব্যবসায়ীদের কারণে বাজারে ধানের দাম কম।
কাহারোল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মল্লিকা রানী সেহান বলেন, ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারে ধানের দাম বেশি থাকলে কৃষকদের ধানে লাভ হতো বেশি।
কয়রায় মিথ্যা অভিযোগে হয়রানি করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি
কয়রায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলার তেঁতুলতলারচর গ্রামের মৃত মইজুদ্দীন শেখের পুত্র আ. হামিদ শেখ। তিনি সুন্দরবন খুলনা রেঞ্জের হায়াতখালী বন টহল ফাঁড়ির কমিউনিটি প্রেটোলিং গ্রুপ (সিপিজি) সদস্য। গত রোববার বেলা ১১টায় কয়রা উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তিনি জানান, গত ১৬ মে মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের ৬নং ওর্য়াডের ইউপি সদস্য মো. গনি মোড়ল সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ দায়ের করেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। ইউপি সদস্য গনি মোড়ল অভিযোগ করেছে যে গত ১৪ মে আমার বাড়ি হতে সুন্দরবনের কর্তন নিষিদ্ধ কাঠসহ গোলপাতা উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাটি সঠিক না। পরিত্যক্ত অবস্থায় সেগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। আমাকে হয়রানি করার উদ্দেশ্য এমন তথ্য প্রদান করা হয়েছে। প্রকৃত ঘটনাটি হলো যে, আমি সিপিজি সদস্য হিসাবে বন বিভাগকে তথ্য প্রদান করে সহযোগিতা করে থাকি। আমার তথ্যের ভিত্তিতে বন বিভাগের সদস্যরা অনেক বন অপরাধের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের আটকপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। যার প্রেক্ষিতে সুন্দরবনের অবৈধ সম্পদ আহরণকারী সদস্যরা আমার বিরুদ্ধে নানা ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
সম্প্রতি বন অপরাধের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ইউপি সদস্যর পুত্র শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে বন বিভাগ। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমার বিরুদ্ধে তার পিতাকে দিয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে হয়রানি করার চেষ্টা করছে। বন বিভাগ কোনো সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে না। যারা বন অপরাধের সাথে জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে। তিনি আরও বলেন, ইউপি সদস্য মো. গনি মোড়লের পুত্র শহিদুল ইসলাম সুন্দরবনের সকল প্রকার অবৈধ কাজের সাথে জড়িত রয়েছে। তার মদদে বিষ প্রয়োগ করে মাছ ও হরিণ শিকার করে থাকে অসাধু জেলেরা। তার বিরুদ্ধে জায়গা দখলসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। ইতিপূর্বে বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে সাহস পায় না। তাদের এসকল কাজের প্রতিবাদ করায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করছে। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনাটি উদঘাটনের পাশাপাশি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শহিদুল ইসলাম বলেন, সিপিজি সদস্য আ. হামিদ তার অপকর্ম ধামাচাপা দেয়ার জন্য আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ সম্মেলন করেছে।
রাঙ্গামাটিতে অর্ধদিবস সড়ক ও নৌপথ অবরোধ পালিত
রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি
রাঙ্গামাটির লংগদুতে পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) এর ২জন সদস্যকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় রাঙ্গামাটিতে অর্ধদিবস সড়ক ও নৌপথ অবরোধ পালিত হচ্ছে। রাঙ্গামাটির লংগদুতে জেএসএস সশস্ত্র সন্ত্রাসী কর্তৃক ইউপিডিএফের এক সদস্য ও এক সমর্থককে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে ইউপিডিএফ সোমবার সড়ক ও নৌপথ অবরোধের ডাক দেয়। ভোর সাড়ে ৫টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়।
গত সোমবার সকাল থেকে অবরোধের কারণে রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রাম সড়কে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। শহরের অভ্যন্তরিন সড়ক ও নৌপথ চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। এদিকে অপ্রিতিকর ঘটনা যাতে না হয় তার জন্য বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে। এখনো পর্যন্ত কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
যশোরে যৌতুকবিহীন ৫০ বিয়ে
যশোর প্রতিনিধি
