ঢাকা , রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫ , ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নগরে ফিরছে মানুষ পথে পথে ভোগান্তি এবারের বাজেট ট্রাম্প ও আইএমএফএ’র দুই পায়ে দাঁড়ানো-আনু মুহাম্মদ প্রধান উপদেষ্টা নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন করেছেন-জামায়াত ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠক দেশে স্বস্তি এনেছে বললেন দুদু মামলার আগেই আপস-মধ্যস্থতা বাধ্যতামূলক, বড় পরিবর্তন আসছে আইনে মে মাসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা রেমিটেন্সে ধস আয়রন ডোম চুরমার ইসরায়েলি সদর দফতর গুঁড়িয়ে দিল ইরান ইরানের কাছে ধরাশায়ী ইসরায়েল মেসিদের ম্যাচ দিয়ে মাঠে গড়াচ্ছে ক্লাব বিশ্বকাপ মাঠে ফেরায় তোড়জোড় গগবার অনিশ্চয়তায় ক্যাবরেরার ভবিষ্যৎ ভারতের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের আয়োজক হওয়ার প্রস্তাবকে আইসিসির ‘না’ বিগব্যাশে ডাক পেলেন বাবর আজম পাকিস্তানের কোচের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করলেন ইউসুফ তারকাবিহীন দল নিয়ে বাংলাদেশ সফরে আসবে পাকিস্তান অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকা ইসরায়েলি হামলায় নিন্দার ঝড় ইরানের পাল্টা হামলার শঙ্কায় খাবার ও পানি মজুত করছে ইসরায়েলিরা সবকিছু শেষ হওয়ার আগেই চুক্তি করুন ইরানকে হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের
তথ্য আপা প্রকল্পের দু’দফা

‘আওয়ামী দোসর নয়, কর্মজীবী নারীর স্বীকৃতি চাই’

  • আপলোড সময় : ১৪-০৬-২০২৫ ১২:২২:৫৫ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৪-০৬-২০২৫ ১২:২২:৫৫ পূর্বাহ্ন
‘আওয়ামী দোসর নয়, কর্মজীবী নারীর স্বীকৃতি চাই’
দুই দফা দাবিতে আন্দোলনরত তথ্য আপা প্রকল্পের কর্মীরা বলেছেন, আওয়ামী দোসর নয়, কর্মজীবী নারীর স্বীকৃতি চাই। কারণ বিগত সাত বছর নিজেদের মেধা, যোগ্যতা ও শ্রমের মাধ্যমে দেশের জন্য কাজ করেছি। কোনও দলের পক্ষে কাজ করিনি। তাই আমাদের বাদ দেওয়া চলবে না। আমরা রাষ্ট্রের সব নিয়ম মেনে অ্যাকাডেমিক যোগ্যতার মাধ্যমে এ প্রকল্পে নিয়োগ পেয়েছি। তখন বলা হয়েছিল আমাদের নিয়ে রাষ্ট্র যেকোনও ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিতে পারে। সে আশায় এতো বছর ধৈর্য নিয়ে কাজ করে আসছি। তাই আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। গতকাল শুক্রবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচির ১৭তম দিনে নাগরিক সমাবেশে এসব কথা বলেন তারা। এতে নারী অধিকার কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও সমাবেশের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে বক্তব্য দেওয়া নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরাও তাদের দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান। গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য মার্জিয়া প্রভা ও চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সংগঠক সুস্মিতা রায় সুপ্তির যৌথ সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন-বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্রের সভাপতি সীমা দত্ত, গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য ডা. হারুনুর রশিদ, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সদস্য জাকিয়া শিশির, লেখক ও গবেষক মাহা মির্জা প্রমুখ। তথ্য আপা প্রকল্পের কর্মীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন-ঝালকাঠি সদরের তথ্য আপা কর্মকর্তা সংগীতা সরকার ও কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার তথ্য