
জাপা চেয়ারম্যানসহ ২৮০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টার মামলা
- আপলোড সময় : ০২-০৬-২০২৫ ০৩:৫০:৪১ অপরাহ্ন
- আপডেট সময় : ০২-০৬-২০২৫ ০৩:৫০:৪১ অপরাহ্ন


গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করার অভিযোগে বরিশালে জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের, মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুসহ ২৮০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গতকাল রোববার মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় বাদী হয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের বরিশাল মহানগর কমিটির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট শফিকুল ইসলাম সাগর। মামলায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব মজিবুল হক চুন্নু, সাইদুল ইসলাম ট্যাপা, রুহুল আমিন, রত্মা আমিন, হাফিজ আহম্মেদ, ব্যারিস্টার আমিনুল ইসলাম মাহমুদ, অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মাসুতউদ্দীন চৌধুরি, একেএম সেলিম ওসমান, আশরাফুজ্জামান আশু, মোস্তাফিজুর রহমানসহ নামধারী ৩০ জন এবং অজ্ঞাতনামা আড়াইশজনকে আসামি করা হয়েছে। ওসি মিজানুর রহমান জানান, গত শনিবার জাতীয় পার্টির একটি বিক্ষোভ মিছিলে গন্ডগোলের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর মো. শফিকুল ইসলাম সাগর বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলার অভিযোগগুলো তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মামলার বাদী শফিকুল ইসলাম সাগর বলেন, গত শনিবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে ছাত্র অধিকার পরিষদ হেল্প ডেস্ক খোলা হয়েছিল। বিকেলে ছাত্র অধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ নগরীর ফকিরবাড়ি রোডে চা পান করছিলেন। এ সময় জাতীয় পার্টি জেলা ও মহানগর কার্যালয় থেকে বিভিন্ন নেতাকর্মী একটি মিছিল বের করে। মিছিলে প্রধান উপদেষ্টাসহ গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের কটূক্তিমূলক এবং সরকারের সমালোচনা করে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। তিনি জানান, তখন তাদের পক্ষ থেকে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের সরকারবিরোধী স্লোগান না দিতে বিনয়ের সাথে অনুরোধ করা হয়। কিন্তু জাতীয় পার্টি এবং আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা যৌথভাবে বেআইনি জনতাবদ্ধে রামদা, দা, চাপাতি, পিস্তল, লোহার রড, বাঁশ, ইট নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে বরিশাল জেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি এইচএম শামীম রেজা, সাধারণ সম্পাদক এইচএম হাসান, মহানগর গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন তালুকদার ফয়সাল, যুব অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা মিরাজুল ইসলাম, মহানগর গণঅধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহাগ ফরাজী, সদর উপজেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি কে.এম মাইনুলসহ গণঅধিকার পরিষদের আরো ১৫-২০ জন নেতাকর্মী গুরুতর আহত হন। এছাড়াও আরো অনেকের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত লাগে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে পুলিশের সহায়তায় আহতদের চিকিৎসার জন্য শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