ঢাকা , শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫ , ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
ঈদের দীর্ঘ ছুটিতে অর্থনীতি স্থবির হবে না-অর্থ উপদেষ্টা কমলাপুর রেলস্টেশনে যাত্রীদের ভিড় ঘরমুখো মানুষের ঢল শেরপুরে পাটচাষি সমাবেশ অনুষ্ঠিত বিরলে মতিউর রহমানের মডেল কৃষি বাড়ি দেখতে আসছেন অনেকে কলারোয়ায় তিন ‘স’ মিলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা কুড়িগ্রামে কেজিতে বিক্রি হচ্ছে জীবন্ত গরু-ছাগল সিরাজগঞ্জে সেপটিক ট্যাংক থেকে শিশুর হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার নেত্রকোনা সীমান্ত দিয়ে ৩২ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ ঈদ উৎসবে জমজমাট ওয়ালটন ফ্রিজের বিক্রি ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ৬০৫২১ জন ক্রিমিয়া রেলসেতুতে ১১০০ কেজি বিস্ফোরক দিয়ে হামলা যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু চুক্তির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান ইরানের সুদানে গৃহযুদ্ধের কারণে দেশ ছেড়েছেন ৪০ লাখ মানুষ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ৩৬ জনের মৃত্যু মার্কিন অভিনেতা জোনাথন জসকে গুলি করে হত্যা রোমান্টিক সময় কাটাচ্ছেন তাহসান-রোজা দম্পতি কাঁধে কাঁধ মেলালেন শাকিব-নিশো চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড থেকে ছাড়পত্র পেলো তাণ্ডব ‘অপারেশন সিঁদুর’ কল্যাণ জয় পেয়েছে বেঙ্গালুরুর!

শেখ মুজিবসহ জাতীয় ৪ নেতার স্বীকৃতি বাতিলের খবরে সমালোচনার ঝড়

  • আপলোড সময় : ০৭-০৬-২০২৫ ০৪:৫৫:৩৩ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৭-০৬-২০২৫ ০৪:৫৮:০৪ অপরাহ্ন
শেখ মুজিবসহ জাতীয় ৪ নেতার স্বীকৃতি বাতিলের খবরে সমালোচনার ঝড়
* শেখ মুজিব ও জাতীয় ৪ নেতার মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি বাতিলের খবর সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন
* জাতীয় ৪ নেতাদের আরও সম্মানিত করা হয়েছে : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা
* তাজউদ্দীন আহমদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি বাতিল নিয়ে প্রশ্ন সারজিস আলমের
স্টাফ রিপোর্টার
মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান, অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামসহ জাতীয় ৪ নেতার স্বীকৃতি বাতিলের গুজবে দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইতে শুরু করেছে। তবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সেই গুজবের ব্যাখা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকার। এরআগে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয় ব্যাপক সমালোচনা।
এদিকে, মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান, অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ এবং দুই মন্ত্রী মো. মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামরুজ্জামানসহ শতাধিক নেতার মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল বলে সমকাল, যুগান্তর, ইত্তেফাক ও কালেরকণ্ঠসহ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর বলে দাবি করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। গতকাল বুধবার দুপুরে রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার বলেন, মুক্তিযুদ্ধের খেতাব সংক্রান্ত খবরটি ভুয়া, মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। তিনি বলেন, যেসব গণমাধ্যম ভুল সংবাদ প্রচার করেছেন, আমরা আশা করব তারা তাদের ভুলটা সংশোধন করবেন। যেখানে