ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫ , ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
দীর্ঘদিনেও শিক্ষাঙ্গনে ফিরে আসছে না স্বাভাবিক অবস্থা গাজায় এখনো কোনো সহায়তা দেয়া যায়নি- জাতিসংঘ গাজায় ক্ষুধার যন্ত্রণায় কাঁদছে শিশুরা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি বিধিমালা অনুসরণ না করে ২৫৭ প্রকৌশলীর পদোন্নতি ১০ম গ্রেডে উন্নীত হচ্ছে মেডিকেল টকনোলোজিস্ট ও ফার্মাসিস্ট পদ র‌্যাব সদস্যদের অতীত ভুলে নতুন উদ্যমে কাজ করার আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদযাত্রায় পুলিশকে নিবন্ধনধারীরা বললেন, ‘দয়া করে মারবেন না’ অধ্যাদেশ বাতিল ও চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি ২৮ মে’র মধ্যে শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করতে হবে : উপদেষ্টা মানবিক করিডোর নিয়ে নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে-নিরাপত্তা উপদেষ্টা রাখাইন অঞ্চলের মানবিক করিডোর নিয়ে কোনো কথা হয়নি -খলিলুর রহমান মব সৃষ্টির সুযোগ দেয়া হবে না-রমনা ডিসি ফটোগ্রাফারকে হত্যা করে ক্যামেরা ছিনতাই গ্রেফতার ১০ মার্কিন শুল্ক-ভারতের নিষেধাজ্ঞায় চাপে পড়বে দেশের রফতানি খাত ইসির তত্ত্বাবধানে প্রার্থীর প্রচারণার বিধান অনুমোদন স্থানীয় না জাতীয় নির্বাচন আগে, সিদ্ধান্ত নেবে সরকার : ইসি উপদেষ্টা মাহফুজ ও আসিফ মাহমুদের পদত্যাগ দাবি ইশরাক হোসেনের বিএনপিপন্থী তিন উপদেষ্টার পদত্যাগ চায় এনসিপি সরকারের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে বিএনপির

ভারতীয় প্রতিষ্ঠান থেকে রেলের ২০০ বগি কিনতে চুক্তি সই

  • আপলোড সময় : ২০-০৫-২০২৪ ০৯:৫৬:৪৯ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২১-০৫-২০২৪ ০১:৩৮:৫৩ পূর্বাহ্ন
ভারতীয় প্রতিষ্ঠান থেকে রেলের ২০০ বগি কিনতে চুক্তি সই ভারতীয় প্রতিষ্ঠান থেকে রেলের ২০০ বগি কিনতে চুক্তি সই
ভারতীয় প্রতিষ্ঠান আরআইটিইএস লিমিটেডের সঙ্গে বাংলাদেশ রেলওয়ের ব্রডগেজ লাইনের জন্য ২০০ যাত্রীবাহী বগি (প্যাসেঞ্জার ক্যারেজ) কেনার চুক্তি হয়েছে। গতকাল সোমবার রাজধানীর রেল ভবনে এই চুক্তি সই হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রেলপথ মন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম, রেলপথ সচিব হুমায়ুন কবীর, মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী, ভারতীয় কোম্পানির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাহুল মিত্তাল, ভারতীয় রেলওয়ের প্রোডাকশন ইউনিটের অতিরিক্ত সদস্য সঞ্জয় কুমার পংকজ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের হেড অব করপোরেশন মিচেল ক্রেজা ও রেলওয়ের কর্মকর্তারা। রেলপথ মন্ত্রী জিল্লুল হাকিম বলেন, আমাদের ক্যারেজের খুব সমস্যা। এই মুহূর্তে আপনারা (ভারতীয়) যে ক্যারেজ দিচ্ছেন এর জন্য ধন্যবাদ। তিনি বলেন, চুক্তিতে ক্যারেজ কবে দেওয়া হবে সেই সময় উল্লেখ নেই। এটা করলে আমাদের সুবিধা হবে। আমরা সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা করতে পারি। আগামী দুই মাসের মধ্যে যদি দুই সেট ক্যারেজ দেওয়া যায় তবে সেটা আমাদের জন্য ভালো হবে। বাকিগুলো