ঢাকা , বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫ , ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
চালকের সহকারীও গ্রেফতার মারা গেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগম সংসদীয় কমিটির সভাপতির পদ পাবে বিরোধী দলÑ সালাহউদ্দিন সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের সম্পদ উদ্ধারে চার দেশে এমএলএআর মাদককাণ্ডে অস্থির খুলনা খুলনায় দু’জনের শরীরে করোনা শনাক্ত চট্টগ্রামে আরও ১০ জন করোনায় আক্রান্ত অবহেলা-উত্তেজনায় ঝরণায় ঝরছে পর্যটকের প্রাণ দখলে বেহাল ছাউনি যাত্রীদের দুর্ভোগ ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও ২৪৪ রোগী হাসপাতালে ভর্তি কুমিল্লায় ডেঙ্গুতে ৩ মৃত্যু, দুই ওয়ার্ডকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও বেকারত্বের সঙ্গে আরও বাড়তে পারে দারিদ্র্য-বৈষম্য সড়ক দুর্ঘটনায় ইবি শিক্ষার্থী নিহত পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলায় সরকারি চাল জব্দ গাজীপুরে ঝুট ব্যবসার দখল নিতে অস্ত্রের মহরা দেশীয় অস্ত্রসহ আটক ২ সখীপুরে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার কুমিল্লায় সন্ত্রাসী গ্রেফতার কমলনগরে নিখোঁজ বৃদ্ধার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার কালীগঞ্জে বেগবতি নদীর উপর বাঁশের সাকো চলাচলের একমাত্র ভরসা টম ক্রুজের সঙ্গে অভিনয়ের আগ্রহ প্রকাশ করলেন ব্র্যাড পিট

মারা গেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগম

  • আপলোড সময় : ১৮-০৬-২০২৫ ১২:৪১:৫৬ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৮-০৬-২০২৫ ১২:৪১:৫৬ পূর্বাহ্ন
মারা গেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগম
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার নারী বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগম (৯৩) মারা গেছেন। গতকাল মঙ্গলবার ভোরে বাজিতপুর উপজেলার হিলচিয়া ইউনিয়নের বড়মাইপাড়া গ্রামে তিনি মারা যান। তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হিলচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাজহারুল হক নাহিদ। জানা যায়, কিশোরগঞ্জের হাওর অধ্যুষিত নিকলী উপজেলার গুরুই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন সখিনা বেগম। তার বাবার নাম সোনাফর মিয়া এবং মায়ের নাম দুঃখী বিবি। সখিনা নিঃসন্তান। মুক্তিযুদ্ধের আগেই মারা যান স্বামী কিতাব আলী। নিকলীতে সখিনাকে দেখভাল করার কেউ না থাকায় তিনি বাজিতপুর উপজেলার হিলচিয়ার বড়মাইপাড়া গ্রামে ভাগ্নি ফাইরুন্নেছা আক্তারের কাছে থাকতেন। সেখানেই গতকাল মঙ্গলবার ভোরে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। হিলচিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নিয়াজ মামনুন রহমান পুটন জানান, সখিনা বেগম বড়মাইপাড়া গ্রামে প্রায় ৪০ বছর যাবত বসবাস করে আসছেন। গতকাল মঙ্গলবার ভোর ৫টার সময় তিনি বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান। আমাদের বাড়ির পাশে তার বসবাস থাকায় ছোটকাল থেকেই আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বলতেন। তিনি খেতাবপ্রাপ্ত একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। নিকলী উপজেলার গুরুই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. তোতা মিয়া বলেন, গুরুই গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগমকে দেখভাল করার জন্য কেউ না থাকায় তিনি বাজিতপুরের হিলচিয়ায় ভাগ্নির কাছে থাকতেন। সেখানে মারা গেছেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে সখিনা বেগম নেমে পড়েন সশস্ত্র যুদ্ধে। মুক্তিযুদ্ধে সখিনা বেগমের ভাগনে মতিউর রহমান সম্মুখযুদ্ধে অংশ নিয়ে পাকিস্তানি সেনা ও রাজাকারদের হাতে শহীদ হন। ভাগনের অকালমৃত্যু সখিনাকে প্রতিশোধপরায়ণ করে তোলে। মুক্তিযুদ্ধের সময় সখিনা বেগম গুরুই এলাকায় বসু বাহিনীর নেতৃত্বাধীন মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে রাঁধুনির কাজ করতেন। কাজের ফাঁকে রাজাকারদের গতিবিধির বিভিন্ন খবর সংগ্রহ করে মুক্তিযোদ্ধাদের জানাতেন। একপর্যায়ে তিনি পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন। পরে কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে আসেন। আসার সময় সেখান থেকে নিয়ে আসেন একটি ধারালো দা। পরে সেই দা দিয়েই নিকলীর পাঁচ রাজাকারকে কুপিয়ে হত্যা করেন। সখিনা বেগমের ওই দা বর্তমানে ঢাকায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য