তারা ভুল সংবাদটি ছাপিয়েছেন, ঠিক একই জায়গায় তারা সংশোধনী ছেপে পাঠকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করবেন। তিনি বলেন, এখন থেকে ভুল সংবাদ পরিবেশন করলে সরকার ব্যবস্থা নেবে। তিনি বলেন, যারা এখন থেকে ভুল সংবাদ প্রকাশ করবেন বা বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ করবেন, যেগুলো মানুষকে বিভ্রান্ত করবে, সরকার তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ব্যাপারে খুব উদার উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা সমালোচনাকে সবসময় স্বাগত জানাই। কিন্তু কাউকে এরকম কোনো লাইসেন্স দেয়া হয়নি যে, তিনি চাইলেই একটি ভুল সংবাদ প্রচার করবেন।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলছেন, অধ্যাদেশে মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞায় ‘প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার (মুজিবনগর সরকার) আছে, সুতরাং ওই সরকারের সংশ্লিষ্ট নেতারাও মুক্তিযোদ্ধা। শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতাসহ মুজিবনগর সরকারের নেতাদের ‘মুক্তিযোদ্ধা’ স্বীকৃতি বাতিলের খবরটি ‘সঠিক নয়’ বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা। তিনি বলেন, বরং মুক্তিযোদ্ধাদের আরও বেশি সম্মানিত করা হয়েছে।
বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা সঠিক নয়। সঠিক নয় এই অর্থে যে এখানে সুস্পষ্টভাবে লেখা আছে, ‘প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার (মুজিবনগর সরকার)। মুজিবনগর সরকার লেখা আছে, তাজউদ্দীন সাহেব ছিলেন, মনসুর আলী সাহেব ছিলেন, কামারুজ্জামান সাহেব ছিলেন, খন্দকার মোশতাক সাহেব ছিলেন, এরা সবাই মুক্তিযোদ্ধা। এরআগে মুক্তিযোদ্ধার নতুন সংজ্ঞা দিয়ে তিন বছর আগের করা জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন সংশোধন করে মঙ্গলবার রাতে অধ্যাদেশ জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার। সেখানে মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা পরিবর্তনের পাশাপাশি আগে যারা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃত ছিলেন, তাদের একটি অংশকে ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ বলা হয়েছে। তাতে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতাসহ মুজিবনগর সরকারের এমএনএ বা এমপিএদের মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি আর থাকল না বলে খবর প্রকাশিত হয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে। বুধবার সকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেন, এই যুদ্ধটা এই সরকার (মুজিবনগর) পরিচালনা করেছে। এই সরকারের লেজিটিমেসির বাইরে কাউকে স্বীকৃতিই দেয়া হয় নাই। এই সরকারটাই তখন ছিল বাংলাদেশে স্বীকৃত সরকার, যেটা প্রবাসী সরকার। উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলছেন, অধ্যাদেশে মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞায় প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার (মুজিবনগর সরকার) আছে, সুতরাং ওই সরকারের সংশ্লিষ্ট নেতারাও মুক্তিযোদ্ধা। অধ্যাদেশে মুক্তিযুদ্ধের সহযোগীর সংজ্ঞায় যারা সরাসরি যুদ্ধে অংশ নেননি, তাদের পাঁচ ক্যাটাগরি করা হয়েছে। বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে দেশের অভ্যন্তরে বা প্রবাসে অবস্থান করে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দীপিত করা এবং মুক্তিযুদ্ধকে বেগবান ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনকে ত্বরান্বিত করার প্রয়াসে সংগঠকের ভূমিকা পালন, বিশ্বজনমত