যশোরে জাঁকালো আয়োজনের মধ্যে দিয়ে ৫০ জোড়া তরুণ-তরুণীর যৌতুকবিহীন বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। গত শনিবার দুপুরে এসসিআই বাংলাদেশের তত্ত্বাবধানে ও এসসিআই আরব আমিরাতের অর্থায়নে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গাজীরদরগাহ কুয়েত ইসলামিক ইয়াতিম কমপ্লেক্সে এ বিয়ে সম্পন্ন হয়। খুলনা বিভাগের অসহায়, এতিম ও অর্থ সংকটে বিবাহ হচ্ছে না এমন ৫০ জোড়া পাত্র-পাত্রীকে এদিন বিবাহ দেয়া হয়েছে। বিয়ে অনুষ্ঠানে কর্মসংস্থানের জন্য বরকে একটি করে ভ্যান ও কনেকে সেলাই মেশিন দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সংসারের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দেয়া হয়েছে নবদম্পতিকে। ব্যতিক্রমী যৌতুকবিহীন এ বিয়ের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন, কুয়েত ইসলামিক ইয়াতিম কমপ্লেক্স গাজীরদরগাহ ঝিকরগাছার পরিচালক মুফতি নাসিরুল্লাহ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার বলেন, যৌতুক একটি সামাজিক ব্যাধি। সমাজ থেকে যৌতুক উচ্ছেদের সামাজিক আন্দোলনের সূচনা করতে হবে। যৌতুকমুক্ত সমাজ গড়ে তুলতে হবে। ইসলামের প্রকৃত আদর্শিক শিক্ষার মাধ্যমে সমাজকে কলুষমুক্ত করতে হবে। যৌতুকমুক্ত সমাজ গঠনে নাগরিক সমাজের অংশগ্রহণ জোরদারের আহ্বান জানান তিনি।
দিনাজপুরে হাসপাতালে নারী দালালসহ ২২ জন আটক
দিনাজপুর প্রতিনিধি
হাসপাতালে সেবাগ্রহীতাদের বিভিন্ন হয়রানি ও প্রতারণার অভিযোগে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে নারীসহ ১২ জন দালাল ও ১০ জন মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভকে আটক করেছে পুলিশ। গত রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে নারীসহ ২২ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল মাসুম দুপুরে কোতোয়ালি থানায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল মাসুম জানান, দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নীলফামারী, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও ও দিনাজপুরের রোগীরা সেবা নিতে আসেন। আর সেবা নিতে আসা অনেক রোগী ও স্বজনেরা স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকের দালাল দ্বারা হয়রানিসহ প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। এছাড়াও হাসপাতালের আউটডোর ডাক্তারের সাথে মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভদের গত শনিবার ও মঙ্গলবার দুপুর ১২টার পর সাক্ষাতের সময়সীমা থাকলেও তারা তা মানছিলেন না। এ কারণে রোববার পরিচালিত অভিযানে বিভিন্ন ক্লিনিকের ৩ জন নারীসহ ১২ জন দালালকে আটক করা হয়। এর পাশাপাশি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নিয়ম ভঙ্গ করা বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির ১০ জন মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভকে আটক করে থানায় নিয়ে আনা হয়। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। আরও নাম পাওয়ার আশা করা হচ্ছে। এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সেবাগ্রহীতাদের যেন আর হয়রানি ও প্রতারণা হতে না হয়, এজন্য অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান। প্রেসব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শেখ জিন্নাহ আল মামুন, কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ ফরিদ হোসেন প্রমুখ।
ঝিনাইদহ রশিদের আঙুর বাগান ব্যাপক সফলতা
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার যুগীহুদা গ্রামের চাষি মো. আব্দুর রশিদ আঙুর চাষে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন। তার বাগান জুড়ে গাছে গাছে খোকা থোকা লাল, কালো ও সবুজ রঙের আঙুর ঝুলছে। দৃষ্টিনন্দন এই আঙুরের বাগান দেখতে বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ আসছে। তারা অনুপ্রাণিতও হচ্ছে। চাষি আব্দুর রশিদ জানান, গত বছর ৫০ শতক জমিতে আঙুর চাষ শুরু করেন। ২০০ গাছ লাগান। কোনোটি লাল, কোনোটি কালো, আবার কোনোটি সবুজ। সবগুলোই সুমিষ্ট। এবার প্রচুর আঙুর ধরেছে। ভারে গাছ ঝুলে পড়ছে।
বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকারেরা এসে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
