ঢাকা , শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫ , ৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
ইরানিদের অটল থাকার আহ্বান খামেনির আলোচনায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ১৮শ’ মাদরাসার উন্নয়ন কাজ ফেলে পালিয়েছে ৪৩৪ জন ঠিকাদার মূল পরিকল্পনাকারী পুলিশের বহিষ্কৃত সদস্য আশা-নিরাশার দোলাচলে এনসিপি কালো টাকা সাদা করার সুযোগ বাতিল করতে পারে সরকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ বেড়েছে বরাদ্দ কমছে বাজেটে নজিরবিহীন বিক্ষোভে উত্তাল সচিবালয় ৫ আগস্টের আগেই জুলাই ঘোষণাপত্র-প্রেস সচিব থ্রি জিরো তত্ত্বকে বাস্তবায়ন করতে গণঅভ্যুত্থান হয়নি-ফরহাদ মজহার যেকোনো মুহূর্তে ইরানে হামলা যুক্তরাষ্ট্রের বিজয়নগরে ফসলি জমির মাটি গিলে খাচ্ছে ইটভাটা সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান বাণিজ্য উপদেষ্টার পুরোনো রূপে ফিরেছে চরমপন্থিরা প্রগতি ইন্স্যুরেন্সের ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ এবং ৭ শতাংশ বোনাস শেয়ার ঘোষণা ম্যানসিটির নতুন অধিনায়কের নাম জানালেন গার্দিওলা ফ্লুমিনেন্সের সাথে গোলশূন্য ড্র ডর্টমুন্ডের রোনালদোর সই করা জার্সি উপহার পেলেন ট্রাম্প টি-টোয়েন্টিতে ম্যাক্সওয়েলের অষ্টম সেঞ্চুরি টেস্ট ক্রিকেটের জন্য নতুন নিয়ম করছে আইসিসি

বৃষ্টিতে ফরিদপুরের পাটচাষিদের ৫০ কোটি টাকা সাশ্রয়

  • আপলোড সময় : ২১-০৫-২০২৪ ০২:৪৫:৪৬ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২১-০৫-২০২৪ ০২:৪৫:৪৬ অপরাহ্ন
বৃষ্টিতে ফরিদপুরের পাটচাষিদের ৫০ কোটি টাকা সাশ্রয় বৃষ্টিতে ফরিদপুরের পাটচাষিদের ৫০ কোটি টাকা সাশ্রয়
ফরিদপুর প্রতিনিধি
টানা রোদ আর তাপপ্রবাহে দেশের অন্যতম প্রধান অর্থকরী ফসল পাট খেতের সবুজ চারা নুয়ে পড়েছিলকুঁচকে পড়া পাতা আর অনাবৃদ্ধির ফলে চিন্তিত কৃষকের কপালে দেখা দিয়েছিল দুশ্চিন্তার রেখাএ অবস্থায় মোটা অংকের টাকা খরচ করে জমিতে সেচ দিয়ে খেতের ফসল রক্ষাই ছিল তাদের একমাত্র চিন্তাকিন্তু গভীর নলকূপেও যেনো পানি উঠছিল না, সেচের খরচও তাই বাড়ছিল
এ অবস্থায় দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসানের পরে সম্প্রতি প্রায় পুরো ফরিদপুর জেলা জুড়েই খণ্ড খণ্ড বৃষ্টি হয়েছেআর এতেই লকলকিয়ে আড়মোড়া ভেঙে সজীব হয়ে উঠেছে পাটের খেতকৃষক বলছেন, এই বৃষ্টিতে তাদের উপকার হয়েছেএবার আর পানির জন্য অতিরিক্ত সেচ দিতে নগদ টাকা গুনতে হচ্ছে না তাদেরআর জেলা কৃষি বিভাগ বলছে, এ বৃষ্টিতে ফরিদপুর জেলায় পাটচাষিদের সেচ বাবদ সাশ্রয় হয়েছে অন্তত ৫০ কোটি টাকাজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে ফরিদপুর জেলার ৯টি উপজেলায় ৮৬ হাজার হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছেআর প্রতি হেক্টর জমিতে একবার সেচ দিতে কৃষকের