ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫ , ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
অবশেষে মামলা নিয়ে মুখ খুললেন যশ দয়াল ফাঁস হলো আর্জেন্টিনার ২০২৬ বিশ্বকাপের জার্সি! ফ্লুমিনেন্সকে কাঁদিয়ে ফাইনালে চেলসি ইনজুরিতে টি-টোয়েন্টি দল থেকে ছিটকে গেলেন হাসারাঙ্গা টিভি স্বত্ব বিক্রি করতে পারছে না বিসিবি টি-টোয়েন্টিতে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যাশায় আজ মাঠে নামবে টাইগাররা বৈষম্য নিরসনে ৮ দফা বড়ুয়া জনগোষ্ঠীর অব্যাহতি বেআইনি চুন্নু এখনো মহাসচিব-আনিসুল নওগাঁর পোরশায় বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে ইউপি মেম্বার মৃত্যু ৬ দাবিতে সিলেটে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলসহ কয়েকটি সংশোধনী অবৈধ ঘোষণার রায় প্রকাশ রাজধানীতে মহা-শোডাউনের প্রস্তুতি নিচ্ছে জামায়াত পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েল ডিপোতে সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট ১১৯ বার পেছালো সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন সাংবাদিক দম্পতি শাকিল-রুপার গ্রেফতারের বিষয়ে জাতিসংঘকে ব্যাখ্যা দিল সরকার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত আরও ৩ মৃত্যু ৪২৫ হাসপাতালে ভর্তি দুই শতাধিক এনবিআর কর্মকর্তার ক্ষমা প্রার্থনা শৃঙ্খলায় ফেরার ইঙ্গিত ৩ দাবিতে বুয়েট শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ পরিবেশবান্ধব বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কাজ করছে সরকার-উপদেষ্টা

মারা গেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগম

  • আপলোড সময় : ১৮-০৬-২০২৫ ১২:৪১:৫৬ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৮-০৬-২০২৫ ১২:৪১:৫৬ পূর্বাহ্ন
মারা গেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগম
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার নারী বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগম (৯৩) মারা গেছেন। গতকাল মঙ্গলবার ভোরে বাজিতপুর উপজেলার হিলচিয়া ইউনিয়নের বড়মাইপাড়া গ্রামে তিনি মারা যান। তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হিলচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাজহারুল হক নাহিদ। জানা যায়, কিশোরগঞ্জের হাওর অধ্যুষিত নিকলী উপজেলার গুরুই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন সখিনা বেগম। তার বাবার নাম সোনাফর মিয়া এবং মায়ের নাম দুঃখী বিবি। সখিনা নিঃসন্তান। মুক্তিযুদ্ধের আগেই মারা যান স্বামী কিতাব আলী। নিকলীতে সখিনাকে দেখভাল করার কেউ না থাকায় তিনি বাজিতপুর উপজেলার হিলচিয়ার বড়মাইপাড়া গ্রামে ভাগ্নি ফাইরুন্নেছা আক্তারের কাছে থাকতেন। সেখানেই গতকাল মঙ্গলবার ভোরে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। হিলচিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নিয়াজ মামনুন রহমান পুটন জানান, সখিনা বেগম বড়মাইপাড়া গ্রামে প্রায় ৪০ বছর যাবত বসবাস করে আসছেন। গতকাল মঙ্গলবার ভোর ৫টার সময় তিনি বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান। আমাদের বাড়ির পাশে তার বসবাস থাকায় ছোটকাল থেকেই আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বলতেন। তিনি খেতাবপ্রাপ্ত একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। নিকলী উপজেলার গুরুই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. তোতা মিয়া বলেন, গুরুই গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগমকে দেখভাল করার জন্য কেউ না থাকায় তিনি বাজিতপুরের হিলচিয়ায় ভাগ্নির কাছে থাকতেন। সেখানে মারা গেছেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে সখিনা বেগম নেমে পড়েন সশস্ত্র যুদ্ধে। মুক্তিযুদ্ধে সখিনা বেগমের ভাগনে মতিউর রহমান সম্মুখযুদ্ধে অংশ নিয়ে পাকিস্তানি সেনা ও রাজাকারদের হাতে শহীদ হন। ভাগনের অকালমৃত্যু সখিনাকে প্রতিশোধপরায়ণ করে তোলে। মুক্তিযুদ্ধের সময় সখিনা বেগম গুরুই এলাকায় বসু বাহিনীর নেতৃত্বাধীন মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে রাঁধুনির কাজ করতেন। কাজের ফাঁকে রাজাকারদের গতিবিধির বিভিন্ন খবর সংগ্রহ করে মুক্তিযোদ্ধাদের জানাতেন। একপর্যায়ে তিনি পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন। পরে কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে আসেন। আসার সময় সেখান থেকে নিয়ে আসেন একটি ধারালো দা। পরে সেই দা দিয়েই নিকলীর পাঁচ রাজাকারকে কুপিয়ে হত্যা করেন। সখিনা বেগমের ওই দা বর্তমানে ঢাকায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য

রাজধানীতে মহা-শোডাউনের প্রস্তুতি নিচ্ছে জামায়াত

রাজধানীতে মহা-শোডাউনের প্রস্তুতি নিচ্ছে জামায়াত