পাইকারি প্রতি কেজি ৩৫০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। আর প্রতিদিন ১৪-১৫ কেজি করে আঙুর বাগান দেখতে আসা লোকদের খাওয়ান। এবার ৫-৭ লাখ টাকার আঙুর বিক্রি হবে বলে আশা করছেন। তিনি দেশের ভেতর ও বাইরের দেশ থেকে চারা সংগ্রহ করেছেন। গাছে গোবরের সার প্রয়োগ করে ধাকেন। আবার মাঝে মাঝে পটাশ সার প্রয়োগ করে থাকেন। কীটনাশক ব্যবহার করেন না। বাগানের আয়তন বাড়িয়েছেন। নতুন করে দেড় বিঘা জমিতে চারা লাগিয়েছেন। তিনি জানান, দেশে আঙুর চাষের প্রসার ঘটালে বিদেশ থেকে আমদানির প্রয়োজন হবে না। ঝিনাইদহ থেকে যেসব মিডিয়াকর্মী মো. আব্দুর রশিদের আঙুর খেয়েছেন, তার প্রশংসা করেছেন। তার বাগানের আঙুর সুমিষ্ট বলে জানান।
মহেশপুর উপজেলা কৃষি অফিসার ইয়াসমিন সুলতানা বলেন, তিনি মো. আব্দুর রশিদের আঙুরের বাগান দেখেছেন। বাজারের আঙুরের চেয়ে ভালো মিষ্ট।
চিরিরবন্দরে বোরো ধানের বাম্পার ফলন কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক
চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
চারিদিকে শুধু ধান আর ধান। দেখে মনে হবে হাজার বিঘার মাঠ। সেখানে বাতাসে দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্নের সোনার ফসল ধান। খেতে বোরো ধানের শীষ দেখে কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক দেখা যাচ্ছে। এ সোনালী ধানের শীষ কৃষকের নজর কেড়েছে। দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে চলতি মৌসুমে কৃষকের কাঙ্খিত স্বপ্নের এ ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। সরজমিনে উপজেলার নশরতপুর, সাতনালা, আলোকডিহি, তেঁতুলিয়া, ফতেজংপুর, ইসবপুর, সাঁইতাড়া, আব্দুলপুর, আউলিয়াপুকুরসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, দিগন্ত জোড়া সবুজ আর হলুদ রঙে সেজেছে বোরো ধানের ক্ষেত। ধানের মৌ-মৌ গন্ধে ভরে উঠেছে গ্রামীণ জনপদ। এখন মাঠজুড়ে বোরো ধান সোনালী রঙ ধারণ করেছে। জমিতে চারা লাগানোর পর থেকেই কৃষকেরা ভালো ফলনের আশায় সময়মতো নিবিড় পরিচর্যা, সার, সেচ ও কীটনাশক প্রয়োগ করেছেন। এ কারণে আবাদও ভালো হয়েছে। এছাড়াও এবার খেতে তেমন কোনো রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণও নেই। এখন শুধু অপেক্ষার পালা নিরাপদে ধান ঘরে তোলার।
উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে লক্ষ্যমাত্রা ১৯ হাজার ৫৬১ হেক্টর জমি নির্ধারণ করা হলেও আবাদ হয়েছে ১৯ হাজার ৬১৭ হেক্টর জমিতে। কোনোরকম প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হবে। প্রতি বিঘা জমিতে অন্তত ৪০-৪৫ মণ ধান উৎপাদন হবে বলে কৃষকেরা আশা করছেন। এ সময় কৃষক ও শ্রমিকেরা দলবদ্ধ হয়ে জমিতে ধান কাটা কাটতে সময় পার করছেন। এদেরকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করছেন তাদের পরিবারের অন্য সদস্যরা। ইতোমধ্যে আগাম জাতের ধান কাটা-মাড়াইয়ের কাজ শুরু হয়েছে। উপজেলার ১নং নশরতপুর ইউনিয়নের নশরতপুর গ্রামের কৃষক কার্তিক চন্দ্র রায় বলেন, এবারও আমি বোরো ধান আবাদ করেছি। এ পর্যন্ত ধানের কোনো রকম ক্ষতি হয়নি। ধানের ফলন দেখে আনন্দে মনটা ভরে উঠেছে।
উপজেলার ১০নং পুনট্টি ইউনিয়নের হরনন্দপুর গ্রামের কৃষক রাশেদুল ইসলাম বলেন, গত বছরের তুলনায় এবছর ধানের ফলন ভালো হয়েছে। এবার আমি ১০ একর জমিতে বোরো ধান চাষ করেছি। ধান চাষে প্রতিবিঘা জমি প্রস্তুত, কীটনাশক, সার, পানি, নিড়ানী এবং কাটা-মাড়াই করতে অন্তত ১৫-১৭ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। প্রতিবিঘা জমিতে অন্তত ৪০-৪৫ মণ করে ধান পাওয়া যাবে। আমি আশা করছি, আশানুরূপ ফলন পাবো। আরেক কৃষক তৈয়ব আলী বলেন, এবার আমি ৫ একর জমিতে ধান চাষ করেছি। এবার ধানের তেমন রোগবালাই নেই। বর্তমানে আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে। এ অবস্থা বিদ্যমান থাকলে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হবে। তবে ১০-১৫ দিনের মধ্যে পুরোদমে শুরু হবে ধান কাটা-মাড়াই।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ জোহরা সুলতানা বলেন, চলতি মৌসুমে উপজেলায় রেকর্ড পরিমাণ জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। ফলনও আশানুরূপ হয়েছে। রোগবালাইও তেমন নেই। বর্তমানে আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে। কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে দ্রুত পাকাধান কাটার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

২১ তারিখের ৫ এর পাতার বাকী সব নিউজ
- আপলোড সময় : ২১-০৫-২০২৪ ০৩:০৬:০৫ অপরাহ্ন
- আপডেট সময় : ২১-০৫-২০২৪ ০৩:০৬:০৫ অপরাহ্ন


কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