খরচ হয় পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকাফরিদপুরের আবহাওয়া ও মাটি পাট চাষের জন্য খুবই উপযোগীপাট চাষের উপযুক্ত মাটি এবং আবহাওয়া এবং পাট জাগ দেয়ার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা থাকার কারণে ফরিদপুরে আবহমানকাল ধরে পাটের আবাদ হয়ে আসছেএখানকার নদ-নদী, খাল, বিল, বাঁওড়, পুকুর ও জলাশয় থাকায় এখানকার কৃষককে পাট জাগ দিতে ভোগান্তি পোহাতে হয় নাএজন্য দেশের পাট চাষে এই জেলার অবস্থান শীর্ষেবিপুল পরিমাণে পাট আবাদ হওয়ায় ফরিদপুরকে পাটের রাজধানীও বলা হয়জেলার সবকটি উপজেলায় পাটের আবাদ হলেও সালথা ও নগরকান্দা উপজেলাতে পেঁয়াজের মতোই সবচেয়ে বেশি পাটের আবাদ করা হয়এবছর এ দুটি উপজেলাতে প্রায় ২৫ হাজার হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ করা হয়েছেতবে প্রতিবার বৃষ্টিতে মাটি নরম হওয়ার পরে বীজ রোপণ করলেও এবার বৃষ্টি নামেনিতাই মৌসুমের শুরু থেকেই সেচ দিয়েই শুরু হয়েছে পাটের আবাদআর বীজ রোপণের পর গত প্রায় দেড় মাসে খেতের মাটি ভেজাতে অনেককে দুতিনবার করেও সেচ দিতে হয়েছেএজন্য এবার পাট চাষের খরচও বেড়ে গেছে শুরু থেকেই
সালথার বাইলাগট্টি গ্রামের মিজান শেখ (৬৮) নামে একজন পাটচাষি বলেন, আমার এই জীবনে বিগত ৫০ বছরের মধ্যে এমন খরা দেহি নাইরোদের কারণে এইবার আমাগের অনেক খরচ হয়ে গেছেতিনি বলেন, ২৮ শতকের এক পাখি ভুঁইতি সেচ দিতে পাঁচ-ছয় লিটার তেল লাগেআর একেকটা ভুঁইতি দুই-তিনবার কইর?্যা সেচ দিতি হইছেএই জন্যি এইবারতো অনেক খরচ হইয়্যা গ্যাছে আমাগেরযাই হোক, শ্যাষম্যাস আল্লাহ এহন বৃষ্টি দিছেএহন আর সেচ লাগবে নানেএতে আমাগে অনেক টাকা বাইচ্যা গ্যাছেআর্থিকভাবে আমরা ইট্টু উপকৃত হইছি
নগরকান্দার ছাগলদি গ্রামের জলিল শেখ (৫৩) নামে একজন কৃষক বলেন, ভুঁইতে এইবার অনেক খরচা হইয়্যা গ্যাছেএইজন্য কৃষক সেচের মাধ্যমে ক্ষেতের পাট বাঁচায় রাখছেএখন এই বৃষ্টি হওয়াতে কিছুটা হলেও কৃষকের উপকার হইছেএই বৃষ্টি না হইলে কৃষকের আরো ক্ষতি হইতোপাখি প্রতি আরো এক হাজার টাকা লসে পড়তোঅন্তত সেইটাকা বাইচ্যা যাওয়ায় আমরা এই বৃষ্টিতে অনেক উপকার পাইছিজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর (শস্য) অতিরিক্ত উপপরিচালক মো. রইচউদ্দিন বলেন, কৃষকেরা মূলত. বৃষ্টির উপরে নির্ভর করেই প্রাকৃতিক সেচ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পাটের আবাদ করে থাকেনকিন্তু এ বছর প্রায় ত্রিশদিন যাবত টানা বৃষ্টিহীন তাপদাহ হয়েছেএ কারণে ফরিদপুরের কৃষকদের প্রায় ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ জমিতেই সেচ দিতে হয়েছেএক হেক্টর জমিতে তাদের জমিভেদে চার থেকে ছয় হাজার টাকা প্রতিবারে খরচ হয়েছেতবে এখন বৃষ্টি আশীর্বাদ হয়ে ধরা দিয়েছে কৃষকদের কাছে। 
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য