কর্মকর্তা শান্তা ইসলাম। সমাপনী বক্তব্যে নারী অধিকার কেন্দ্রের সমন্বয়ক সীমা দত্ত বলেন, এ সরকার ক্ষমতায় আসার পর জুলাইয়ের আন্দোলনকারীদের ঢাকায় এনে সম্মান দেওয়া হলেও এই নারীদের সাইবার বুলিং করা হচ্ছে। তারা আসলে দোসর কীনা তা প্রমাণ করতে হবে। যা আওয়ামী লীগের আমলেও এভাবে ট্যাগ দেওয়া হয়েছে। এর পরিণাম ভালো হবে না। ৩০ জুনের আগেই তাদের ডেকে আলোচনা করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। সমাবেশের শুরুতে তথ্য আপা কর্মকর্তা সংগীতা সরকার বলেন, এতদিন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নিলেও সরকারের পক্ষ থেকে কেউ যোগাযোগ করেনি। ৪ দিন না খেয়ে ছিলাম। বিভিন্ন সময়ে হামলার শিকার হয়েছি। অন্তঃসত্ত্বা নারীদেরও রেহাই দেয়নি। গত ১ জুন প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে স্মারকলিপি রেখে কোনও কথা না বলেই আমাদের বিদায় করে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, তিন ধাপে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে যোগ্যতার ভিত্তিতেই নিয়োগ পেয়েছি। সরকারি চাকরির বয়স অতিক্রম হয়ে যেতে পারে। রাজস্বভুক্তর কথা বলে বেতন কাটা হয়েছে। বিভিন্ন ভাতা কর্তন করা হয়েছে। প্রতিটি অর্থ বছরে তিন মাসের যাতায়াত ভাতা ও সন্তানদের শিক্ষা ভাতা কাটা হয়েছে। এগুলো কোথায় যায় তার কোনও হিসাব নেই। আমাদের আওয়ামী দোসরের ট্যাগ দেওয়া অন্যায়। আমরা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে কর্মজীবী নারীর স্বীকৃতি চাই। বক্তব্য রাখতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পরেন কুমিল্লার মেঘনা উপজেলা তথ্য কর্মচারী শান্তা ইসলাম। তিনি বলেন, আর কতদিন বসে থাকতে হবে। রাস্তায় এতো দিন বসে রয়েছি। এ চাকরি আমাদের রক্তের সঙ্গে মিশে গেছে। যাদের নির্দেশনায় কাজ করেছি। তারা একবারও আমাদের দেখতে আসেননি। আমাদের সম্মান কেড়ে নেওয়ার কোনও ষড়যন্ত্র মেনে নেবো না। আমরা রাষ্ট্রের কর্মী হিসেবে বেঁচে থাকতে চাই। প্রসঙ্গত মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অন্তর্ভুক্ত তথ্য আপা প্রকল্পে (২য় পর্যায়ের) কর্মরতদের সমগ্রেডে পদসৃজনপূর্বক রাজস্বখাতে স্থানান্তর ও কর্তনকৃত বেতন ভাতাগুলো অবিলম্বে পরিশোধের দাবিতে ঈদুল আজহার আগে গত ২৮মে থেকে আন্দোলন করছেন তারা। গত শনিবার পবিত্র ঈদুল আজহার দিনেও সেখানে ছিলেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে কোনও আশ্বাস না পেয়ে ঈদের পর দিন গত রোববার থেকে প্রতিদিন অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিচ্ছেন। এর আগে দাবি আদায়ে গত কয়েক দফা বাধা অতিক্রম করে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নেন তারা। সেদিন শেষ বিকালে পুলিশ তাদের জোর করে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। আন্দোলনকারীদের সূত্রে জানা গেছে, তাদের চাকরি স্থায়ী করার কথা বলে ২০১৯ সালের এপ্রিল মাস থেকে প্রতি মাসে কর্মকর্তাদের কাছ থেকে ২ হাজার ৪০০ ও সহকারীদের বেতন থেকে ১ হাজার ৩৯০ টাকা কেটে নেয় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়। ৪৯২টি উপজেলায় তথ্যকেন্দ্রে একজন করে তথ্যসেবা কর্মকর্তা (১০ম গ্রেড), দুজন তথ্যসেবা সহকারী (১৬তম গ্রেড) ও একজন করে অফিস সহায়ক (২০তম গ্রেড) মিলিয়ে মোট ১ হাজার ৯৬৮ জন মাঠ পর্যায়ে কর্মরত রয়েছেন। তৃণমূল নারীদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, আইন, জেন্ডার, ব্যবসা, পরিবার পরিকল্পনা এবং সাইবার সিকিউরিটি এই ৮টি বিষয়ে জরুরি তথ্য সরবরাহ ও সহায়তা দিয়ে আসছেন তথ্য আপা প্রকল্পের দেড় হাজার কর্মী।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স