গঠন, কূটনৈতিক সমর্থন অর্জন এবং মনস্তাত্ত্বিক শক্তি অর্জনের প্রেক্ষাপটে যেসব বাংলাদেশের নাগরিক প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা করেছেন। যেসব ব্যক্তি মুক্তিযুদ্ধকালীন গঠিত প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের (মুজিবনগর সরকার) অধীন কর্মকর্তা বা কর্মচারী বা দূত এবং ওই সরকারের নিয়োগ করা চিকিৎসক, নার্স বা অন্যান্য সহকারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন, মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের (মুজিবনগর সরকার) সঙ্গে সম্পৃক্ত সব এমএনএ বা এমপিএ, যারা পরে গণপরিষদের সদস্য গণ্য হয়েছিলেন, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সব শিল্পী ও কলাকুশলী এবং দেশ ও বিদেশে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে দায়িত্ব পালনকারী সব বাংলাদেশি সাংবাদিক এবং স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের খেলোয়াড়ুতাদের ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ বলা হয়েছে অধ্যাদেশে। একজন সাংবাদিক জানতে চান, এই সংজ্ঞার অর্থ এরকম কি না যে যারা সরাসরি যুদ্ধ করেছেন তারাই মুক্তিযোদ্ধা? জবাবে উপদেষ্টা বলেন, এইটা হয় নাই, কারণ রণাঙ্গনটা ওরা পরিচালনা করেছেন। তাহলে তো একই কথা আপনি সেক্টর কমান্ডারদের ব্যাপারেও বলতে পারেন। তারা কি যুদ্ধ করে নাই? যুদ্ধ ডিজাইন করেছে, যুদ্ধে কারা যাবে, না যাবে সেটা পরিচালনা করেছে। ঠিক একই রকমের, মুজিবনগর সরকার তো পুরা যুদ্ধটা পরিচালনা করেছে, মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য রেশন কোথা থেকে আসবে, অস্ত্র কোথা থেকে আসবে, এগুলি সব এই সরকার করছে না? ফলে এইটা তো ঐতিহাসিক সত্য যে এই সরকার পুরা যুদ্ধটা পরিচালনা করেছে। তো এটা কেমন করে ইতিহাস পরিবর্তন করা যায়? তিনি বলেন, এটা একটা মিসলিডিং নিউজ। আমার মনে হচ্ছে যেন এটা সত্য হয় নাই। এখানে (অধ্যাদেশে) সুস্পষ্ট ভাবেই বলা আছে। মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী অংশে মুজিবনগর সরকারের যে বিষয় আছে, সেটা কেন তা জানতে চান একজন সাংবাদিক। এ সময় উপদেষ্টা বলেন, ওইটা মুজিবনগরের কর্মচারীরা। ওইখানে মুজিবনগর সরকারের অধীনে যে সমস্ত বেতনধারী কর্মচারীরা ছিল, তাদেরকে বলা হয়েছে ‘সহযোগী’। সরকারকে বলা হয়নি। আর এমপিএ, এমএনএদের মধ্যেও যারা সশস্ত্রভাবে এসে যুদ্ধ করেছে, তারাও মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযোদ্ধা ও সহযোগীদের মর্যাদায় কোনো হেরফের করা হয়নি বলেও মন্তব্য করেন ফারুক ই আজম, যিনি নিজেও একজন খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা। তিনি বলেন, সর্বাঙ্গীণভাবে এইটাকে মর্যাদাশীল করা হয়েছে। এইটা এই নয় যে যারা সহযোগী হবেন, তাদের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়েছে। এইটা মোটেও না। কারণ ওই অবদানেও অসাধারণ এবং সেইভাবেই উনাদেরকে সম্মানিত করা হচ্ছে, যে কে কী ধরনের ভূমিকাতে সেই সময় অংশগ্রহণ করেছিলেন। এক্ষেত্রে সুবিধাদি, রাষ্ট্র কর্তৃক প্রদত্ত ভাতা ইত্যাদি নানা সুবিধার ক্ষেত্রেও কোনো বৈষম্য নেই, সবাই সমান।
