ঢাকা , বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ১৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
পুতিন, শি জিনপিং এবং কিম যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন: ট্রাম্প সৌদি রাজতন্ত্রে একক ক্ষমতাধর মোহাম্মদ বিন সালমান ভেনেজুয়েলার নৌযানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে জোট গড়ছে চীন দেশের হয়ে ম্যাচে খেলতে চাইছেন না মেসি! ভেজা চোখে ম্যানইউ ছাড়লেন অ্যান্টনি সাড়ে ৫ ঘণ্টা বিলম্ব হলো বাংলাদেশ ফুটবল দলের ফ্লাইট ভারতে বিশ্বকাপ খেলবে না পাকিস্তান বেঙ্গালুরু ট্র্যাজেডি নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন কোহলি স্পনসর ছাড়াই এশিয়া কাপ খেলবে ভারত পাকিস্তানের সাথে জয় পেলো আফগানরা বিসিবির নির্বাচনে মুখোমুখি বুলবুল-তামিম গত ৫ বছরে ৪৬৫ কোটি টাকা ভাগাভাগি পদ্মা-মেঘনা-যমুনায় অদৃশ্য শক্তি নির্বাচনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে-গয়েশ্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে জুলাই গণহত্যা নুরকে বিদেশে পাঠানোর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার ৩০ অক্টোবরের মধ্যে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল প্রস্তুতের নির্দেশ ইসির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমস্যা দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে, আশা শিক্ষা উপদেষ্টার নিষিদ্ধ আ’লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ৯ নেতাকর্মী গ্রেফতার ডাকসুর প্রার্থীকে গণধর্ষণের হুমকির ঘটনা তদন্তে কমিটি

তথ্য গোপন করে জুলাই অভ্যুত্থানের সুবিধা নিলে ২ বছরের কারাদণ্ড

  • আপলোড সময় : ১৯-০৬-২০২৫ ১২:১৫:৪৮ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৯-০৬-২০২৫ ১২:১৫:৪৮ পূর্বাহ্ন
তথ্য গোপন করে জুলাই অভ্যুত্থানের সুবিধা নিলে ২ বছরের কারাদণ্ড
যদি কোনো ব্যক্তি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা ও তথ্য গোপন করে বিভ্রান্তিকর কাগজপত্র দিয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের সদস্য বা আহত জুলাই যোদ্ধা দাবি ও সুবিধা গ্রহণ করেন, তা অপরাধ বলে গণ্য হবে। নতুন জারি করা অধ্যাদেশে এ ধরনের কর্মকাণ্ডের জন্যে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড, দুই লাখ টাকা জরিমানা বা আর্থিক সহায়তার দ্বিগুণ অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার এবং জুলাই যোদ্ধাদের কল্যাণ ও পুনর্বাসন অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করেছে সরকার। এই অধ্যাদেশের দ্বিতীয় অধ্যায়ে অধিদফতর প্রতিষ্ঠা, কার‌্যাবলী, কর্মচারী ইত্যাদি বিষয় রয়েছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদফতর প্রতিষ্ঠায় বিস্তারিত এখানে উল্লেখ রয়েছে। চতুর্থ অধ্যায়ে অপরাধ ও বিচার বিষয়ে বিস্তারিত বলা হয়েছে। এখানে বলা হয়, কোনো ব্যক্তি ‘শহীদ’ পরিবারের সদস্য বা যেকোনো শ্রেণির আহত না হওয়া সত্ত্বেও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বা জ্ঞাতসারে মিথ্যা, বিকৃত তথ্য প্রদান, তথ্য গোপন ও বিভ্রান্তিকর কাগজ দাখিল করে নিজেকে ‘শহীদ’ পরিবারের সদস্য বা আহত দাবি করে চিকিৎসা, আর্থিক, পুনর্বাসন সুবিধা দাবি অথবা গ্রহণ করেন তাহলে তিনি এই অধ্যাদেশের অধীন অপরাধ করেছেন বলে গণ্য হবে। এতে আরো বলা হয়, কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত অপরাধ করলে অনধিক দুই বছরের কারাদণ্ড এবং অনধিক দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত সুবিধা বা আর্থিক সহায়তার দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এই আইনের অধীন অপরাধ অ-আমলযোগ্য ও জামিনযোগ্য হবে। এই অধ্যাদেশের অধীন সংঘটিত অপরাধের অভিযোগ দায়ের, অনুসন্ধান, তদন্ত, বিচার, আপিল এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮ (অ্যাক্ট নং ভি অব ১৮৯৮) এর বিধানাবলি প্রযোজ্য হবে। এছাড়া অধ্যাদেশে নিহত-আহতদের দুই শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। ‘গণঅভ্যুত্থানে শহীদ’ এবং আহত ব্যক্তিদের যথাক্রমে ‘জুলাই শহীদ’ এবং ‘জুলাই যোদ্ধা’র স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে তিনটি শ্রেণি রয়েছে। তা হলো অতি গুরুতর আহত, গুরুতর আহত ও আহত। অধ্যাদেশে জুলাই ‘শহীদ’ পরিবার এবং আহতদের কল্যাণে নেয়া সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রমের আইনি ভিত্তি দেয়া হয়।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স