ঢাকা , সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫ , ৩০ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
বুড়িগঙ্গা যেন ঢাকার ডাস্টবিন রাজনৈতিক হয়রানিমূলক ৭১৮৪ মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ সৌদি আরবে নথিপত্র না থাকায় অবরুদ্ধ বাংলাদেশি কর্মীরা বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ আজ ডিসেম্বরে নির্বাচনের লক্ষ্যে সংস্কার এগিয়ে নেয়ার তাগিদ বিশেষায়িত বাণিজ্যিক আদালত তৈরির প্রাথমিক কাজ সম্পন্ন-প্রধান বিচারপতি ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে জাসদের আলোচনা বিচার বিভাগের প্রয়োজনীয় সব সংস্কার করা হবে-আইন উপদেষ্টা গাজীপুরে বাটা শোরুমে লুটপাট যৌতুক বন্ধে ইমাম-খতিবরা ভূমিকা রাখুন-ধর্ম উপদেষ্টা মার্চে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ২৩৩ রিমান্ড শেষে কারাগারে তুরিন আফরোজ মেঘনা আলমের মুক্তি ও বিশেষ ক্ষমতা আইন বাতিলের দাবি মারধরের ভয়ে স্ত্রীর লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে থানায় স্বামী চট্টগ্রামে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে আটক ১ মোহাম্মদপুর থেকে দুই ডাকাত গ্রেফতার : র‌্যাব চাঁদপুরের সন্ত্রাসী ভূমিদস্যু হান্নান বাহিনীর হামলার ঘটনায় মামলা নেয়নি পুলিশ ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে ইয়াঙ্গুনে নৌবাহিনীর জাহাজ বোরকা না পরায় নারী ইউএনওকে কার্যালয় থেকে বের করে দেয়ার নিন্দা দেশে ফিরলেন সেনাপ্রধান

বৃষ্টিতে ফরিদপুরের পাটচাষিদের ৫০ কোটি টাকা সাশ্রয়

  • আপলোড সময় : ২১-০৫-২০২৪ ০২:৪৫:৪৬ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২১-০৫-২০২৪ ০২:৪৫:৪৬ অপরাহ্ন
বৃষ্টিতে ফরিদপুরের পাটচাষিদের ৫০ কোটি টাকা সাশ্রয় বৃষ্টিতে ফরিদপুরের পাটচাষিদের ৫০ কোটি টাকা সাশ্রয়
ফরিদপুর প্রতিনিধি
টানা রোদ আর তাপপ্রবাহে দেশের অন্যতম প্রধান অর্থকরী ফসল পাট খেতের সবুজ চারা নুয়ে পড়েছিলকুঁচকে পড়া পাতা আর অনাবৃদ্ধির ফলে চিন্তিত কৃষকের কপালে দেখা দিয়েছিল দুশ্চিন্তার রেখাএ অবস্থায় মোটা অংকের টাকা খরচ করে জমিতে সেচ দিয়ে খেতের ফসল রক্ষাই ছিল তাদের একমাত্র চিন্তাকিন্তু গভীর নলকূপেও যেনো পানি উঠছিল না, সেচের খরচও তাই বাড়ছিল
এ অবস্থায় দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসানের পরে সম্প্রতি প্রায় পুরো ফরিদপুর জেলা জুড়েই খণ্ড খণ্ড বৃষ্টি হয়েছেআর এতেই লকলকিয়ে আড়মোড়া ভেঙে সজীব হয়ে উঠেছে পাটের খেতকৃষক বলছেন, এই বৃষ্টিতে তাদের উপকার হয়েছেএবার আর পানির জন্য অতিরিক্ত সেচ দিতে নগদ টাকা গুনতে হচ্ছে না তাদেরআর জেলা কৃষি বিভাগ বলছে, এ বৃষ্টিতে ফরিদপুর জেলায় পাটচাষিদের সেচ বাবদ সাশ্রয় হয়েছে অন্তত ৫০ কোটি টাকাজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে ফরিদপুর জেলার ৯টি উপজেলায় ৮৬ হাজার হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছেআর প্রতি হেক্টর জমিতে একবার সেচ দিতে কৃষকের খরচ হয় পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকাফরিদপুরের আবহাওয়া ও মাটি পাট চাষের জন্য খুবই উপযোগীপাট চাষের উপযুক্ত মাটি এবং আবহাওয়া এবং পাট জাগ দেয়ার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা থাকার কারণে ফরিদপুরে আবহমানকাল ধরে পাটের আবাদ হয়ে আসছেএখানকার নদ-নদী, খাল, বিল, বাঁওড়, পুকুর ও জলাশয় থাকায় এখানকার কৃষককে পাট জাগ দিতে ভোগান্তি পোহাতে হয় নাএজন্য দেশের পাট চাষে এই জেলার অবস্থান শীর্ষেবিপুল পরিমাণে পাট আবাদ হওয়ায় ফরিদপুরকে পাটের রাজধানীও বলা হয়জেলার সবকটি উপজেলায় পাটের আবাদ হলেও সালথা ও নগরকান্দা উপজেলাতে পেঁয়াজের মতোই সবচেয়ে বেশি পাটের আবাদ করা হয়এবছর এ দুটি উপজেলাতে প্রায় ২৫ হাজার হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ করা হয়েছেতবে প্রতিবার বৃষ্টিতে মাটি নরম হওয়ার পরে বীজ রোপণ করলেও এবার বৃষ্টি নামেনিতাই মৌসুমের শুরু থেকেই সেচ দিয়েই শুরু হয়েছে পাটের আবাদআর বীজ রোপণের পর গত প্রায় দেড় মাসে খেতের মাটি ভেজাতে অনেককে দুতিনবার করেও সেচ দিতে হয়েছেএজন্য এবার পাট চাষের খরচও বেড়ে গেছে শুরু থেকেই
সালথার বাইলাগট্টি গ্রামের মিজান শেখ (৬৮) নামে একজন পাটচাষি বলেন, আমার এই জীবনে বিগত ৫০ বছরের মধ্যে এমন খরা দেহি নাইরোদের কারণে এইবার আমাগের অনেক খরচ হয়ে গেছেতিনি বলেন, ২৮ শতকের এক পাখি ভুঁইতি সেচ দিতে পাঁচ-ছয় লিটার তেল লাগেআর একেকটা ভুঁইতি দুই-তিনবার কইর?্যা সেচ দিতি হইছেএই জন্যি এইবারতো অনেক খরচ হইয়্যা গ্যাছে আমাগেরযাই হোক, শ্যাষম্যাস আল্লাহ এহন বৃষ্টি দিছেএহন আর সেচ লাগবে নানেএতে আমাগে অনেক টাকা বাইচ্যা গ্যাছেআর্থিকভাবে আমরা ইট্টু উপকৃত হইছি
নগরকান্দার ছাগলদি গ্রামের জলিল শেখ (৫৩) নামে একজন কৃষক বলেন, ভুঁইতে এইবার অনেক খরচা হইয়্যা গ্যাছেএইজন্য কৃষক সেচের মাধ্যমে ক্ষেতের পাট বাঁচায় রাখছেএখন এই বৃষ্টি হওয়াতে কিছুটা হলেও কৃষকের উপকার হইছেএই বৃষ্টি না হইলে কৃষকের আরো ক্ষতি হইতোপাখি প্রতি আরো এক হাজার টাকা লসে পড়তোঅন্তত সেইটাকা বাইচ্যা যাওয়ায় আমরা এই বৃষ্টিতে অনেক উপকার পাইছিজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর (শস্য) অতিরিক্ত উপপরিচালক মো. রইচউদ্দিন বলেন, কৃষকেরা মূলত. বৃষ্টির উপরে নির্ভর করেই প্রাকৃতিক সেচ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পাটের আবাদ করে থাকেনকিন্তু এ বছর প্রায় ত্রিশদিন যাবত টানা বৃষ্টিহীন তাপদাহ হয়েছেএ কারণে ফরিদপুরের কৃষকদের প্রায় ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ জমিতেই সেচ দিতে হয়েছেএক হেক্টর জমিতে তাদের জমিভেদে চার থেকে ছয় হাজার টাকা প্রতিবারে খরচ হয়েছেতবে এখন বৃষ্টি আশীর্বাদ হয়ে ধরা দিয়েছে কৃষকদের কাছে। 
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য