শিডিউল করে নিলে হবে। মন্ত্রী বলেন, রেলের কর্মকর্তারা স্লো। এটা আমার জন্য দুঃখজনক। তারা ভাবে এটা ৫ থেকে ৬ মাস লাগবে। আমাদের আরও বগি লাগবে। রেলসচিব হুমায়ুন কবীর বলেন, সম্প্রতি দক্ষিণ অংশে রেলের সংযোগ স্থাপন হয়েছে। এতে করে ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণের জেলাগুলোর যোগাযোগ বাড়ছে। এর ফলে এসব প্যাসেঞ্জার ক্যারেজ রেল যোগাযোগকে ত্বরান্বিত করবে। মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী বলেন, রেলের লক্ষ্য হচ্ছে যোগাযোগ পরিধি বাড়ানো, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রেল সংযোগ স্থাপন করা ও যাত্রীসেবা দেওয়া। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সেটা অনেকাংশে সম্ভব হবে। জানা যায়, প্রকল্পের সময় ১ জুলাই ২০২২ থেকে ৩০ জুন ২০২৬। বাংলাদেশ সরকার ও ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (ইআইবি) এর অর্থায়নে প্রকল্প পরিচালিত হচ্ছ। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে এক হাজার ২৯৮ কোটি ৫৮ লাখ ৭৭ হাজার ১৩৯ টাকা (ডলার ১১৬ টাকা ৭১ পয়সা)। প্রতিটি বগির দাম আসে ৬ কোটি ৪৯ টাকা। এটা দেবে ইআইবি যা ম্যাটিরিয়াল চার্জ। এরপর দেশে বগি আসার পর চট্টগ্রাম বন্দর থেকে তা খালাস বাবদ আরও ৩৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হবে। এই অর্থ দেবে বাংলাদেশ সরকার যা প্রায় ৩০৩ কোটি টাকা। চুক্তি অনুযায়ী সবধরনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে ২০ মাস পর থেকে বগি দেওয়া শুরু হবে এবং ৩৬ মাসে মধ্যে সব বগি হস্তান্তর করা হবে। রেলওয়ে বলছে, বগিগুলো হবে স্টেইনলেস স্টিলের, দ্রুত গতি সম্পন্ন, বগির ছাদে এসি থাকবে, অটোমেটিক এয়ার ব্রেক পদ্ধতি থাকবে এবং পরিবেশবান্ধব হবে। এই বগিগুলো পরবর্তীতে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনগুলোর সঙ্গে যুক্ত করা হবে। প্রকল্পের উদ্দেশ্য হিসেবে বলা হয়েছে, ক্যারেজের প্রাপ্যতা বৃদ্ধির মাধ্যমে যাত্রীদের আধুনিক, নিরাপদ ও আরামদায়ক সেবা প্রদান, যাত্রী চাহিদা বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে নতুন রুটে রেল পরিচালনা, পুরোনো ও আয়ুষ্কাল শেষ হওয়া যাত্রী ক্যারেজগুলো প্রতিস্থাপন এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি করা। রেলওয়ে নিজস্ব নথিতে স্বীকার করেছে, সারা দেশে রেলের নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে পড়লেও যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে প্রত্যাশিত লক্ষ্যমাত্রা থেকে পিছিয়ে রয়েছে। এ লক্ষ্যমাত্রা পূরণে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু নির্মাণ প্রকল্প দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে চলেছে। রেলওয়ে আশা করছে, এসব প্রকল্পের কাজ শেষ হলে বাংলাদেশে রেলপথে যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে সম্ভাবনার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। তবে এ প্রকল্প দুটি পরিপূর্ণভাবে শেষ হলে, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যাত্রী বহনে সুবিধা হবে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স