‘সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা’ হিসেবে আলাদা করার ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, যারা যুদ্ধ করেনি তারা কী করে (মুক্তিযোদ্ধা) হইতে পারে? যারা মুক্তিযুদ্ধের কারণে ভারতে গেছে, নানা রকমের কাজে তারা এনগেজ ছিল সেখানে হয়ত, কেউ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে, তারপরে কূটনৈতিক এবং অন্যান্য কাজে তারা ব্যস্ত ছিল, তারা সহযোগিতা করেছে, তারা তো রণাঙ্গনে এসে লড়াই করে নাই। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম দাবি করেন, মুক্তিযোদ্ধাদের দাবির কারণেই এই সময়ে এসে সংজ্ঞা পরিবর্তন করা হয়েছে। তবে এ সরকার নতুন করে কোনো সংজ্ঞা প্রবর্তন করেনি। বাহাত্তরেও এমন সংজ্ঞা ছিল। এটা পরিবর্তন করা হয়েছে ২০১৮ সলে ও ২০২২ সালে। এখন বাহাত্তরের সংজ্ঞাটা দেওয়া হয়েছে। ইতিহাসকে ইতিহাসের জায়গায় রাখা। দেশের মানুষ জানে মুক্তিযুদ্ধ করা করেছে। মুক্তিযুদ্ধটা যেন বিতর্কিত না হয় সে সেচষ্টা করছি আমরা।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও কিছু অনির্ভরযোগ্য অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ছড়িয়ে পড়া একটি খবর যেখানে দাবি করা হয়েছে, ‘শেখ মুজিবুর রহমানসহ মুক্তিযুদ্ধের শীর্ষ নেতাদের সার্টিফিকেট বাতিল করা হয়েছে’ এই সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন খ্যাতিমান চলচ্চিত্র নির্মাতা ও অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। বুধবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টে এ কথা বলেন তিনি। পোস্টে তিনি অধ্যাদেশের একটি স্ক্রিনশটও যোগ করেন। তিনি বলেছেন, শেখ মুজিবুর রহমান, তাজউদ্দিন আহমেদসহ মুক্তিযুদ্ধের নেতাদের মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট বাতিল হয়েছে বলে যেসব খবর প্রচারিত হয়েছে, তা সত্য নয়। তিনি বলেন, ‘শেখ মুজিবুর রহমান, তাজউদ্দিন আহমেদসহ মুক্তিযুদ্ধের নেতাদের মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট বাতিল একটা ফেইক নিউজ। তিনি আরও বলেন, নতুন অধ্যাদেশে মুজিবনগর সরকারের সব সদস্যকে মুক্তিযোদ্ধার স্পষ্ট স্বীকৃতি দেয়া আছে। মুজিবনগর সরকারের কোনো সদস্যের মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট বাতিল হয়ে গেছে এটা যে ফেইক নিউজ, তার প্রমাণ হিসাবে অধ্যাদেশের স্ক্রিনশট দেয়া হলো।
তাজউদ্দীন আহমদ মাঠে থেকে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি বাতিল হয় কীভাবে? এমন প্রশ্ন রেখেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। বুধবার সকালে ফেসবুক পোস্টে তিনি এসব প্রশ্ন তুলেন। পোস্টে তিনি লেখেন, মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে ইচ্ছাকৃতভাবে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কাছে বন্দি হয়ে বিজয়ের পর পর্যন্ত শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের জেলে বন্দি ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের পূর্বে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান থাকলেও মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন তিনি সরাসরি মাঠে ছিলেন না।  তাজউদ্দীন আহমদ মাঠে থেকে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি বাতিল হয় কীভাবে? তিনি আরও লেখেন, মন্ত্রণালয়ের কাজ ছিল-মুক্তিযোদ্ধার নামে সুযোগ-সুবিধা নেয়ার জন্য আওয়ামী আমলে যারা নতুন করে মুক্তিযোদ্ধা সেজেছেন এবং ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা তাদের খুঁজে বের করে তাদের মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিল করা। কিন্তু তা না করে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন মাঠে থেকে যারা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় সরাসরি অবদান রেখেছেন তাদের মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে বাতিল করার মত অপ্রয়োজনীয় কাজ কোনোভাবেই কাম্য নয়। ইতিহাস যেন কখনো ক্ষমতাসীনদের পক্ষের না হয়। ইতিহাসকে ইতিহাসের মতো করেই চলতে দেয়া উচিত।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স